রিফিউজি( পঞ্চম ও ষষ্ঠ ) এপিসোডের রিভিউ।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ওয়েব সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------- | ------ |
---|---|
পরিচালক | ইমতিয়াজ হোসেন |
প্লাটফর্ম | হইচই |
এপিসোড সংখ্যা | ৬ |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তি | জুন,২০২২ |
অভিনয়ে | আফজাল হোসেন, জাকিয়া বারী মোমো, সোহেল মন্ডল, শরিফ সিরাজ আরও অনেকে।। |
Light my fire
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় ওয়াসিম ইকবালকে আতঙ্কবাদী কার্বনের কাছে নিয়ে যায়। তখন কার্বন ইকবালকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেয়। এবং বলে আমাদের প্রতিশোধ নিতে হবে। আপনজন আপন হয় আর পর হয় পর। ইকবাল তার ভাইয়ের মৃত্যুর শোকে ওদের সঙ্গে যোগ দেয়। কিন্তু কার্বন এবং তার সহযোগী বাদে আর কেউ জানে না তারা ঠিক কীভাবে প্রতিশোধ নেবে। এরপর দেখা যায় কার্বনের প্ল্যান অনুযায়ী ইকবাল বম আনতে যায় এবং ওয়াসিম এবং কার্বনের অন্য সহযোগী যায় ঐ জায়গাই যেখানে বাচ্চাদের অনুষ্ঠান হবে। সেখানে তারা প্ল্যান করে যায় এবং একজনকে ভয় দেখিয়ে তার গাড়ি এবং নাতনিকে নিয়ে আসে। এবং বলে আমাদের কথামতো কাজ করবেন না হলে আপনার নাতনি কে মেরে ফেলব। এরপর ঐ লোকের নাতনি কে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। এরপর ওয়াসিম জিজ্ঞেস করে হচ্ছে টা কী। আমরা কেন বাচ্চাটাকে তুলে নিয়ে আসলাম। কিন্তু ঐ লোক কোনো উওর দেয় না। এরপর ওয়াসিম সেই কথা শুনতে গিয়ে কার্বনের ঘরে গিয়ে দেখে তার ছোটবোন ওখানে। সেটা দেখে অবাক হয়ে যায় ওয়াসিম।
ওয়াসিম বুঝতে পারে কার্বন তার বোনের সঙ্গে খারাপ কিছু করছে। তখন ওয়াসিম কার্বনকে মারতে যায় কিন্তু অন্য সহযোগি ওয়াসিমের মাথায় বন্দুক ধরে। এরপর ওয়াসিম তার বোনকে নিয়ে আসতে চাই। কিন্তু তার বোন আসে না। ওয়াসিম একা একা বের হয়ে আসে। এরপর দেখা যায় ইকবাল নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বোমা নিয়ে চলে এসেছে। সেটা নিয়ে এসে কার্বনের কাছে দেওয়াই কার্বন বেশ খুশি হয়। এরপর কার্বন ইকবালকে বলে তোমার আরেকটা কাজ করা লাগবে। কার্বনের কথামতো ইকবাল ফোন করে ঐ মহিলা পুলিশ অফিসার কে। আসলে ইকবালের ভাই মারা গেছে সেজন্য সে প্রতিশোধ নিতে চাই। ঐ মহিলা পুলিশ ইকবালের ফোন পেয়ে চলে আসে। গাড়ি নিয়ে বসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে ঐ মহিলা পুলিশ। সেই সময়ে ইকবাল বাইকে এসে বন্দুক বের করে ঐ মহিলা পুলিশের উদ্দেশ্য গুলি করে এবং পালিয়ে যায়।
Waiting for the sun
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় ইকবাল গোসল করে তৈরি হচ্ছে। এবং ঐ ইকবাল ঐ বাচ্চা মেয়েটার ব্যাগে বোম রেখে দেয়। এরপর ঐ মেয়ের দাদার কাছে ফোন দিয়ে বলে আপনার নাতনি ভালো আছে। আপনাকে একটা স্পিচ পাঠানো হচ্ছে আজ স্বাধীনতা দিবসে আপনি ঐটা পাঠ করবেন। ঐ লোক মেয়ে নেয় নিজের নাতনির কথা ভেবে। এরপর দেখা যায় ঐ মহিলা পুলিশ হাসপাতালে শুয়ে আছে কারণ ইকবাল তার উপর গুলি চালিয়েছিল। সেটা হাতে লেগেছিল। এরপর ঐ মহিলা পুলিশের মনে পড়ে আজ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান আছে। নিশ্চয়ই কার্বন ওখানে কিছু করবে সেজন্য সে ঐভাবে বেরিয়ে পড়ে। ততক্ষণে ইকবাল ঐ ছোট মেয়ে এবং বোম এর ব্যাগ নিয়ে চলে গেলে ঐ অনুষ্ঠানের জায়গাই। এবং অন্যদিকে ওয়সিম যায় কার্বনের ওখানে প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু ওয়াসিম গিয়ে দেখে ততক্ষণে কার্বন পালিয়েছে সবকিছু গুছিয়ে। সেজন্য সে খুব দ্রুত চলে যায় অনুষ্ঠানের ঐ জায়গাই।।
