নদীর পাড়ে কিছু সময়||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
নদীর পাড়ে কিছু সময়
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো নদীর পাড়ে কিছু সময়। আসলে আমাদের বাড়ির পাশেই নদী।নদীতে একটা ব্রিজ হবে অনেক দিন ধরে ব্রিজের কাজ চলছে।তবে মাঝে কিছু দিন কাজ বন্ধ ছিল। আবার বেশ কয়েকদিন ধরে কাজ শুরু করেছে, বেকু দিয়ে মাটি তুলছে। বাচ্চারা সময় পেলেই চলো যায় নদীর পাড়ে ব্রিজের কাজ দেখার জন্য। আমি আসলে তেমন সময় পাইনি বাচ্চারা তার বাবার সাথেই বেশি যায়। গতকাল স্কুল থেকে এসে বলল আম্মু আমার বান্ধবীরা বলেছে বিকেলে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাবে, তবে ওর আব্বু বাসায় নেই বলে একাই যাবে।তারপর আমি একা না যেতে দিয়ে সাথে করে নিয়ে গেলাম, কারণ ওখানে অনেক লোক জন তাই একা যেতে দেয়নি। তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
প্রথমেই আমরা চলে গেলাম সোজা বেকুর কাছে।কারণ বাচ্চাদের বেকু দেখা মেইন উদ্দেশ্য ছিল। তারপর আমরা বেকুর কাছে গিয়ে দাঁড়াতে দেখি আমাদের মতো অনেক লোক জন বেকু দেখতে এসেছে।তবে নদীর দু পাশ প্রায় এক হয়ে আসছে তাই বাচ্চারা মাটির ওপর দিয়ে লাফিয়ে নদীর ওপার এপার যাচ্ছে। তাই দেখে আমার মেয়ে ও নদী পাড় হতে চেয়েছিল, কিন্তু ওরা পারবে না তাই আমি ওদের ছেড়ে দেয়নি।তবে এ রকম দৃশ্য দেখে আমার ও অনেক ভালো লেগেছে। আবার নদীর ভিতরে লোক জন গোসল করছে, পাশে আবার লোক জন কাপড় চোপড় ধুচ্ছে।আসলে অনেক দিন পর এভাবে নদীর পাড়ে ঘুরতে অনেক ভালোই লাগছিল।
আমাদের নদীর পাড়ে রাস্তা বারবার ভেঙে যায়। তাই রাস্তা যাতে না ভাঙে সেই কারণে এভাবে বস্তা ভরে বালু দিয়ে নদীর নিচে ভরে দেবে।অনেক দিন ধরে এভাবে নদীর কাজ চলছে কিন্তু কাজ থেকে কখনো দেখিনি।তাই সেদিন অনেক সময় নিয়ে কাজ করা দেখেছিলাম। আশাকরা যাচ্ছে এবার আর রাস্তা ভেঙে যাবে না । তাহলে লোক জন অনেক ভালো মতো চলাফিরা করতে পারবে।
আমার দুই মেয়ে নদীর এপার দিয়ে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছে।আমি ও ওদের সাথে একটু ঘুরাঘুরি করেছিলাম। ওরা বেশ আনন্দ অনুভব করেছে, সত্যি বলতে নদীর পাড়ে বিকেল বেলা, এমন ঘুরাঘুরি করলে আসলে আনন্দ লাগে।যাতের বাড়ির পাশে নদী আছে তারা হয়তো অনেকেই এই রকম আনন্দ অনুভব করতে পারেন।
তারপর আমি ও নদীর মাঝে এগিয়ে গেলাম যে লোক জন কিভাবে নদীর পার হচ্ছে আর কতোটুকু ফাঁকা নদীর মাঝে। আসলে নিচে নামতে দেখতে পেলাম ধানের চারা, যেগুলো দিয়ে লোক জন কয়েক দিন পর ধান লাগাবে।কিন্তু ব্রিজের কাজ করাতে অনেক চারা পানিতে তলিয়ে গেছে। যাইহোক অবশেষে আমরা বাড়ির পাশে নদীতে একটা ব্রিজ পাচ্ছি এটাই অনেক বড় কথা। যদিও আমাদের বাড়ির নিকটে নদী কিন্তু আমার অনেক দিন পর পর নদীর পাড়ে যাওয়া হয়।তবে সুযোগ পেলে ঘুরতে মিস করি না। সেদিন অনেক ভালো ঘুরাঘুরি করেছিলাম বেশ আনন্দ লেগেছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপু নদীর পাড়ে মেয়েদের নিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। মেয়েরা খুব আনন্দ করেছে ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম। যাই হোক অবশেষে আপনাদের নদীর উপর ব্রিজ হচ্ছে জেনে ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু।
