বন্ধুরা, এখন আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি তোমাদের সাথে একটি করে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। এই রেসিপি পোস্টগুলো করার ক্ষেত্রে আমি সব সময় নতুন নতুন রেসিপি তোমাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করি। নতুন নতুন রেসিপি করতে আমার নিজের কাছেও ভালো লাগে। এই রেসিপি গুলো করার কারণে নতুন নতুন খাবার টেস্টও করা হয় আমার। বাইরে যে খাবারগুলো কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো বাইরে থেকে না কিনে খেয়ে, বাড়িতে তৈরি করে খেতে পারলে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া বাড়িতে তৈরি করলে হাইজিনের ব্যাপারটাও মেইনটেইন করা যায়। যাইহোক, আজকের রেসিপি পোস্টে আমি তোমাদের কে সন্দেশ তৈরি করে দেখাবো। এই সন্দেশ গুলো লাভ আকৃতির করে করেছি আমি তাই নাম দিয়েছি "লাভ সন্দেশ"। অনেকটা সময়ই লেগেছিল রেসিপিটি করতে। সঠিকভাবে রেসিপিটি তৈরি করার জন্য একটু সাবধানেও কাজগুলো করতে হয়েছিল আমাকে। আমি এই রেসিপি তৈরির ধাপগুলো নিচে শেয়ার করলাম। আশা করি, এই ধাপগুলো দেখে তোমরাও শিখে নিতে পারবে রেসিপিটি।

প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
দুধ | ২ লিটার |
ছোট এলাচ | ৪টি |
গোলাপ জল | ১চামচ |
কেওড়া জল | ১চামচ |
গুঁড়া দুধ | ৮ চামচ |
লবণ | ১/৪ চামচ |
চিনি | ৫ চামচ |
ময়দা | ২ চামচ |
লেবুর রস | ২ চামচ |
ফুড কালার | সামান্য পরিমাণ |

⏩ প্রস্তুত প্রণালী ⏪
🌺 প্রথম ধাপ 🌺
প্রথম ধাপে, একটি প্যানে ২ লিটার দুধ নিয়ে তাতে ছোট এলাচ ৪টি, গোলাপজল ১ চামচ, কেওড়া জল ১ চামচ, লবণ স্বাদমত দিয়ে ভালো করে জাল করে নিতে হবে।
🌺 দ্বিতীয় ধাপ 🌺
এরপর দুধে লেবুর রস যোগ করে ছানা তৈরি করে নিতে হবে।
🌺 তৃতীয় ধাপ 🌺
এবার তৃতীয় ধাপে, ছানা ভালোভাবে ম্যাশ করে তাতে চিনি ও গুঁড়ো দুধ দিয়ে আবারো ভালো ভাবে ছানার সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
🌺 চতুর্থ ধাপ 🌺
এবার ছানার মিশ্রণটি থেকে কিছু পরিমাণ ছানা নিয়ে তাতে ফুড কালার যোগ করে নিলাম এবং ফুড কালার মেশানো ছানায় আবার কিছু গুড়ো দুধ যোগ করে দিলাম।
🌺 পঞ্চম ধাপ 🌺
এবার প্যানে অল্প আঁচে একবার নরমাল ছানাতে দেড় চামচ ময়দা যোগ করে তা ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম এবং আরেকবার ফুড কালার মিশ্রিত ছানাতে হাফ চামচ ময়দা যোগ করে তা ভালোভাবে মিশিয়ে ডো তৈরি করে নিলাম।
🌺 ষষ্ঠ ধাপ 🌺
এবারে ছানার ডো টি থেকে একটু একটু করে ছানা নিয়ে লাভের আকার দিয়ে একে একে সন্দেশগুলো তৈরি করে নিলাম। তারপর সন্দেশ গুলোর উপরে কাজু, কিসমিস দিয়ে দিলাম।
🌺 সপ্তম ধাপ 🌺
এরপরে কাজু ও আমন্ড কুচি কুচি করে ছড়িয়ে সুন্দর করে পরিবেশন করে নিলাম এইগুলো।


🥀পোস্ট বিবরণ🥀
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
রেসিপি মেকার ও ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা "লাভ সন্দেশ" রেসিপি টি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সবাইকে

