♥☆꧁::. ঝাল ঝাল লোভনীয় মজাদার কাঁচা আমের মাখা। 🌷 .::. ꧂☆♥
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
♥☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆♥
বন্ধুরা সাথী রান্নাঘরে আপনাদেরকে স্বাগতম। আজ আমি খুবই সাধারণ জিভে জল চলে আসার মতো লোভনীয় একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি ।আশাকরি আপনাদের অনেকেরই জিভে জল চলে আসবে। আর রেসিপিটি আপনাদের মন্দ লাগবে না। এবং ঝাল ঝাল এই রেসিপিটি কতটা লোভনীয় তার নামটা বললেই বুঝতে পারবেন। চলুন বন্ধুরা আমরা জেনে নেই।কি সেই লোভনীয় রেসিপি।যার নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। *ঝাল ঝাল মজাদার লোভনীয় কাঁচা আমের মাখা।কি বন্ধুরা বলেছিলামনা নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসবে এসেছে তো। ছোটবেলায় কাঁচা আমের মাখা অনেক খেয়েছি।অনেক মজা করে খেতাম অনেক জন মিলে একসাথে।ঝালেই সবাই শো শো শব্দ করতো। শুনতে ভাল লাগতো সেই। সবাই যারা একসাথে আম মাখা খেয়েছিলাম তাদের কথা আজ খুব বেশি মনে পড়ছে।শিল্পী মাহমুদা তহমিনা শিমুল মাসুমা লাবু সাজু গোপাল শান্ত বিজলি বিদ্যুৎ শিরিন সবার কথা খুব মনে পড়ছে।আরো ছিল শম্পা, ছোট ভাই রিপন বিপন। পাশের বাড়ির মামীরা।সবাই মিলে খুব মজা করে মেখে খেতাম।বড়াই সময় বড়াই মেখে খেতাম।আহা সে কি আনন্দ।যে দৃশ্য গুলো এখন আর চোখে পড়ে না। তো বন্ধুরা আজকে শুয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ করেই ভাবলাম আপনাদের সাথে কাঁচা আমের মাখা রেসিপিটি শেয়ার করে নেই আপনাদের জিভের জল গুলো ছড়িয়ে জিভটাকে আরো হালকা করে তুলি।তো যে ভাবা সেই কাজ। রেসিপি তৈরি করতে চলে গেলাম সাথী রান্নাঘরে। তবে,এমন মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করতে কি কি লাগবে এবং কেমন করে তৈরি করব, চলুন দেখে আসি,,,,
☆꧁কাঁচা আম মাখা ꧂☆
☆꧁::প্রয়োজনীয় উপকরন .::. ꧂☆
আম
শুকনা মরিচ
সরিষার তেল
লবণ
চিনি
- আম গুলো ভালো করে ধুঁয়ে, এরপরে ছালগুলো ছিলে নিয়ে একটি গ্রেটারের সাহায্যে এভাবে চিকন করে কেটে নেব।
- আমগুলো কাটা হয়ে গেলে এবার শুকনা লাল মরিচ গুলো তেলে ভেজে নেব।
- এবার একটি প্লেটে আম গুলোর সাথে শুকনা মরিচ, লবণ, সরিষার তেল এবং চিনি দিয়ে ভাল করে মেখে নেব।
- এবার সবগুলো উপকরণ একসাথে করে আমগুলো ভাল করে মেখে নেব। যেন খেতে অনেক বেশি টেস্টি হয়। তবে আমি যখন এটা করতে ছিলাম তখনও কিন্তু আমার জিভ দিয়ে পানি পড়তেছিল।
- এবার একটি কলার পাতার কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে নেব। এবং কাঁচা আমের মাখা গুলো কলার পাতার উপর নিয়ে নিলা।।ছোটবেলার স্মৃতিচারণ এর জন্য। এবং ডেকোরেশনের জন্য।
