||নাটক রিভিউ‌ -সন্ধিক্ষণ||Shonddhikkhon||

আমি @arpita007 বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশী বন্ধুরা? আশা করি সবাই ভালো আছেন ।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম।নাটকটি আজকেই দেখলাম তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করি। চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক আজকের নাটকের রিভিউ পোস্ট।

কাহিনী সারসংক্ষেপ

প্রথমেই আমরা দেখতে পাই নায়কা রিকশায় চড়ে আসে এবং নায়ক বাসে চড়ে কোথায় যেন যাচ্ছে।নায়কে নায়িকা মোটরসাইকেল চড়ে ফলো করতে থাকে এবং কল্পনা করে আগের কথা তখন ই আমরা জানতে পারি নায়িকার নাম ইরা এবং নায়ক হলো নায়িকার স্যার।

তারপর দেখতে পাই স্যার তাদের বাসায় আসে এবং ইরা তার স্যারকে বাসার ছাদে নিয়ে যায় এবং বলে স্যার এই প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে আপনি আমাকে বায়োলজি সাবজেক্ট পড়াবেন।তখন স্যার বলে এইখানে পড়াবো? তখন ইরা বলে কি সমস্যা স্যার কত সুন্দর আবহাওয়া পড়াতে কি সমস্যা। তখন স্যার দেখো ইরা সময়কে মূল্য দিতে হবে এই সময় চলে গেলে আর ফেরত পাবে না।আর তোমার আব্বু আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন যাতে তোমার পড়াশোনা ঠিকঠাক হয়।এবং তুমি যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাও। সুতরাং আমার দায়িত্ব তোমার পড়াশোনায় খেয়াল রাখা।তখন স্যার ইরাকে নিয়ে ছাঁদ থেকে নামার কথা বললে ইরা তখন বলে এখানেই তো ভালো তাহলে স্যার আজকে আপনি চলে যান।স্যার তখন বলে চলে যাবো কেন?আমি সেদিন ও চলে গেছি তোমার কথায় আজ আর যাবো না চলো পড়তে চলো। তখন ইরা বলে স্যার আমার একটা রোগ আছে।তখন স্যার উত্তর এ বলে আহারে!কি রোগ আছে তোমার? তখন ইরা আবার বলে আসলে আমার যখন তখন মুড সুইং হয় তাই আজ আর পড়তে ভালো লাগছে না ।পরে স্যারকে হঠাৎ ইরা প্রশ্ন করে যে স্যার আপনি কি প্রেম করেন? তখন স্যার উত্তর এ বলে সরি।পরে ইরা বলে স্যার আপনি বলেন না যে প্রেম করেন কিনা। তখন স্যার উত্তর এ বলে যে না সে প্রেম করে না। তখন ইরা বলে যে এজন্য ই তো বুঝতে পারেন না মুড সুইং এর ব্যাপারটা।তাহলে স্যার আজকে আপনি চলে যান।আর বাবা -মা যেন না জানে এই বিষয়টা।

স্যার তখন চলে যায়।ইরা ছাঁদ থেকে নেমে ঘরে আসলে তার মা প্রশ্ন করে ইরা তোর টিচার আজ আসলো না যে তখন ইরা বলে পড়ানো তো শেষ । তখন ইরার মা বলে কখন পড়লি?ইরা তখন বলে এইতো ছাঁদে পড়লাম।ইরার মা তখন বলে ছাঁদে কেন! তখন ইরা বলে স্যার নাকি প্রকৃতির সন্তান প্রকৃতি ছাড়া সে নাকি পড়াবে না।

এরপর আবার বর্তমান সময় দেখানো হয় তখন দেখি ইরা বসে আছে একটা জায়গায়।তখন দেখতে পাই তার পাশের বাড়ি থেকে তার স্যার বের হয়ে আসছে। তখন ইরা এগিয়ে গিয়ে স্যারকে সালাম দেয় এবং বলে যে স্যার কেমন আছেন। তখন স্যার বলে কে আপনি?তখন ইরা বলে স্যার আপনার স্টুডেন্ট আমি ইরা। তখন স্যার বলে কোন ভুল হচ্ছে হয়তো এই নামে আমার কোন স্টুডেন্ট ছিল না‌ এবং স্যার চলে যেতে থাকে । তখন ইরা বলে আমি জানি আপনি আমাকে চিনছেন স্যার।

