আজ- ৩ ফাগুন | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | বুধবার | শীতকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে শীত বিদায় নিলেও বাস্তবে শীতের দাপট এখনো পুরো মাত্রায় বিদ্যমান। ভ্রমণের জন্য শীতের সময় কে আমার কাছে আদর্শ মনে হয়। সাজেক থেকে ঘুরে এসেছি তাও প্রায় তিন মাস হয়ে গেল। এর মধ্যে ইচ্ছা থাকলেও আর কোথাও যাওয়া হয়নি। বাড়িতে বসে বসে যখন বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম তখন এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনতে পেলাম পার্শ্ববর্তী উপজেলায় পেদা টিং টিং নামের একটি নতুন রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনের কথা। সাজেকের সেই বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট দেখে এসেছি কয়েক মাস আগে। বেশ ভালো একটি অনুভূতি তৈরি হয়েছিল রেস্টুরেন্টটি সম্পর্কে। তাই একই নামের রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল অনেকদিন ধরেই।

আজ বিকেলে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলায় অবস্থিত পেদা টিং টিং রেস্টুরেন্ট এর খোঁজে। ঘুরতে যাওয়ার সঙ্গী বন্ধু রূপক পা ভেঙে বেড রেস্টে থাকায় সঙ্গে নিলাম সহধর্মিণী আর ছেলেকে। প্রায় এক ঘণ্টা বাইক চালিয়ে অবশেষে পৌঁছে গেলাম রাস্তার পাশে অবস্থিত রেস্টুরেন্টটিতে। একটি বড় সাইজের পুকুরের উপর রেস্টুরেন্টটি অবস্থিত হলেও শীতের সময় হওয়াতে নিচে পানি ছিল না মোটেই। তবে সাজসজ্জা এবং বসবার স্থানগুলো ছিল আকর্ষণীয়।


খাবারের মেনুটা ছিল বেশ লম্বা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত হলেও আধুনিক রেস্টুরেন্টের প্রায় সব জনপ্রিয় খাবারের ব্যবস্থাই এখানে ছিল। আমরা অর্ডার করেছিলাম তন্দুরি চিকেন আর রেশমি কাবাব। সেইসঙ্গে ছিল কাবলী নান আর পেদা টিং টিং স্পেশল নান রুটি। পানীয় হিসেবে নিয়েছিলাম কোকাকোলা আর ফ্রুটিকা। দামটা আমার কাছে একটু বেশি মনে হলেও খাবারের স্বাদটা যথেষ্ট ভালো ছিল।


খাওয়া-দাওয়ার একপর্যায়ে জানতে পারলাম বোরহান নামের এক তরুণ উদ্যোক্তা গড়ে তুলেছেন এই রেস্টুরেন্টটি। তিনি আমাদের জানালেন লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেই কিছু করবেন এই ছিল তাঁর ইচ্ছা। আর এই ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করতেই শুরু করেছেন এই রেস্টুরেন্ট ব্যবসা।

ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৭/১০

আজকের মতো এতোটুকুই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
পেদা টিং টিং রেস্টুরেন্ট নামটি সত্যিই অনেক মজাদার ☺️। এই রেস্টুরেন্টে আমি আজও কখনো যায়নি তবে রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা খুবই মনোরম। এখানে সুন্দর সময় গুলো খুবই চমৎকার ভাবে কাটানো যাবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে অনেক তথ্য পেলাম তা ছাড়াও পোস্টটি আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ❤️❤️❤️
মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
রেস্তোরাঁর নামটি ছিল বেশ মজাদার 😀। তবে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা ছিল চারপাশটা । এই ব্যাপারটা বেশ ভালো লেগেছে। নিরিবিলিতে সময় কাটিয়ে মনটাকে ভালো করার জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা বলে মনে হচ্ছে। রিভিউ দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। বর্ণনাটা খুব সুন্দর লেগেছে।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো দিদি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পা ভালো হয়ে গেলে প্রথম টার্গেট এই রেস্টুরেন্টে যাওয়া। রেডি থাকো।
আমি রেডি। তোমার ফোনের অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক সুন্দর একটি রিভিউ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলে রেস্টুরেন্টের নামটি পড়ে আমি হাসতেছি। যাইহোক অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে খাওয়া-দাওয়ার এবং রিভিউটি আমার সাথে তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা থাকবে সবসময়।
রেস্টুরেন্টের নামটি এমন রাখার কারন কি তা জানা হয়নি। আবার কখনো গেলে জেনে আসবো। মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
রেস্টুরেন্ট অনেক সুন্দর ছবি দেখে মনে হচ্ছে। নাম তো খুব ইন্টারেস্টিং পেদা টিং টিং। রেস্টুরেন্টের আলোকসজ্জা টা বেশ সুন্দর। খাবারের মান কেমন জানি না,তবে দাম মনে হচ্ছে অনেক।
উপজেলা লেভেলের রেস্টুরেন্ট হিসেবে দাম আসলেই অনেক বেশি। মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সবই বুঝলাম কিন্তু রূপক ভাইয়ের যে পা ভেঙে গিয়েছে, তা কিন্তু আপনার পোস্টের মাধ্যমেই জানতে পারলাম । যাইহোক আমি কিন্তু সত্যিই জানতাম না । আপনার ট্রাভেল ও রেস্টুরেন্ট রিভিউ অভিজ্ঞতা জেনে খুশি হলাম।
গত পরশু দিন পা ভাঙছে। তাই হয়তো এখনো সবাইকে জানাতে পারেনি। কমেন্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।