- এবার তৈরি হয়ে যাওয়া আমের মাখা গুলো খুবই সুন্দর করে ডেকোরেশন করে নিলাম কলার পাতায়।আম এবং আমের ঝাল দিয়ে দুটো ফুলের মত তৈরী করে নিয়েছিলাম। এবং তৈরিকৃত ফুলের মধ্যে আম মাখা গুলো দিয়ে দিয়েছিলাম সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য।
প্রস্তুত এবং ডেকোরেশন হয়ে গেল কাঁচা আমের মাখা। এতক্ষণ নিশ্চয় অনেকের জিভ দিয়ে অনেক জল ঝরে গেছে তাইনা। এবার মজা করে খাওয়ার পালা।আমরা ভাষায় মাত্র দুজন ছিলাম আমি আর আয়েশা। আয়েশার সাথে আপনাদের আরেকদিন পরিচয় করিয়ে দিব।তবে দুজনে খুব মজা করে খেলাম আর ঝালে শো শো শব্দ করতে ধরলাম।কি টেস্ট কি মজা। সবগুলো চেটেপুটে খাওয়ার পরেও আরো খেতে ইচ্ছে করছিল। এই ছিল আমার আজকের স্পেশাল রেসিপি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভাল লাগাই আমার পরম পাওয়া।সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আজকের মত এখানেই। আবারো ফিরে আসবো নতুন কোনো আয়োজন নিয়ে আপনাদের মাঝে।
টা টা,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
কাঁচা আম মাখার রেসিপিটি দেখে সকাল-সকাল জিভে জল চলে আসলো।।
বিশেষ করে যখনি শুনছি একটু ঝাল ঝাল হয়েছে তখন তো আরো বেশি করে খেতে ইচ্ছে করছিল।।
আসলে এই ধরনের খাবার আমার খুবই ফেভারিট গ্রামে গেলে সবাই মিলে একসাথে বসে আম বাগানের মধ্যে খাওয়া হয়।।
অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন প্রতিটি ধাপ শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।।।
আসলে ঝাল ঝাল কাঁচা আমের মাখা খেতে এতটাই মজাদার যে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ঝালের পরিমাণটা একটু বেশি হলে মাখাটা খাওয়া যেন সার্থক হয়।♥♥
সত্যি আজকে আপনি জিভে জল এনে দেওয়া আম মাখা শেয়ার করেছেন ৷ যদিও কাচা আম খেতে পারি না ৷ তবে লবন মরিচ দিয়ে মাখা খেতে ভাবেই লাগে ৷ প্রতিটি ধাপ দেখে ভালো লাগলো আপু ৷ সর্বোপরি লিখতে লিখতে জিভে জল এসে গিয়েছে ৷
আমিও লিখতে লিখতে জিভে জল চলে এসেছিল পোস্ট করার সময়।মূলত এভাবে আম মাখা যত লোভনীয় ততই মজাদার।♥♥
কাঁচা আম মাখা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। এবছর দু-তিন বার আম মাখানো খাওয়া হয়েছে। দুপুরের দিকে আম মাখানো খেতে বেশি ভালো লাগে। পাঁকা আমের থেকে আমার কাছে কাঁচা আম খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ খুবই সুন্দর আম মাখানো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন। কাঁচা আম মাখা খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে, এবছর আমিও দুই থেকে তিন দিন কাঁচা আম মাখা খেলাম। ♥♥
ইশশ্ মাঝ রাতে যে কেন এই আম মাখা চোখে পড়লো। এখন যে খেতে ইচ্ছে করছে কি হবে? যাই হোক কি আর করার কাছে যেহেতু নাই খাইতে পারবো না। তবে বেশ লোভনীয় লাগছে আপু আম ভর্তাটি। আমার কাছে তো আম ভর্তা খেতে ভীষণ মজা লাগে।
মাঝ রাতে হোক, আর সকালে হোক, কিংবা দুপুর বিকেলে যখনই হোক না কেন? আম মাখা চোখে পড়লে ঠিক জিভে জল চলে আসবেই♥
