মিষ্টি কুমড়ো ভাজি রেসিপি।।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি।খুব সহজে কিভাবে মিষ্টি কুমড়ো ভাজি করা যায় তার একটি রেসিপি শেয়ার করবো। অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিনকাল যাচ্ছে আমার। মেয়েটা অনেকদিন ধরে অসুস্থ এখন কিছুটা ভালো আছে। তাছাড়া ওভেনে কেক বানাতে গিয়ে আমার হাত একটু পুড়ে গেছে। তাই এত সমস্যার কারণে কিছুদিন পোস্ট করতে পারিনি। তাছাড়া এই রেসিপিটি অনেকদিন আগেই করা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের কারণে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেনি। যাইহোক চলুন রেসিপির প্রত্যেকটি ধাপ আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
মিষ্টি কুমড়ো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। তাছাড়া মিষ্টি কুমড়ো ভাজি খেতে অনেকেই পছন্দ করে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের মিষ্টি কুমড়ো সিদ্ধ করে খাওয়ালে তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আমরা বাজারে যে আম জুস খাই, সেই জুস কিন্তু প্রকৃত আমের নয়। মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে বানানো। যাইহোক আমি আপনাদের মাঝে আজকে মিষ্টি কুমড়ো ভাজির সহজ রেসিপিটি ধাপে ধাপে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
- মিষ্টি কুমড়ো অর্ধেকটি
- পেয়াজ কুচি পরিমান মত
- রসুন বাটা পরিমান মত
- কাঁচা লঙ্কা পরিমান মত
- জিরে গুঁড়ো পরিমান মত
- হলুদের গুঁড়ো পরিমাণ মতো
- ধনিয়ার গুঁড়ো পরিমাণ মতো
- সয়াবিন তেল পরিমান মত
- চিনি এক চামচ
- লবন পরিমান মত
সবগুলো উপকরণ পরিমাণ মতো নিয়ে নিলাম। সুন্দরভাবে সবগুলো উপকরণ সাজিয়ে নিলাম। তারপর রান্নার জন্য একটি উপযোগী করায় নিয়ে রান্না শুরু করে দিলাম। এখন নিচে ধাপগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি চলুন।
প্রথম ধাপ-
প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। কড়াইয়ের মধ্যে তেল দিয়ে তেল গরম করে নিলাম। তেল গরম হয়ে আসার পর তাতে পেঁয়াজকুচি গুলো ছেড়ে দিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ -
এই পর্যায়ে পেঁয়াজগুলো ভালোভাবে ভেজে হয়ে আসার পর। তাতে কাঁচা মরিচ ও রসুন বাটা দিয়ে দিলাম। তারপর কাঁচা মরিচ ও রসুন বাটা পেঁয়াজগুলোর সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম। আর হালকা ভেজে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ -
এখন রসুনগুলো হালকা ভেজে নেওয়ার পর। তাতে টুকরো করে কেটে রাখা মিষ্টি কুমড়ো ছেড়ে দিলাম। আর ভালোভাবে নাড়াচাড়া দিয়ে মিশিয়ে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ -
পর্যায়ে সবগুলো মসলা ও লবন একসাথে দিয়ে দিলাম।
তারপর ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে সবগুলো মসলার সাথে মিশিয়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ -
মসলাগুলো ভালোভাবে মিশে যাওয়ার পর। তাতে চিনি দিয়ে দিলাম। চিনিটা অপশনাল হিসেবে রাখলাম। যারা মিষ্টি কুমড়ার সাথে চিনি ব্যবহার করেন তারাই শুধু চিনি ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া মিষ্টি কুমড়োতে যদি চিনি ব্যবহার না করা হয়। তাহলে মিষ্টি কুমড়া ভাজি মিষ্টি লাগে না। চিনি দেওয়ার কারণ হলো খুব তাড়াতাড়ি মিষ্টি কুমড়াটা সিদ্ধ হয়ে যাবে।
ষষ্ঠ ধাপ -
এ পর্যায়ে চুলার আঁচটা একটু বাড়িয়ে দিলাম যাতে মিষ্টি কুমড়া থেকে পানি না বের হয়। তারপর ভালোভাবে ভেজে নিলাম। আমি মিষ্টি কুমড়া ভাজি একটু বেশি ভেজে খায়। কেননা আমার কাছে বেশি বেশি পানি থাকলে ভালো লাগে না। তাই আমি অনেকক্ষণ ভাজে নিলাম।
পরিবেশন-
বন্ধুরা এই হল আমার আজকের রেসিপি । রেসিপির স্টেপ গুলো খুবই সহজ। একটু চেষ্টা করলেই রান্না খুব সহজে করা যায়। আশা করি রেসিপিটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমি আপনাদের জন্য দোয়া করি, আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
টাইটেল | মিষ্টি কুমড়ো ভাজি রেসিপি ।। |
স্থান | নিজ বাসা,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা। । |
তারিখ | ৮/০৭/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
মিষ্টি কুমড়ো ভাজি রেসিপি দেখেই দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার অনেক ভালো লেগেছে। এত সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করছি আপু।আপনার হাত পুড়ে গেছে জেনে খারাপ লাগলো।নিউজে দেখেছিলাম জুস মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে বানানো হয়।আপনি চমৎকার সুন্দর করে মিষ্টি কুমড়ার রেসিপি করেছেন।আজ আমিও মিষ্টি কুমড়া ভাজা খেয়েছি। পুষ্টি গুণে ভরপুর রেসিপিটি ভীষণ চমৎকার হয় খেতে।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার হাত পুড়ে গেছে শুনে খারাপ লাগলো। অনেক সময় এক্সিডেন্ট হয়ে যায় আপু। মিষ্টি কুমড়া ভাজি রেসিপি খুবই ভালো লেগেছে আমার। এই ধরনের খাবারগুলো খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। দারুণ হয়েছে আপনার রেসিপি।
অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর একটা রেসিপি দেখে, আসলে সত্যি কথা বলতে আমার মিষ্টি কুমড়া সব সময় ঘন্ট করে রান্না করা হয়। এভাবে ভাজি কখনো করা হয় না। আপনার এই মিষ্টি কুমড়া ভাজিতে চিনির ব্যবহারটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কেক বানাতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলেছেন জেনে খারাপ লাগলো আপু। এখন নিশ্চয়ই ভালো আছেন। যাইহোক বেশ মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আজ। তবে আমরা মিষ্টি কুমড়ার ভাজিটা একটু ভিন্নভাবে তৈরি করি। আপনার রেসিপিটা দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আহারে আপু আপনার হাত পুড়ে গিয়েছিল শুনে খারাপ লাগছে। এরকম পরিস্থিতি সত্যি অনেক কষ্টের। যাইহোক আপু আপনার শেয়ার করা এই মজার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে খেতে অনেক ভালো হয়েছিল। এই খাবারগুলো গরম ভাতের সাথে কিংবা পরোটার সাথে খেতে দারুন লাগে।
আপনি আজ আমাদের মাঝে আমার প্রিয় একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন মিষ্টি কুমড়ো ভাজি রেসিপি। এই রেসিপিটা খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে এবং আপনার রেসিপি কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল রেসিপিটি। প্রতিটি ধাপ বেশ দক্ষতার সহিত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
মিষ্টি কুমড়া অনেকভাবে রান্না করে খেয়েছি কিন্তু এভাবে কখনো ভাজি করে খাওয়া হয়নি। আপনি তো আজকে দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপু। সময় পেলে এবার অবশ্যই এভাবে মিষ্টি কুমড়ো রান্না করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপু নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মিষ্টি কুমড়ো ভাজি রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।