"আমার বাংলা ব্লগ" এর
ভারতীয়-বাংলাদেশের সকল সম্মানিত সদস্য-সদস্যা বৃন্দ আমার লেখার শুরুতে জানায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলেই ভাল আছে আর সুস্থ্য আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। আজ দুই দিন যাবত জ্বর হলে ও কাজ কে ফাঁকি একদম দিতে পারি না। একটু ভাল অনুভব করতেছি তাই আপনাদের সাথে যুক্ত হতে চলে এসেছি। আমি পরিশ্রম করতে অনেক ভালবাসি। আমি আমার দায়িত্ব সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে পালন করতে অনেক পছন্দ করি। তাই আজ ও শরীর ভাল না থাকার কারনে ও নিজের দায়িত্বের খাতিরে চলে এসেছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। সচরাচর আজ ও আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রেসিপি পোস্ট। আমার আজকের রেসিপি হচ্ছে কাঁচা কলা ভর্তা।
কাঁচা কলা ভর্তা অনেক মজার একটি রেসিপি। আমি মাঝে মাঝে করে থাকি। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য করে থাকি। বাচ্চারা কাঁচা
কলা অন্যভাবে রান্না করলে খায় না তাই এভাবে ভর্তা করে সাথে ডাল দিয়ে খেতে দিই। অনেক মজা করে খেয়ে থাকে। এছাড়া কাঁচা/কাঁচ কলাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি। তাই শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণে কাঁচ/কাঁচা কলার উপকারিতা অনেক বেশি। তাই আমাদের উচিত কাঁচা কলা খাওয়া। আপনারা এভাবে আমার মত করে কাঁচা/কাঁচ
কলা ভর্তা করে খেতে পারেন খেতে অনেক ভাল লাগে।
আমি কাঁচ/কাঁচা কলা ভর্তা কিভাবে তৈরি করি তা দেখে আসি। আমি আপনাদের কে ধাপে ধাপে শেয়ার করবো। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখলে বুঝতে পারবেন।
.jpg)
উপকরণ প্রণালী | পরিমাণ সমূহ |
কাঁচা কলা | ২ টা |
আলু | ৫/৬ টা |
কাঁচা মরিচ | স্বাদমত |
পেঁয়াজ কুচি | ২ টা |
ধনিয়া পাতা কুচি | স্বাদমত |
সাদা তেল | পরিমাণ মত |
লবণ | স্বাদমত |
উপকরণ নিয়ে দেখিয়েছি

রন্ধন
প্রণালী
ধাপ-০১
প্রথমে আমি দুইটা কাঁচা কলা নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি। এর সাথে আমি ৫/৭ টা আলু ও নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি। খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পর মাঝারি সাইজের টুকরো করে নিয়েছি। ভাল করে ধুয়ে নিয়েছি।
ভাল করে ধুয়ে নেওয়ার পর আমি প্রেসার কুকার নিয়ে আলু আর কলার টুকরা গুলো ঢেলে দিয়ে দিছি।

ধাপ-০২
আলু আর কাঁচা কলার টুকরা গুলো ঢেলে দেওয়ার পর পরিমাণ মত পানি দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য।সাথে আমি ১০/১২ টা কাঁচা মরিচ দিয়েছি। ঝাল আপনি বাড়ায়-কমায় দিতে পারেন। ঝাল কত টুকু খাবেন সেটা নিজের উপ নির্ভর করবে।


ধাপ-০৩
এর পর প্রেসার কুকারের ঢাকনা লাগায় দিয়ে চুলায় বসায় দিয়েছি। চুলার তাপ মিডিয়াম আঁচে রেখেছি। একটা সিটি দেওয়ার পর নামায় ফেলবো।

ধাপ-০৪
আপনারা দেখতে পাচ্ছে কলা আর আলু ও সাথে দেওয়া কাঁচা মরিচ একটা সিটি দেওয়ার পর নামায় ফেলেছি। ঠান্ডা হওয়ার জন্য কিছক্ষণ অপেক্ষা করবো। ঠান্ডা হয়ে এলে আমি ভাল করে মিহি করে ভর্তা করে নিব।

ধাপ-০৫
ভাল করে মিহি করে ভর্তা করার পর পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি ও স্বাদমত লবণ দিয়ে মেখে নিব।কাঁচা কলা ভর্তা মেখে নেওয়া শেষ। এখন অন্য ধাপে চলে যাব।

