হঠাৎ নান রুটি ও গ্রিল হাওয়ায় অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
হঠাৎ নান রুটি ও গ্রিল হাওয়ায় অনুভূতি
কয়েকদিন আগে বাচ্চাদের নিয়ে গিয়েছিলাম মার্কেটে।যেহেতু আমরা দুপুরের দিকে গিয়েছিলাম।তবে যাবার সময় তেমন খাওয়া হয়নি। আসলে বাচ্চারা কোথাও যেতে চাইলে সব কিছু বাদ দিয়ে রেডি হয়। তারজন্য তাদের আর দুপুরে খাওয়াতে পারিনি।তারপর আমরা যখন বের হয় তখন রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। আসলে রাস্তায় মিটিং ছিল। যাইহোক যেখানে বিশ মিনিট লাগে সেখানে এক ঘন্টা লেগেছে। তারপর অবশেষে আমরা মার্কেটে পৌঁছালাম।কিন্তু পৌঁছাতে পৌঁছাতে বাচ্চাদের ক্ষুদা লেগে গেল। তারজন্য আগে বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
তারপর সামনে পড়ল সুলতানী রেস্টুরেন্ট। আসলে এই রেস্টুরেন্টে অনেক গুলো শাখা রয়েছে। তবে এটা হচ্ছে সবচেয়ে পুরানো রেস্টুরেন্ট। তাই আমি বেশির ভাগ সময় এই রেস্টুরেন্ট থেকে খায়। কয়েকটি দিন আগে যখন এই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম তখন দেখলাম অনেক ভীর রয়েছে।আসলে এমনিতে বিএনপি এর মিটিং ছিল। তারজন্য একটু বেশি ভীর ছিল। এতোটা ভীর ছিল যে ছবি গুলো ভালো মতো তুলতে পারি নি।
তারপর আমরা গ্রিল নান রুটি অর্ডার দিয়ে সোজা চলে গেলাম রেস্টুরেন্টের ভিতরের দিকে। তবে রেস্টুরেন্টে ভীর থাকলেও তারা অনেক তারাতাড়ি খাবার দিয়ে দিচ্ছে। তবে যতটুকু দেরি হয়েছে তাতেই বাচ্চারা অস্হির হয়ে পড়েছে।আসলে তাদের এই ফাস্টফুড খাবার যেগুলো দেখলে একটু বেশি ক্ষুধা লাগে। এগুলো বাচ্চাদের অনেক পছন্দ। তবে দুই বোন মিলে কিন্তু একটা খেতে পারে না হা হা হা।যাইহোক আমি দুই বোনের জন্য দুটি অর্ডার করলাম।
আমরা দশ মিনিট বসার পরে আমাদের খাবার সামনে চলে আসলো।তবে একটা খাবার আগে দিয়েছে। আর সেটা বড় মেয়ে নিয়েছে তাই ছোট জনের মন খারাপ। তারপর দুজনে একটা খেতে লাগলো।যখন একটা শেষ হলো না তখন আর একটা প্যাকেট করে নিয়ে আসলাম। আসলে এরা আবার বেশি খেতে পারে না।তবে বাড়িতে এসে অনেক মজা করে খেয়েছে। সত্যি বেশ ভালো ছিল খাবার গুলো। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1893299936545910934?t=WybD8Tl3d6s4VDlZrA6LFA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফাস্টফুড খাবারগুলো শুধু বাচ্চারা কেন আপু বড় মানুষ ও ভীষণ পছন্দ করে। মার্কেট করতে গেলে সত্যি কি কি কিনবো, কখন যাবো, রেডি হওয়া সব মিলিয়ে অনেক সময় লেগে যায়। এরপরে আবার আপনাদের যেতে যেতে জ্যামে আটকে পড়েছিলেন সাথে বাচ্চার ছিল তাই ক্ষুধা লেগে যায়। তাই আপনারা রেস্টুরেন্টে খেতে চলে গেলেন। নান রুটি আর গ্রিল খেতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। খুব সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপু।
গ্রিলের সাথে নান রুটি বেশ জমজমাট একটা খাবার। আর আপনি মেয়েরা সহ খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। পরিবারসহ একসাথে কোথাও খেতে গেলে অন্যরকম ভালো লাগে।আমরাও মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গায় যাই এরকমই খাওয়া-দাওয়া করতে। যাইহোক আপু টাইটেল এ একটু সমস্যা হয়েছে ওইটা একটু ঠিক করে নিয়েন।
বাচ্চাদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে নান রুটি এবং গ্রিল খাওয়ার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন আপু। মিটিং থাকার কারণে রাস্তায় জ্যাম ছিলো সেজন্য মার্কেটে পৌঁছাতে অনেক দেরি করে ফেলেছিলেন। যাওয়ার পথে সুলতানি রেস্টুরেন্টে বাচ্চাদের নিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন। ভিড় থাকার কারণে ছবিগুলো ভালো করে তুলতে পারেননি। বাচ্চাদের নিয়ে মাঝে মাঝে এরকম খেতে গেলে ওরা অনেক খুশি হয়। রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করে নিয়েছেন পড়ে ভালো লাগলো আপু।
যতদূর সম্ভব আপনার টাইটেলের নামটি ভুল রয়েছে। অর্থাৎ আমার মনে হয় যে আপনার এই টাইটেলের নামটি নান রুটি ও গ্রিল খাওয়ার অনুভূতি হবে। যাইহোক আমি ভুল কি সঠিক আপনি একটু বলবেন। আর এই খাবারটা কিন্তু আমার কাছে একটা ভীষণ প্রিয় খাবার। পরিবারের ছোট সদস্যদের নিয়ে এত সুন্দর একটা খাবারের অনুভূতি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।