ফটোগ্রাফিঃ-ভিন্ন ভিন্ন সাতটি রেমডম ফটোগ্রাফিতে আমার আজকের ব্লগ।
প্রিয় পরিবার,
আসসালামুয়ালাইকুম। সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের নতুন ব্লগে। আমি আজকে ফটোগ্রাফ শেয়ার করবো। আশা করি বন্ধুরা সবার কাছে বেশ ভালো লাগবে আমার আজকের ফটোগ্রাফি ব্লগ। ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। যখন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি আপনারা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেন আরো বেশি আনন্দিত হই। ফটোগ্রাফি করার পাশাপাশি ভিডিও করতে অনেক ভালো লাগে। তবে চেষ্টা করতেছি কতটুকু ভালো করতে পারি সেটা অবশ্যই আপনারা কমেন্টের মাধ্যমে জানালে ভালো লাগে। সবাই এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেন সবার গুলো দেখে অনুপ্রাণিত হয়।
আমাদের বাংলাদেশের প্রকৃতি খুবই সুন্দর। এক এক সিজনে আমরা এক এক ধরনের প্রকৃতি দেখতে পাই। বর্ষাকালের বৃষ্টি ফোঁটা/ বৃষ্টি ভেজা ফটোগ্রাফি খুব ভালো লাগে। চেষ্টা করি সময় সুযোগ পেলে বাইরে গেলে ফটোগ্রাফি গুলো করার। কোন কিছুতে দক্ষতা এত সহজে হয় না করতে করতে এক সময় ভালো একটি দক্ষতা চলে আসে। তাই আমিও চেষ্টা করি ফটোগ্রাফি করার। যে কোন সুন্দর বিষয় দেখলে সেগুলো ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চেষ্টা করি। চেষ্টা করি এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদেরকে বিনোদন দিতে। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকে শেয়ার করা ভিন্ন ক্যাটাগরির রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে—
কাঁচা আমঃ-
আম খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ আম ফলন হয়। আমাদের জাতীয় ফল আম না হলেও আমগাছ আমাদের দেশের জাতীয় গাছ। আমরা প্রতিবছর এই সিজনে চেষ্টা করি প্রচুর পরিমাণ আম খাওয়ার। এটাও চেষ্টা করি যে আমাদের বাড়ির আশেপাশে আম গাছের চারা রোপন করার। অতি সহজে স্বল্প সময়ের মধ্যেই গাছে আম ধরে ভীষণ ভালো লাগে। আজকের এই আমের ফটোগ্রাফিটা আমি আমাদের ছাদ বাগান থেকে নিয়েছিলাম। বৃষ্টিতে ভেজার কারণেই পাতাসহ আম দেখতে খুবই ভালো লাগছিল।
রঙ্গন ফুলঃ-
রঙ্গন ফুল দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। প্রায় সময় দেখা যায় রঙ্গন ফুল। এই ফুল এমন একটি ফুল বিশেষ করে সব সিজনে দেখতে পাওয়া যায়। যে কোন সিজনে আমি রঙ্গন ফুল দেখতে থাকি। এত সুন্দর ফুলের বাগান আমি জল তরঙ্গ রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে নিয়েছিলাম। সেখানে প্রবেশ পথে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুলের বাগান রয়েছে। আমি যখন জল তরঙ্গ রেস্টুরেন্টের প্রবেশ করবো সেই মুহূর্তে আমি এই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম। রঙ্গন ফুল গুলো দেখতে খুবই সুন্দর ছিল। বিশেষ করে গাছ গুলো সাইজে অনেক বড় ছিল।
সবুজ ধান ক্ষেতঃ-
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হচ্ছে সবুজ ধান ক্ষেত। কৃষিকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশের হাজারো মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়। গ্রামীণ পরিবেশে যদি ধান চাষ করা না হয় তাহলে আমাদের এই বাংলাদেশের শত কোটি মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে না। যদিও বিদেশ থেকে আমদানি করে প্রচুর পরিমাণ চাল। কিন্তু দেশেও প্রচুর পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়। গ্রামের পরিবেশে সুন্দর সবুজ ধান ক্ষেত দেখতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে এই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম আমি ঈদের সময়। যখন গ্রামের বাড়িতে যেয়ে বাইরে বিকেল বেলায় ঘুরতে বের হয়েছিলাম সেই মুহূর্তে নিয়েছিলাম।
সূর্যাস্তঃ-