এরপর ইকবাল ঐ মেয়েকে তার মায়ের কাছে দিয়ে ব্যাগটা নিয়ে ওয়াশরুমে যায় এবং বোমটা একটিভ করে ব্যাগে ভরে দেয়। এরপর অনুষ্ঠানের ওখানে ঢুকে ব্যাগটা রেখে বাইরে বের হয়ে আসে। কিছুদূর গিয়ে সে রিমোট দিয়ে বোম টা ফাটাবে। কিন্তু তখন ওয়াসিম দেখে নেয় ইকবালকে। ওয়াসিম বোঝানো শুরু করে ইকবাল কে। বলে তুই এটা করিস না হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে। ঐ কার্বন আমাদের ভুল বুঝিয়েছে। কিন্তু ইকবাল মানতে চাই না। কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে ওয়াসিম ইকবাল কে বুঝিয়ে ফেলে। তখন ইকবাল রিমোট প্রেস করা থেকে সরে এসেছে কিন্তু সেই সময়ে ঐ মহিলা পুলিশ পেছন থেকে গুলি করে। এবং ইকবাল মারা যায় বোম টা পরে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে কার্বন আবার পালিয়ে গেছে। দেখা যায় কার্বন একটা গাড়িতে বসে রয়েছে এবং ঐ মহিলা পুলিশ কার্বনকে অনুসরণ করছে। এখানেই শেষ হয়ে যায় এই এপিসোড।
ব্যক্তিগত মতামত
এটা ছিল রিফিউজি ওয়েব সিরিজ এর সিজেন-১ এর শেষ দুই এপিসোডের রিভিউ। এখানে দেখানো হয়েছে কার্বনের মতো সুবিধাবাদী আতঙ্কবাদীরা ইকবাল ওয়াসিমদের মতো সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে বড় দূর্ঘটনা ঘটায়। ফলে দেশে এক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। কিন্তু কার্বনের মতো লোকেদের কখনোই ধরা যায় না। তারা খুব দ্রুতই নিজের ছদ্দবেশ জায়গা পাল্টে ফেলে। এই ওয়েব সিরিজটা বাংলাদেশের ঢাকার বিহারী পল্লির একটি ছেলেকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে। পাকিস্তানি বিহারী রা কিন্তু আমাদের দেশে রিফিউজি এর মতোই রয়েছে। এই সিরিজের কাহিনী টা বেশ ইউনিক ছিল। এছাড়া কালার গ্রেডিং, সাউন্ড সিস্টেম, সিনেমাটোগ্রাফি সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। আপনার ইচ্ছা করলে দেখতে পারেন সিরিজটা। যদি এই সিরিজের দ্বিতীয় এপিসোড আসে তাহলে আমি সেটার রিভিউ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৮.৫/১০
সিরিজের ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
কার্বনের মতো সুবিধাবাদী আতঙ্কবাদীরা ইকবাল ওয়াসিমদের মতো সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে বড় দূর্ঘটনা ঘটায়।ওয়াসিম বাচ্চাটার কথা শুনতে গিয়ে কার্বনের ঘরে গিয়ে দেখে তার ছোটবোন ওখানে। সেটা দেখে অবাক হয়ে যায় ওয়াসিম।কিন্তু ওয়াসিমের বোন তো আসবে না।মহিলা পুলিশ পেছন থেকে গুলি করে এবং ইকবাল মারা যায়। কার্বন তখনও পালিয়ে যায়।কার্বনের মত মানুষ খুবই দ্রুতই নিজের ছদ্দবেশ জায়গা পাল্টে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এ ধরনের রিফিউজি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।