কাঁচা আম মাখানো রেসিপি দেখে জিভে জল এসে গেলো।আমি খুব পছন্দ করি এই আম মাখানো।প্রায় দিনই করি, খেতে ভীষণ ভালো লাগে।আর এই প্রচন্ড গরমে যে কোন টক খেতেই দারুন লাগে। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ছোটবেলায় এই আম মাখা অনেক খেয়েছি। সবাই মিলে আম মাখা খেতেই বেশি মজা। একা একা খেয়ে তেমন মজা পাওয়া যায় না। এজন্য এখন আর তেমন একটা খাওয়া হয় না। আপনার আম মাখা দেখে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। দেখেই মুখে পানি চলে আসছে এত লোভনীয় লাগছে দেখতে।
ঠিক বলেছেন আপু। একা একা আম মেখে খেতে এতটা মজা পাওয়া যায় না। যতটা মজা পাওয়া যায় সবাই মিলে খেলে। আনন্দটা হয় ভরপুর। জমে যায়।
♥♥
আমের সিজনে আসলে আম ভর্তা না খেলেই নয়। আপু আপনি খুব মজাদার একটি আম ভর্তা বানানোর রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমিও ছোটবেলায় কাজিনদের সাথে আম ভর্তা বানিয়ে খেতাম। আম ভর্তার স্পেশাল ছিল বোলের তলায় ঝোল যেটা খাওয়ার জন্য অনেকেই অপেক্ষা করত। যাই হোক আপনার আম ভর্তার পরিবেশন দেখে সত্যিই লোভ লেগে গেল। ধন্যবাদ আপু।
আমের সিজনে আম ভর্তা আমরা সকলেই খেয়ে এসেছি সেই ছোটবেলা থেকে। আর সেই ধারাটা এখনো অব্যাহত আছে অনেক কম পরিসরে। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।♥♥
কাঁচা আম মাখা রেসিপি দেখেই তো জিভে পানি চলে এলো আপু। এই রেসিপিটা এবারের আমের সিজনে অনেক বার খাওয়া হয়েছে। আপনার রেসিপিটা দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি হয়েছে। এককথায় দুর্দান্ত একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সবার জিভে জল আনার জন্যই এই আয়োজন করেছিলাম। এবং আমি সফল ও সার্থক হয়েছি। প্রায় সকলেরই জিভে পানি চলে এসেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।♥♥
টক জাতীয় কোন ফলের কথা মনে আসলেই যেন জীবিত জল চলে আসে। আর বেশি ইচ্ছে করে যদি এই মুহূর্তে পেতাম তাহলে খেতে না জানি কতই দারুণ লাগবে। যাইহোক দারুন একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কাঁচা আম কুচি কুচি করে কেটে ঝালের গুড়া লবণ দিয়ে মাখিয়ে খেতে আমার বেশ ভালো লাগে
টক জাতীয় ফলের নাম শুনলে আসলে আমার নিজের ও জিভের জল চলে আসে ঠিক আপনার মতো করে। ঠিক বলেছেন কাঁচামরিচ, মরিচের গুঁড়া সবকিছু দিয়ে এভাবে মেখে খেলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়।ধন্যবাদ♥♥
আপু আম কিন্তু আমার অনেক পছন্দের একটি ফল। আর আমের সময় আমি এত বেশি আম খাই যে এটি বলা যাবে না। আপনার এই আম মাখা দেখে মনে হচ্ছে এখনই উঠিয়ে নিয়ে খেয়ে ফেলি ।
আপু আম আমারও খুব প্রিয় ফল। বিশেষ করে কাঁচা আম এভাবে মেখে খেতে আমার কাছেও দারুন লাগে। সবাই মিলে একসাথে খেলে আনন্দটা আরো বেড়ে যায়।♥♥