আমাদের প্রকৃতি খুবই সুন্দর। আমরা যে মুহূর্ত দেখি না কেন আমাদের আকাশ আমাদের চারপাশের দৃশ্য আমাদেরকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে। সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি আমার দেখতে খুব ভালো লাগে। যখন সূর্য অস্ত যায় তখন সূর্যের এমন রং ধারণ করা মুহূর্তটি অসাধারণ হয়। সূর্যের এমন সুন্দর লাল রশ্মি পুরো পৃথিবী রাঙিয়ে তুলে রংবেরঙের করে। আমরা যখন ইনানী পিকনিকে গিয়েছিলাম তখন ইনানী বীচ থেকে নিয়েছিলাম। এমন মুহূর্তে যখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিলো সূর্য দেখতে এত ভালো লাগছিল পুরো দৃশ্যটা বদলে গেছিল। তাই সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম।
ব্রিজের দৃশ্যঃ-
এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন খুব সুন্দর একটি ব্রিজের দৃশ্য। এই ব্রিজ আমাদের কক্সবাজার শহরের পাশাপাশি একটি বিচ্ছিন্ন এলাকাতে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।এই ব্রিজ তৈরি করতে বেশ সময় নিয়েছিল কয়েক বছরে। হয়তো আরো বেশি লেগেছিল আমার জানামতে। কতদিন লেগেছিল ঠিক আমার জানা নেই। বিচ্ছিন্ন একটি এলাকাতে এই ব্রিজের সংযোগ হওয়ার কারণে কক্সবাজার শহরের দৃশ্যটা আরো পাল্টে যায়। বিশেষ করে কক্সবাজারের অসহায় গরিবদের জন্য স্থাপিত সরকারের আওতাধীন বসত বাড়ি স্থাপন করা হয়েছে। এই ব্রিজ স্থাপনের কারণে সেই বিচ্ছিন্ন এলাকা থেকে মানুষ খুব সহজেই কক্সবাজার শহরে আসতে পারে এবং এই রাস্তা দিয়ে কুরুশকুল ইউনিয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারে। ভীষণ ভালো লাগে আমার দেখতে এই ব্রিজ তাই আপনাদের সাথে ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নিলাম।
কাঠ গোলাপ ফুলঃ-
কাঠ গোলাপ আমার দেখতে খুব ভালো লাগে। যদি হয় এত সুন্দর কালারের কাঠ গোলাপ ফুল তাহলে চোখ মন ধরে রাখা যায় না। এ ধরনের কাঠগোলাপ ফুলগুলো আমাদের ছাদ বাগানে সব সময় দেখা যায়। বিশেষ করে বর্ষা ঋতুতে আমি অনেক বেশি দেখি। আমাদের ছাদ বাগানে লাগানো হয়েছে এই গাছ। কিছুদিন পর পর ফুলের কুঁড়ি আসে এবং ফুলগুলো দেখতে পাই। তো আমি যখন ছাদে যাই তখন এই ফুল গুলো আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে। তাই আমিও চেষ্টা করি ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করার।
শহরের রাতের দৃশ্যঃ-
শহরের এমন সুন্দর রাতের দৃশ্য আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে। এই দৃশ্যটির আমি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম কক্সবাজারের জল তরঙ্গ হোটেল এবং রেস্টুরেন্টের এরিয়া থেকে। যখন আমি বাচ্চাদেরকে নিয়ে সেখানে ঘুরতে যাই সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যার পরে এমন সুন্দর লাইটিং এর মাধ্যমে ফুল জায়গাটি জ্বলজ্বল করে উঠলো। এত সুন্দর দৃশ্য সত্যি মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র সৈকতের পাশে এমন শীতল হাওয়ায় বসে এত সুন্দর পরিবেশের সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। বাইরে খুব সুন্দর দোলনার ব্যবস্থা আছে সেখানে বসে সময় কাটানো যায়। বাচ্চারা তো অনেক বেশি উত্তেজিত ছিল এমন সুন্দর দৃশ্য দেখে। তবে আমার আরো অনেক বেশি ভালো লেগেছিল এমন সুন্দর দৃশ্য দেখে।

ক্যামেরার বিবরণ
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
লোকেশন | কক্সবাজার |
ক্যাটাগরি | রেনডম ফটোগ্রাফি। |
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#rendomphotography #flowerphotography #natureofbeauty #steemexclusive #amarbanglablog #steemit #shy-fox
আপু আপনার দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কাঠ গোলাপ ফুল আমার ভীষণ প্রিয়। ভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি করতে এবং দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ছিলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অনেক অনুপ্রাণিত হলাম ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