তখন স্যার অতীতের কিছু কথা কল্পনা করে।আমরা তখন দেখতে পাই ইরার বাবা স্যারকে বলছে যে সে চাই ইরা যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাই।ইরার বাবা আরো বলে যে সে,তার বাবা,তার বড় ভাই এবং ইরার মা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে।বলতে পারো এটা ফ্যামিলি ট্রেডিশন । আমি চাই তুমি ইরাকে ভালো করে পড়াবে, যাতে ও প্রথম চান্সেই চান্স পাই। তখন স্যার বলে যে আঙ্কেল আমি আমার বেস্ট দিয়ে ইরাকে পড়াবো। তারপর ইরার বাবা ইরাকে ডাকে এবং আসতে বলে যাতে ইরাকে স্যারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে।ইরা তখন আসে এবং ওর বাবা বলে উনি হচ্ছে তোমার স্যার।আর এখানেই আমরা স্যারের নাম জানতে পারি স্যারের নাম হচ্ছে রিফাত। তখন ইরা স্যারকে সালাম দেয় । এরপর ইরার বাবা বলে তাহলে তোমরা কথা বলো।এই বলে ইরার বাবা সেখান থেকে চলে যায়। তখন স্যার ইরাকে বলে তুমি মনে হয় অনেক চুপচাপ তাই না!

তারপর আবার আমরা বর্তমানে সময়ে দেখতে পাই স্যার সেখান থেকে চলে যায় এবং ইরা আবার অতীতে কল্পনা করে তখন দেখতে পাই আমরা স্যারকে বসতে বলে তাদের বাসার আকবার। আকবার হচ্ছে ইরাদের বাসায় কাজ করে। আকবার স্যারকে বসতে দিয়ে এককাপ চা দেয় খেতে স্যার চায়ে চুমুক দেয় তখন ইরা হঠাৎ করে এসে বলে যে আকবার শুধু চা কেন চায়ের সাথে বিস্কুট দেও নাই কেন?ইরা জোরে কথা বলায় স্যার ভয়ে মুখ থেকে চা ফেলে দেয়। তখন ইরা বলে প্রথম দিন এসে বই নষ্ট করে ফেললেন এখন আমি কি পড়বো। তখন স্যার বলে সমস্যা নেই আমি পরিষ্কার করে দিচ্ছি। তখন ইরা বলে পরিষ্কার করা তো আপনার কাজ না এই বলে আবার আকবার কে ডাক দেয় ইরা।

এবং পরিষ্কার করতে বলে। এরপর ইরা স্যারকে
বলে পড়ান ।স্যার বলে আচ্ছা পড়াচ্ছি ‌।পড়ে আবার ইরা বলে যে স্যার আপনি তাহলে চলে যান আজকে আমার পড়ার মুড নাই।স্যার তখন বলে পড়ার মুড নাই কোথায় গেছে মুড কতক্ষণে ফিরতে পারে মুড। তখন ইরা বলে মনে হয় আজকে আর আসবে না।আর আপনি আজ চলে যান এবং শোনেন এরপর থেকে প্রিপারেশন নিয়ে আসবেন এভাবে কিন্তু পড়ানো যাবে না। এরপর স্যার মনে মনে বলে তাহলে চলে যাই নাহলে আবার আকবার এর মতো আমার নাম ধরে ডাক দিবে। এইভেবে স্যার উঠে চলে যাচ্ছে তখন ইরা স্যারকে ঢেকে বলে যে বাবা-মা যেন না জানতে পারে।এরপর দেখি ইরা আর তোর ছোট বোন গান শুনছে তখন তার মা এসে বলে কিরে তোদের স্যার কোথায় তখন ইরা মিথা বলে যে তার স্যারের হাত পা কাঁপছিল নার্ভাস ছিল এজন্য চলে গেছে।তখন ইরা তার মাকে বলে যে বাবার কাছে বলে যেন স্যারকে বাদ দিয়ে দেয়। তখন তার বলে যে ইরার বাবা বলছে স্যার নাকি খুব ভালো সব ক্লাসে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছে।তখন ইরা তার মাকে বলে তুমি কি বুঝবা মা স্যারের সাথে তো আমার একটা জেনারেশন গ্যাপ এ।পরে আবার দেখতে পাই বর্তমান সময়ে দৃশ্য।

