স্বজন যেনো দুর্জন!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা যতো দিন যাচ্ছে ততোই যেনো খুব খারাপ মানুষে রূপ নিচ্ছি। অর্থাৎ আমাদের মনের যে কোমলতা, যে শিশু আমাদের মনে বাস করতো। অর্থাৎ শিশু বলতে আমি একটি নিষ্পাপ মানুষের কথাই বুঝাচ্ছি। সেই নিষ্পাপ মানুষ যেনো যতো দিন যাচ্ছে, ততোই আমাদের ভেতর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আর একজন দুর্জন ব্যক্তি আমাদের নিজেদের মধ্যে বড় হচ্ছে। যেটা আমরা হয়তো জানি, হয়তো জানি না। কিন্তু একটা না একটা সময় আমরা বুঝতে পারি যে সত্যিই আমরা দুর্জন।
একটা কথায় আছে যে দুর্জন জ্ঞানী হলেও পরিত্যাজ্জ। কিন্তু আমার এখানে কথা হলো, আমি যেটা এখন বিশেষভাবে অনুভব করতে পেরেছি। সেটা হলো, বর্তমানে আমাদের স্বজনেরাই সবচেয়ে বেশি দুর্জনের মতন আচরণ করে। এটা এই কারণেই বললাম যে, আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজন তাদেরকে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি দেই যে কোনো কাজে, যে কোনো মতামতে।
অর্থাৎ কোনো এক অজানা কারণে তারা কেনো যেনো সবসময় হিংসার পথকেই বেছে নেয়। অর্থাৎ কোনো না কোনোভাবে যদি আপনি তার চেয়ে বেশি উন্নতি করে ফেলেন। তখন সাথে সাথেই সে আসলে কিভাবে আপনাকে টেনে নিচে নামানো যায় সেই চিন্তা করবে। ব্যাপারটা আমি হয়তো অনেক সিম্পল ভাবে বলে ফেলেছি। কিন্তু যার জীবনে এই ব্যাপারগুলো ঘটে কিংবা যাদের জীবনে ঘটে। তারা কখনোই এই ব্যাপারগুলো এতোটা সিম্পল ভাবে নিতে পারে না।
তাই আমার কাছে এটা খুব কষ্টের কারণ মনে হয়। কারণ স্বজনেরা যখন দুর্জনের মতোন আচরণ করে। তখন কিন্তু আমাদের আসলে কোথাও যাওয়ার জায়গা ই থাকে না। তাই আমি মন থেকেই চাই যেনো আমাদের স্বজনেরা সত্যিকার মনের মানুষ হয়, সত্যিকার আত্মীয় হয়। কারণ সব রকম দুর্জনদের জীবন থেকে বাদ দেওয়া গেলেও স্বজন নামক দুর্জনদের কখনোই মন থেকে বাদ দেওয়া সম্ভব হয় না।