https://x.com/nahar_hera/status/1812388958325924012?t=WD53ges0i898DQSiMAKMFw&s=19
সূর্যাস্তের ছবিটি সবথেকে ভালো লেগেছে। বাকি ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। আপনাদের দেশের জাতীয় গাছের আম গাছ তা আগে জানতাম না। ধানের দুটো রঙ হয় জানেন। গোরা নাটকে রবি ঠাকুর ধানি রঙের শাড়ি পরতে বলেছিলেন, সেই ধানি রং কি? কখনো ভেবেছি পাকা ধানের রং কখনোই কাঁচা সবুজ ধানের রং। ভীষণ সুন্দর হয়েছে আপনার ধান ক্ষেতের ছবি টিও।
ধানের রং খুবই ভালো লাগে আপু। কাঁচা ধানের রং সবুজ আর পাকা ধানের রং সোনালী বর্ণের অনেক ভালো লাগে দেখতে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
৭টি সুন্দর সুন্দর ছবি নিয়ে অসাধারণ একটি রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট প্রস্তুত করেছেন আপু।প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ধান খেত এবং সূর্য অস্তের ফটোগ্রাফিটি আমার বেশি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ জানাচ্ছি ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেন। ভালোলাগার জন্য অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হলাম।
রেন্ডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগে আমার কাছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুবই দারুন করেছেন আপনি।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো লাগলে আপনার অনুভূতি জানতে পেরে।
গাছে থাকা আমটা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। রাতের লাইটগুলোর ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কাঠগোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি টাও দারুন হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
এখন কিন্তু আমের মধ্যে আর টক নেই। যদি টকওয়ালাম হতো খেয়ে নিতাম আপু। টক আম ভর্তা করে খেতে খুব ভালো লাগে।
আপনি আজকে বিভিন্ন এলোমেলো ফটোগ্রাফী দিয়ে একটি অ্যালবাম সাজিয়েছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী চোখ জুড়ানোর মতো। আপনি দক্ষতার সাথে প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী ধারণ করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী দেখে।
অনেক উৎসাহ পেলাম ভালো লাগলো আপনার খুব সুন্দর মতামত পড়ে।
ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এক সাথে অনেক গুলো ফটোর সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করা যায়।আপনি দারুন সব ফটোগ্রাফি করেছেন আপু।আপনার করা প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।খুব আকর্ষণীয় লাগছে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে সময় দিয়ে দেখার জন্য।
আপনি আজ আমাদের মাঝে ভিন্ন ভিন্ন সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে থেকে বেশ ভালো লেগেছে। এবং অনেক সুন্দর কিলিয়ার ছিল ফটোগ্রাফি গুলো মনে হচ্ছিল যেন আপনি ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো উঠেছেন।সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে কাঠ গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফিটি।
বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আপনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। সূর্যাস্তের অসাধারণ সৌন্দর্য বেশ মনমুগ্ধকর। আসলে ধান ক্ষেতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কাঠগোলাপ ফুলের সৌন্দর্য বেশ দারুণ। এতো চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ভালো লাগলো আপনার সাবলীল ভাষায় করা মতামতটি পড়ে।