সত্যি আপু আমাদের নদীর উপর ব্রিজটা খুবই দরকার ছিল। সুন্দর মন্তব্য করেছেন ধন্যবাদ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নদীর পাড়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে নদীর পাড়ে নিরিবিলি পরিবেশে প্রকৃতির মাঝে সময় উপভোগ করাটা খুবই ভালো। যাতায়াতের জন্য নদীর উপর ব্রিজ হচ্ছে জেনে খুব ভালো লাগলো। নদীর পাড়ে কাটানো মা মেয়ের এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাইয়া যাতায়াতের জন্য ব্রিজ টা অনেক দরকার ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি নদীর পাড়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। তার সাথে আবার খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন। আমাদের নদীর পাশে এভাবে বেকু দিয়ে বালু তোলার জন্য ছোট নদী থেকে এখন বড় নদী হয়ে গিয়েছে। এভাবে বালু তোলার জন্য অনেক গ্রাম বিপদের মুখে পড়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু মেয়েদের নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরির সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু নদীর পাড়ে এভাবে ভেঙে যাওয়ার কারণে অনেকেই বিপদে পড়েছে।ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমার মনে হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে নদীর পাড় একটি অন্যতম। যদিও আমাদের এলাকায় নদীর খুব একটা নিকটে নেই। তারপরও মাঝে মাঝে যদি কোন নদীর পাড়ে বেড়াতে যায় তাহলে নদীর পাড় গুলো বেড়াতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনি আপনার সন্তানদের নিয়ে নদীর পাড়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন।এবং সেখানে বেশ কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। নদীর পাড় ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য বস্তা সারিসারি করে দিয়ে থাকে এই দৃশ্যটি আমি অনেকবার লক্ষ্য করেছি অনেক জায়গাতেয়। তবে সব মিলে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু ওই মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে নদীর পাড়ের সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার না নদীর পাড়ে ঘুরতে বেশ ভাল লাগে আপু্। আপনারই ভাল। গ্রামে থাকেন তো তাই যখন তখন নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে পারেন। বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন। বেকুর দিয়ে কি সুন্দর করে মাটি তোলা হয়। দেখেই তো বেশ ভাল লাগে। আপনর প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে বুঝাই যাচ্ছে যে মেয়েরা বেশ আনন্দই করছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য শেয়ার করার জন্য।
জি আপু মাঝে মাঝে এভাবে নদীর পাড়ে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। একদিন সময় পেলে অবশ্যই ঘুরতে আসবেন। ধন্যবাদ আপু।
আপনাদের বাড়ির পাশে নদী আছে জেনে ভালো লাগলো।আসলে নদীর পাড়ে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে।মানুষের চলাচলের জন্য ব্রিজটা খুবই জরুরী।তাছাড়া কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক সেই প্রত্যাশাই করি,ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু চলাচলের জন্য ব্রিজটা অনেক দরকার, দোয়া করবেন যেন তারাতাড়ি ব্রিজটা কমপ্লিট হয়ে যায়।ধন্যবাদ আপনাকে।
যখন গ্রামে থাকতাম তখন আমাদের বাড়ির পাশেও এরকম একটা ব্রীজ বানানো হয়েছিল। তা প্রায় আজ থেকে কুড়ি বছর আগের কথা বলছি আমি। সেই কথাটাই মনে পড়ে গেল আপনার পোস্ট পড়ে। যাইহোক নদীর পাড়ে বাচ্চাদের নিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে খুব খুশি হলাম।
সত্যি ভাইয়া নদীর পাড়ে এরকম ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।