ইরা দাঁড়িয়ে আছে এবং স্যার বাসে কোথায় যেন যাচ্ছে। স্যার আবার বাসে যেতে যেতে অতীতের ঘটনার কথা কল্পনা করছে। তখন আমরা দেখতে পাই স্যার তার বাসায় ফিরে যাই এবং আসাদকে ডাকতে থাকে। তখন আসাদ স্যারকে জিজ্ঞেস করে কিরে আজকে না পড়াতে গেছিলি এত তাড়াতাড়ি ফিরে আসলি যে। তখন স্যার উওর দেয় যে আজ প্রথম দিন ছিল এজন্য। এখানে বলে রাখি আসাদ হচ্ছে স্যারের মেসের রুমমেট বন্ধু ।স্যার আসাদকে বলে কিরে ভাত কই? তখন আসাদ বলে ভাত তো আমি খেয়ে ফেলছি।তখন স্যার বলে আমি কি খাবো?তখন আসাদ বলে তুই না পড়াতে গেছিস খাবার দেয় নাই! তখন স্যার বলে যে আশ্চর্য খাবার দিবে না কেন দিছে তো বার্গার , চিকেন,সস অনেক কিছু দিছে কিন্তু স্যার খায় নাই মিথ্যা কথা বলে এখানে।তখন আসাদ বলে যে তোর জন্য একটা বার্গার এনে রাখলাম কিন্তু তুই তো খাস না। তখন স্যার বলে আমি তো বাইরে বার্গার খায় না বাসায় বার্গার খায়।

এরপর আমরা আবার বর্তমান সময়ের দৃশ্য দেখতে পায় ।স্যার যখন বাসের অপর পাশের দিকে তাকায় তখন ইরাকে দেখতে পায়।ইরা স্যারকে ইশারায় সরি বলছে এই দেখে স্যার সিট থেকে উঠে বাসের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ায়।

আবার অতীতের কল্পনা করে স্যার তখন আমরা দেখতে পাই স্যার ইরার বলা কথাগুলো ভাবছে।তখন আসাদ বলে উঠে কিরে মুড অফ নাকি কথা বলছিস না যে।কোন ঝামেলা হয়েছে। তখন স্যার উত্তর এ বলে না কোন ঝামেলা হয় নাই। তখন আসাদ আবার জিজ্ঞেস করে কিরে তোর নতুন স্টুডেন্ট এর খবর কি। তখন স্যার বলে মনে হয় না নতুন স্টুডেন্টকে বেশি দিন পড়াতে পারবো।পরে আসাদ বলে কেন?তখন রিফাত বলে যে দুইদিন হয়ে গেছে এখন ও বই ই খুলতে পারি নাই। পড়তে ই চায় না।একদম মরিচের মতো কথার কি ঝাঁজ ওরে বাবা। এই জেনারেশনের ছেলেমেয়েদের একটা ঝামেলা আছে যে তাদের কোনভাবেই কন্ট্রোল করা যায় না। এই কথা শুনে আসাদ বলে যে হ্যাঁ ওদের কন্ট্রোল করা যায় না কিন্তু ওদের সাথে মেন্টালি এটাস্ট হয়ে গেলে তখন আর সমস্যা হবে না ।তোর মনে আছে আমি উত্তরায় একটা ছেলেকে পড়াতাম না ক্লাস টেন এ পড়তো ও তো আমার কাছে ১০ মিনিটের বেশি পড়তোই না এক সপ্তাহ যাবত। তখন রিফাত বলে তারপর ! তখন আসাদ বলে যে ওর সাথে আমি গল্প করছি সবকিছু বোঝার চেষ্টা করছি তারপর সহজ আর কোন সমস্যা হয় নাই।

তারপর আবার আমরা বর্তমানে সময়ের দৃশ্য দেখতে পাই তারপর আবার কল্পনা করে অতীতের স্মৃতি রিফাত তখন আমরা দেখতে পাই ইরা রিফাতকে বলছে যে স্যার আজ আপনার ৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ড দেরি হয়েছে আসতে পড়াতে। আপনার তো ৫ টায় আসার কথা স্যার।তখন স্যার বলে বাসে আসছি তো এজন্য দেরি হয়েছে।তখন ইরা বলে কেন স্যার আপনার গাড়ি নেই?তখন রিফাত উত্তর এ বলে না ইরা আমার গাড়ি থাকলে তোমাকে আর পড়াতাম না।