আমার পরিচয়
আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

আপনি তো দেখছি খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি আমাদের মাঝে আজকে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনি যে লাভ সন্দেশ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। খুবই ভালো লাগলো আপনার তৈরি করা এই সন্দেশ এর রেসিপি দেখে।
হ্যাঁ ভাই, রেসিপিটি আসলেই লোভনীয়। এইজন্য রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছা করাটা একটু স্বাভাবিক। আমার শেয়ার করা এই পদ্ধতিতে রেসিপিটি একবার বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন ভাই। আশা করি, ভালো লাগবে।
আরে বাহ্ নিজের বাড়িতেই দেখছি সন্দেশ তৈরি করে নিয়েছেন খুব সুন্দর ভাবে। আপনারা বেশিরভাগ পুজোর সময় এগুলো তৈরি করে থাকেন। আর আমার কাছে সন্দেশ খেতে খুবই ভালো লাগে। কয়েকবার আমি সন্দেশ খেয়েছিলাম। আপনি লাভ সন্দেশ তৈরি করেছেন। দেখে বুঝতে পারতেছি এগুলো খুবই মজাদার ছিল। আমার তো ইচ্ছে করছে এখান থেকে দুটো সন্দেশ নিয়ে খেয়ে ফেলতে। নিশ্চয়ই মজা করে খেয়েছিলেন সন্দেশগুলো। মাঝে মাঝে তৈরি করে পার্সেল করে পাঠিয়ে দিবেন।
কি আর করব আপু, দোকানে কিনে খেতে গেলে অনেক দাম, সেই জন্য বাড়িতেই তৈরি করে ফেললাম! আপনার যখন ইচ্ছা করছে, তাহলে এখান থেকে দুটো সন্দেশ নিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন আপু । হিহি🤭🤭
বাড়িতে স্বাস্থ্যগতভাবে লাভ সন্দেশ তৈরি করেছেন। আসলে লাভ সন্দেশ দেখেই যেন ভালো লাগলো। সন্দেশ আমার খুবই প্রিয়। যার কারণে আপনার রেসিপি ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম। পরবর্তীতে তৈরি করব।
সন্দেশ আপনার প্রিয় হওয়ার কারণে রেসিপিটি ধাপে ধাপে আপনি শিখে নিয়েছেন, জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
ভাই আপনি দেখছি বাড়িতে খুব সুন্দর সন্দেশ তৈরি করেছেন যা দেখে লোভ হচ্ছে। আসলে এই রেসিপিগুলো খেতে খুবই স্বাদ হয়ে থাকে তবে আপনি দেখছি যা দেখে ভালো লাগছে এবং খেতেও খুবই স্বাদ লাগবে তা মনে হচ্ছে ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য।।
শুধু দেখতে ভালো না ভাই, এগুলো খেতেও অনেক ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাই, আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
সন্দেশ খেতে খুবই মজার। আর আপনি এই মজাদার একটি রেসিপি বাড়িতে তৈরি করলেন। রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ও সহজ ভাবে আমাদের মাঝে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন। চাইলে যে কেউ খুব সুন্দর ভাবে এটি তৈরি করে নিতে পারবে। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু, আমি সেই ভাবেই ধাপে ধাপে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি, যেন যে কেউ চাইলেই এটি তৈরির পদ্ধতি সহজে শিখতে পারে।
আমি অনেক আগে আপনাদের এই সন্দেশ খেয়েছিলাম। আপনাদের সন্দেশ গুলো কিন্তু অনেক মজার হয়। আমার এক ফ্রেন্ড ছিল হিন্দু। পুজোর সময় তাদের যখন তৈরি করত, তখন সবার জন্যই নিয়ে আসতো। আমি সব সময় তাকে বলতাম যেন আমাদের জন্য এগুলো নিয়ে আসে। আপনি লাভ আকৃতির এই সন্দেশ তৈরি করেছেন বলে, এটার নাম লাভ সন্দেশ দিয়েছেন এটা ভালোই ছিল। নিশ্চয়ই লাভ সন্দেশগুলো দারুন লেগেছিল খেতে।
অনেকেই পুজোর সময় এ ধরনের সন্দেশ তৈরি করে থাকে, তবে আমি এমনিতেই বাড়ি এগুলো তৈরি করেছিলাম। হ্যাঁ ভাই, সন্দেশগুলো খেতে জাস্ট দারুন লেগেছিল।
বাহ! দারুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম ভাইয়া। রেসিপির প্রত্যেকটা ধাপ খুবই সহজ ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া খুব সহজেই তৈরি করতে পারব। অসংখ্য ধন্যবাদ দারুন এই লাভ সন্দেশের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি আপু রেসিপিটি খুব সহজভাবে উপস্থাপন করার জন্য। যাইহোক, আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি রেসিপিটি খুব সহজেই শিখে নিতে পেরেছেন, জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
দাদা আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে একটা নতুন রেসেপি দেখতে পেলাম ৷লাভ সন্দেশ ওয়াও আসলে তো লাভ সন্দেশ ৷ছবিতে কি সুন্দর করে আইটেম করে সাজিয়েছেন৷
যা হোক এমন সুন্দর একটি সুন্দর সন্দেশ রেসেপি আইটৈম দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷
আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি নতুন একটি রেসিপি দেখতে পেয়েছেন, জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি ও বাইরের খাবার গুলো কষ্ট হলেও ঘরে তৈরি করার চেষ্টা করি।আপনার আজকের সন্দেশ তৈরির রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এই সন্দেশ আমি নিজেও করেছিলাম।খেতে ভীষণ মজার।আপনার রেসিপিটি দেখে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা এই রেসিপিটি আপনার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।