রিলস আসক্তির কুফল
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি বুঝতে পেরে গিয়েছেন নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা। রিলস এর সাথে আমরা এই প্রজন্মের সকলেই কমবেশি পরিচিত।আর বর্তমান ট্রেন্ডিং একটি বিষয়। টিকটক, রিলস ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও মানুষকে বিনোদন যোগায়।তাছাড়া যারা ব্যক্তিগতভাবে হতাশ ,বেকার এবং মানসিকভাবে অসুস্থ তারা এই রিলস আসক্তির সাথে বেশি জড়িত।আজকে আমি আপনাদের সাথে অতিরিক্ত রিলস দেখার কিছু কুফল সম্পর্কে আলোচনা করব।
সাধারণত শিক্ষার্থীরা রিলস বেশি দেখে থাকে এর জন্য প্রথমেই তাদের মস্তিষ্কের যেই ক্ষতি টা হয়েছে।তারা যেকোনো কিছুতে ধৈর্য্য রাখতে পারেনা।অর্থাৎ এমন অবস্থা হয়েছে যে তাদের মস্তিষ্কের ডিজাইন টা পুরোপুরি চেইন্জ হয়ে গিয়েছে।
আমরা যদি কয়েক বছর পিছনে যায় তাহলে অনেকটা ক্লিয়ার হবো ব্যাপারটা নিয়ে।দেখুন ২০১৬ পর্যন্ত ও মানুষ এত হতাশ ছিলনা।তারা অনলাইন জগৎ নিয়ে এতটা ব্যস্ত থাকতোনা।খুব বেশি পরিশ্রমী না হলেও তারা সহজে ধৈর্য্য হারাতো না।আমাদের মস্তিষ্কের সাথে রিলস এমনভাবেই জড়িয়ে গিয়েছে যে ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও দেখলে আমরা অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়।কারণ মস্তিষ্কের বিশেষ হরমোন ডোপামিন রিলিজ হয়ে যায়।আপনারা জানেন হয়তো সুখ দুঃখের অনুভূতি তখনি মানুষ বুঝতে পারে যখন মস্তিষ্ক থেকে ডোপামিন নামক হরমোন টি রিলিজ হয়।
একজন রিলস আসক্ত স্টুডেন্ট যখন পড়তে বসে তখন তার মস্তিষ্ক ৩০ সেকেন্ডের পর ডোপামিন রিলিজ করে সুখানুভূতি দিয়ে থাকে।আর যখনই সেই ছাত্র পড়তে বসে তার সহজেই সেই সুখানুভূতি টা আসেনা।কারণ মস্তিষ্কের ডিজাইন পুরোপুরি বদলে গিয়েছে।সাধারণত যেই স্টুডেন্ট শুধুমাত্র পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত তার ক্ষেত্রে ডোপামিন রিলিজ পড়তে বসলেই হবে।কারণ মস্তিষ্কের ডিজাইন টা পড়ার মধ্যে রয়েছে তার।মোটকথা হচ্ছে একজন শিক্ষার্থী যে রিলস এ আসক্ত সে পড়াশুনা করে যে সুখানুভূতি পাবে সেটা তার জন্য অনেকটা দীর্ঘমেয়াদি প্রোসেস ।
কারণ পড়াশুনা আমরা কোনো টপিক ৩০ সেকেন্ডে কখনোই শেষ করতে পারিনা।আর শেষ করতে বা মুখস্ত করতে না পারলে মস্তিষ্ক থেকে সেই ডোপামিন হরমোন রিলিজ হবেনা।যেহেতু তার মস্তিষ্কে আগে অনেকবার ৩০ সেকেন্ডে ডোপামিন রিলিজ করে দিয়েছে।আর যে পড়াশুনায় আসক্ত সে সুখানুভূতি পাবে অল্প কিছু সময় পড়লেই ।কারণ তার মস্তিষ্ক কখনোই ৩০ সেকেন্ড পর ডোপামিন ছাড়তে অভ্যস্ত নয়।
আপনারা বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই আমাদের জেনারেশন এর জন্য এই রিলস কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।ভবিষ্যতে আরও বেশি খারাপ অবস্থা দেখা যাবে বিশেষ করে স্টুডেন্টদের ভবিষ্যত অনেকটা অন্ধকারের পথে।আমাদের অবশ্যই বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে এজন্য আমরা আরও অন্য পথে বিনোদন নিতে পারি।যেটা দীর্ঘ সময়ব্যাপী হয়ে থাকে। যেমন ভালো কোনো নাটক,সিনেমা শিক্ষামূলক ভিডিও।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date -27th September,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

https://x.com/Disha1023548501/status/1839649183537524796?t=Q9W7g-xrI7E3MJdMhca0Og&s=19
সত্যি বলতে মাঝে মাঝে আমিও এই রিলস এর সাথে জড়িয়ে যাই নিজেকে চাইলেও কন্ট্রোল করতে পারি না হুট করে ভিডিও দেখতে দেখতে অনেক সময় পার করে ফেলি তখন বাধ্য হয়ে ফেসবুক আনইন্সটল করে দেই কিছুদিনের জন্য।
হ্যা আমাদের সবারই সমস্যা ভাইয়া,ধন্যবাদ।
বেশ চমৎকার কিছু ব্যাপার নিয়ে কথা বলেছেন আপনি। সত্যি মানুষ আগে এতটা হতাশ ছিল না। মানুষের হতাশার পেছনে অনেকাংশে দায়ী এই স্যোসাল মিডিয়া রিলস আসক্তি। আমাদের মাঝে অনেকেই ফেসবুক ইন্সট্রাগ্রাম রিলস এ আসক্ত। এটা খুবই বাজে এবং ভয়াবহ একটা ব্যাপার।