এরপর ইরা রিকশা ডাকে এবং রিফাতকে বলে স্যার চলেন। রিফাত বলে কোথায় যাবো?তখন ইরা বলে যে আগে তো চলে দেখতেই পাবেন। এরপর তারা দুজন রিকশায় উঠে। রিকশায় উঠে রিফাত অনেক বার জিজ্ঞেস করার পর ইরা বলে যে পার্কে যাচ্ছে তারা।এরপর পার্কের দৃশ্য দেখতে পায় আমরা ।ইরা স্যারকে বসতে বলে আর বলে পড়ান তখন রিফাত বলে বই কোথায় এভাবে তো তোমাকে আমি পড়াতে পারবো না।তখন ইরা বলে যে স্যার আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই না আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়তে চাই।তখন রিফাত বলে যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এ যেতে চাচ্ছে যে হঠাৎ। তখন ইরা বলে স্যার আমার বয়ফ্রেন্ড চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়ে। এই কথা শুনে স্যার বলে যে শোন তোমার এখন পড়াশোনা করার বয়স প্রেম করার বয়স না।পরে ইরা উওর এ বলে যে স্যার জেড প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা ও প্রেম দুইটা একসাথে ই করতে পারে। এখন থেকে স্যার আমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পড়াবেন।স্যার তখন রাজি হতে চায় না।তখন ইরা বলে যে স্যার আপনি কিছু সুযোগ সুবিধা পাবেন। এরপর রিফাত বলে কি বলো আমি তোমার স্যার হই । তখন ইরা বলে যে স্যার অন্য কিছু ভাববেন না আমি আপনাকে টাকার পরিমাণ বাড়ানোর কথা বলছি।

এরপর আবার বর্তমান সময়ের দৃশ্য দেখতে পায় আমরা এরপর ইরা আবার অতীতের কল্পনা করে তখন দেখতে পাই আমরা ইরা আর তার ছোট বোন কথা বলছে তখন ইরার বাবা ও আসে। ইরার বাবা জানতে চাই আর কি নিয়ে কথা হচ্ছে তাদের মধ্যে। তখন ইরা বলে যে বাবা তুমি তো আমাদের কখনো ট্রেন ভ্রমণ এ নিয়েই যাওনি। পরে তার বাবা বলে যে হ্যাঁ তোমাদের নিয়ে যাওয়া হয়নি। এরপর ইরার বাবা ইরার কাছে জানতে চাই যে রিফাত কেমন পড়াচ্ছে? তখন ইরা বলে যে খুব ভালো পড়াচ্ছে স্যার। তখন তার বাবা বলে যে রিফাত ভালো পড়ালেই তো হবে না তোমাকেও পড়তে হবে। এরপর আবার বর্তমান সময়ের দৃশ্য দেখানো হয়।আমরা দেখতে পাই রিফাত তার বাসার ছাদে দাঁড়িয়ে আছে এবং বাসার সামনে ইরা দাঁড়িয়ে আছে।এরপর পরের দিন বাসে রিফাত উঠে দেখতে পাই যে তার পাশের সিটে ইরা বসে আছে।

এরপর সিট থেকে রিফাত উঠি গিয়ে বাসের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ায় এবং অতীতের স্মৃতি কল্পনা করে তখন দেখতে পাই ইরার মা বাবা রিফাতকে অনেক কথা শোনাচ্ছে পার্কে পড়ানোর কথা বলা নিয়ে। এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয় রিফাতকে। রিফাত বাসায় ফিরে যায় এবং সব ঘটনা কল্পনা করে তাকে অপমান করার ঘটনা।

এরপর আমরা বর্তমান সময়ের দৃশ্য দেখতে পায় ইরা রিফাতের অফিসের গেটের ঐখানে গেলে সিকিউরিটি গার্ড জিজ্ঞেস করে কার কাছে যাবেন তখন ইরা বলে রিফাত স্যারের কাছে তখন সিকিউরিটি গার্ড ফোন করে বলতে গেলে তখন ইরা নিষেধ করে ফোন দিতে। তখন তাদের অফিসের বস এসে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে সিকিউরিটি গার্ড সব বললে তখন বস ইরা জিজ্ঞেস করে কে হন আপনি রিফাত সাহেবের।তখন ইরা বলে হাসবেন্ড।ইরাকে বস অফিসের মধ্যে নিয়ে যেতে চাইলে ইরা বলে রিফাতকে নিচে পাঠিয়ে দিতে।

