"দোল যাত্রার হোলি উৎসব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৪ ঠা মে, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। বর্তমানে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে প্রতিটি মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছে। কয়েকদিন হল ঢাকা থেকে গ্রামে এসেছি গ্রামীণ প্রকৃতি উপভোগ করতে পারছি কিন্তু প্রচণ্ড গরমের জন্য মাঝে মাঝে অস্বস্তি লাগে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছর অনেক দেব-দেবতার পূজা করে থাকে। প্রতিবছর অনেক ধর্মীয় উৎসব হয়ে থাকে এসব ধর্মীয় উৎসবে অনেক মজা হয়। আমাদের গ্রামের শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের প্রতিবছর আমরা দোলযাত্রার হোলি উৎসব পালন করে থাকি। আমাদের শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের দোল যাত্রার হোলি উৎসবের সুন্দর মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমাদের পাড়ায় শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির স্থাপিত হয়েছে প্রায় ১৫ বছর মতো। আমাদের এই মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়াতে ছয় সাত বছর আগেও এখানে কোন ধরনের পূজা হতো না। তারপরে আমাদের পাড়ার ইয়াং জেনারেশনের উদ্যোগে আমরা প্রথম দোলযাত্রার হোলি উৎসব পালন করি আমাদের শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে। আমাদের এসব অঞ্চলে অন্যান্য মন্দির দেখা গেলেও রাধা কৃষ্ণ মন্দির নেই বললেই চলে। আমরা প্রতিবছর দোলযাত্রার আগে আমাদের শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির টি সুন্দরভাবে লাইটিং করি।
এবছর দোলযাত্রার হোলি উৎসবের কয়েকদিন আগেই আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য মিলে মন্দিরটি সাজিয়েছিলাম। দোলযাত্রা হোলি উৎসবের দিনে প্রথমে আমরা পাড়ায় নগর কীর্তন এর মাধ্যমে দিনটি শুরু করি। আর এই নগর কীর্তন থেকে আমরা চাল, ডাল, টাকা এক কথায় যে যা দেয় তাই ভিক্ষা করি। নগরকীর্তনের পরেই শুরু হয় হোলি উৎসবের মেইন আনন্দ আর সেটা হলো রং খেলা বা হোলি খেলা।
আমরা প্রতিবছরই দোল যাত্রার হোলি উৎসবের আগেই আবির কিনে আনে রেখে দিই। এ বছরেও অবশ্য অনেক আবিরকে নিয়ে রেখেছিলাম তারপর আমরা পাড়ায় নগর কীর্তন সমাপ্ত করে সবাই মিলে হোলি খেলায় মেতে উঠি। এখানে যে শুধু আমরা ইয়াং জেনারেশনই রং খেলা বা হোলি খেলে থাকে এমনটা নয়।
আমাদের এখানে শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সামনে শিশু-কিশোর- কিশোরী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পর্যন্ত এসে রং খেলায় আনন্দ উপভোগ করে। দোল যাত্রার হোলি উৎসবে আমাদের এই রং খেলার আনন্দটা সত্যিই সর্বজনীন। হোলি খেলা আর মেইন মজা থাকে হচ্ছে কে কাকে বেশি পরিমাণে আবীর দিতে পারে। এই দোলযাত্রার হোলি উৎসবের দিনে আবিরের রঙে সবার মন মহা আনন্দে ভরে ওঠে।
আমাদের আবির খেলার পাশাপাশি শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের পূজা অর্চনা হয়। প্রতিদিন যদিও এখানে নৃত্য পূজা করা হয় তারপরেও দোল যাত্রার দিনে একটু স্পেশালভাবে পূজার আয়োজন করেছিলাম। প্রতিবছর আমরা অবশ্য এমনটাই করে থাকি। এবারেও পূজা পার্বণ শেষ হওয়ার পরে সবার মাঝে প্রসাদ বিতরণ করে দেয়া হয়েছিলো।
আমরা আদল যাত্রার দিনে হোলি খেলা এবং শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের পূজা অর্চনা সমাপ্ত করে রাত্রে কীর্তন অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজন আরম্ভ করি। অবশ্য নগর কীর্তন সমাপ্ত করে আমরা অনেক কাজ সেরে রেখেছিলাম তারপরেও যেসব কাজ বাকি ছিলো বিকাল বেলায় সবকিছু কমপ্লিট করে ফেলি।
শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সামনে সন্ধ্যার পরে কীর্তন আরাম্ভ করা হয়। আর সেই সাথে সাথে চলতে থাকে প্রসাদ রান্নার কার্যক্রম। কারণ আমরা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কীর্তনের পরে প্রসাদ দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। কয়েক ঘন্টা কীর্তন হওয়ার পরে আমরা সকল ভক্তবৃন্দদেরকে প্রসাদ দিই। এবারে আমাদের প্রসাদের মেনু ছিল সাদা ভাত, ডাল আর বিভিন্ন সবজির সমন্বয়ে তরকারি।
এবারে দোলযাত্রার হলে উৎসবে আমরা সবাই মিলে বেশ আনন্দ করেছিলাম। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা থাকবে যেনো এরকম সুন্দর আনন্দ আমরা প্রতিবছর করতে পারি। আবিরের রঙে সবার মন রঙিন হয়ে উঠুক।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৫ শে মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


দোলযাত্রা উৎসবটি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি অন্যতম আনন্দ উৎসব।
আপনি দোল যাত্রার দিন সবার সাথে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন।
আপনার অতিবাহিত করা সেই সুন্দর সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এবারে দোলযাত্রার দিনে কাটানো মুহূর্ত অনেক স্পেশাল ছিলো। তনুর থেকে আবির চেয়ে নিয়ে ওকেই রাঙিয়ে দিতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিলো। তোমার সুন্দর সাবলীল ভাষায় গঠনমূলক মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
কিছুদিন আগে এই বিষয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন আমাদের মাঝে। আর সেখান থেকে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছিল আমার যা আমার জানা ছিল না। ঠিক আজকেও আরো একটু কিছু জানার সুযোগ হলো এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে। দোলযাত্রা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
দোল যাত্রার হোলি উৎসব সম্পর্কে আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছেন। এই উৎসব সম্পর্কে আমার বেশি একটা ধারণা ছিল না। তবে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো আপনার পোস্ট পড়ে। অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।
আমাদের হোলি উৎসব সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হোলি উৎসব মানেই আলাদা রকমের ভালোলাগা। রং মাখামাখি থেকে শুরু করে অনেক আনন্দ করা। সত্যি ভাইয়া আপনাদের এই উৎসবটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হ্যাঁ আপু হোলি উৎসব মানেই আলাদা রকমের আনন্দ মজা রং মাখামাখি সত্যি অনেক বেশি মজা লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।