ধাপ-০৬
এখন চুলায় প্যান বসায় দিব। প্যান গরম হয়ে আসলে পরিমাণ মত তেল দিব। তেল গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো। তেল গরম হয়ে আসলে তাতে ভর্তা গুলো দিয়ে দিব।

ধাপ-০৭
ভর্তা গুলো কে ভাল করে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে। অনেক্ষণ ভাজার পর একটা সুন্দর কালার চলে আসলে নামায় ফেলতে হবে। আমি ভর্তা গুলো চুলা থেকে নামায় ফেলব। আমার তৈরি করা কাঁচা কলা ও আলু মিক্স ভর্তা খাওয়ার উপযোগি এখন।

শেষ ধাপ
এই ধাপে এসে আমি পরিবেশনের জন্য একটা প্লেটে নিয়ে দেখালাম। দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে খেতে ও তেমনি অসাধারণ হয়েছে বন্ধুরা। গরম ভাতের সাথে কিংবা ডালের সাথে খেলে অনেক ভাল লাগে। তাই আপনারা ও তৈরি করে খেতে পারেন মজাদার কাঁচা কলা ও আলু দিয়ে মিক্স ভর্তা রেসিপি।

ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আমার রেসিপি আপনাদের কেমন লেগেছি জানিনা। কেমন লেগেছে ভাল/মন্দ জানালে খুশি হবো। আমি আজ আমার লেখা এখানে সমাপ্তি দিচ্ছি। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি সামশুন নাহার হিরা
@samhunnahar
কক্সবাজার বাংলাদেশ থেকে।

কাঁচা কলা ও আলু দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটা দেখেই লোভে পড়ে গেলাম। অনেক সুন্দরভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
জি ভাইয়া আপনার ভাল লেগেছে জানতে পেরে খুশি হয়েছি। আপনার জন্য শুভ কামনা ভাইয়া
আপু আপনি অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত পোস্ট করছেন তা শুনে অনেক ভালো লাগলো। আপনার সুস্থতা কামনা করছি। কাঁচা কলা ও আলু দিয়ে আপনি অনেক মজাদার ভর্তার রেসিপি তৈরি করেছেন। কাঁচা কলার ভর্তা রেসিপি এর আগেও অনেক খেয়েছি। তবে আলু ও কাঁচা কলা দিয়ে একসাথে এভাবে খাওয়া হয়নি। নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম।
আপু কলার সাথে যদি আলু মিক্স করে করলে খেতে কিন্তু অনেক ভাল লাগে। করে খেতে পারেন অনেক টেস্টি হয়। ধন্যবাদ আপু
আপনি একদম ঠিকই বলেছেন, কাঁচা/কাঁচ কলাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি। তাই শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণে কাঁচ/কাঁচা কলার উপকারিতা অনেক বেশি। আপনি খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আমরা ও বাড়িতে এরকম রেসিপি তৈরি করে থাকি। খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়ে থাকে এটি।
হ্যাঁ ভাইয়া কাঁচা কলা মাঝে মাঝে খাওয়া উচিত আমাদের সকলের। সুন্দর মতামত দিছেন ভাইয়া অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া
ওয়াও অসাধারণ কাঁচা কলা ও আলু দিয়ে মিক্স মজাদার ভর্তা রেসিপি করেছেন। খুব লোভনীয় পোস্ট। এরকম ভর্তা খেতে কারনা ভালো না লাগে। আমার তো মন চাইতেছে সবগুলো আমি খেয়ে ফেলি। শুরু থেকে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার জন্য পাঠাই দিচ্ছি খেয়ে নেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আলু আর কলা একসাথে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়ে ছানা করে খেতে বেশ ভালো লাগে। এমন কাজটা অবশ্য করেছিলাম এত পূর্বে। আর জাহাজ বেশ ভালো লাগলো আপনার এই রেসিপি প্রস্তুত দেখে তবে দুইটা উপাদান ভালোভাবে একসাথে সিদ্ধ করে নিতে হবে যেন শান্তি গিয়ে শক্ত না থাকে। আপনি দেখলাম প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে নিয়েছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনি সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মতামত দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।