তখন রিফাতের বস রিফাতকে গিয়ে বলে আপনার বউয়ের সাথে গিয়ে দেখা করে আসেন। রিফাত বসকে বোঝাতে যাই সে বিয়ে করে নাই কিন্তু কোন কাজ হয় না। এরপর নিচে এসে দেখে ইরা দাঁড়িয়ে আছে। এরপর ইরার হাত ধরে বাহিরে নিয়ে গিয়ে রিফাত বলে আপনি আমার অনেক ক্ষতি করেছেন আগের বার আপনার মায়ের থেকে আমার পরিবার সম্পর্কে খারাপ কথা শুনতে হয়েছে কিন্তু কিছু বলি নাই কারণ আপনি ছোট্ট ছিলেন একথা ভেবে বলি নাই কিছু আমি।এখন আবার আমার অফিসে এসে ঝামেলা করছেন।এই কথাগুলো বলে রিফাত চলে যায়।

তখন ইরা অতীতের ঘটনা কল্পনা করে তখন দেখতে পাই ইরার বাবা ইরাকে জিজ্ঞেস করে কিরে পার্কে গিয়েছিলি কেন তখন ইরা মিথ্যা কথা বলে তার বাবাকে যে স্যার তাকে প্রপোজ করছে।

এরপর বর্তমান সময়ের দৃশ্যে দেখতে পাই রিফাত বাসে চড়ে কোথায় যেন যাচ্ছে। তখন রিফাত কল্পনা করে তার পাশের সিটে ইরা বসে আছে তখন রিফাত তার হাতের উপর হাত রাখে।পরে ভ্রম কেটে গেলে রিফাত দেখে তারপাশে একটা ছেলে বসে আছে।

এরপর আমরা দেখতে পাই সিকিউরিটি গার্ড রিফাতকে একটা পার্সেল দিয়ে বলছে যে এটা তার ওয়াইফ রেখে গেছে তার জন্য। রিফাত পার্সেলটি খুললে দেখতে পাই তার মধ্যে একটা ঘড়ি এবং একটা চিঠি রয়েছে।

চিঠিতে ইরা বলে এই আইডিয়াগুলো তার বয়ফ্রেন্ড এর তার ছিল না।ইরা তার বয়ফ্রেন্ডকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য চট্টগ্রামে তার বাসায় গিয়ে দেখতে পাই তার বাসায় তার আর একটা গার্লফ্রেন্ড ইরা বুঝতে পারে তাকে ঠকানো হয়েছে। এরপর বাসায় ফিরে অনেক দিন মন খারাপ থাকে।

তারপর ইরা দেখতে পাই টিউশন পেজ থেকে রিফাতকে ব্যান্ড করা হয়েছে এই দেখে ইরার আরো অনেক বেশি খারাপ লাগে। এরপর টিউশনির সেন্টারে গিয়ে ইরা সব ঘটনা খুলে বলে।ইরার বাবা মা ও জানতে পারে বিষয়টি। তারপর ইরার তার বাবার কথা মতো প্রিপারেশন নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্য এবং চান্স ও পাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।ইরা বলে স্যার আপনার কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আপনাকে এই কয়দিন বিরক্ত করেছি।স্যার আপনি যদি আমাকে ক্ষমা করে দেন তাহলে কাল বিকেলে স্যার আপনার সাথে দেখা করতে চায়। এরপর দেখা করার পর তারা সারাজীবন একসাথে থাকার প্রতিশ্রুতি করে।

এইখানে নাটক সমাপ্ত হয়।

সবগুলো স্ক্রিনশর্ট- ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে

নাটকটির কাহিনী মোটামুটি ভালোই ছিল।কয়েকটা সিন হাসির ছিল।তবে স্টুডেন্ট ও টিচার এর রকম সম্পর্কের বিষয়টা আন্তরিকতা পূর্ণ হলে ভালো হতো। তাছাড়া নাটকটি বেশ ভালো ছিল।