টাকি মাছ দিয়ে পালং শাকের ঝোল রেসিপি ।।
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু, মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি-
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে টাকি মাছ দিয়ে পালং শাকের ঝোল রেসিপি শেয়ার করবো।
শীতকালীন সবজির মধ্যে অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি শাক হচ্ছে পালং শাক । শীতকাল আসলে পালং শাকের পাশাপাশি সবাই বিভিন্ন ধরনের শাক খেয়ে থাকেন । তবে পালং শাক দিয়ে অনেক প্রকারের রেসিপি তৈরি করা হয় শীতকালে। অনেকে পালং শাকের সাথে চিকেন অথবা ফিস দিয়ে বিভিন্ন প্রকার মজার মজার খাবার তৈরি করে থাকেন। আমিও শাক দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের মজার মজার খাবার তৈরি করতে পছন্দ করি। শীতকাল ছাড়া পালং শাক তেমন বেশি পাওয়া যায় না। অন্যান্য শাকের তুলনায় পালং শাকের দাম একটু বেশি। তাছাড়া পালং শাক বিভিন্ন প্রকার রেসিপিতে ব্যবহার করার কারণ হলো এটার কালার সবুজ থাকে। রেসিপি তৈরি করতে গেলে এক্সট্রা কোন সবুজ কালারের রং ব্যবহার করতে হয় না। প্রকৃতিগতভাবেই পালং শাকের রেসিপি গুলো সবুজ হয়ে থাকে। আর পুষ্টি যেমন তেমনি এর রং। যতবারই পালং শাকের রেসিপি তৈরি করেছি ততবারই পালং শাকের কালার অখুন্ন রয়েছে। তাই আপনাদের মাঝেও মাছ দিয়ে কিভাবে পালং শাকের ঝোল রেসিপি তৈরি করা যায় সেই রেসিপিটি শেয়ার করব। আশা করি আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে রেসিপি প্রত্যেকটি ধাপ আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
পালং শাক | হাফ কেজি |
---|---|
টাকি মাছ | চারটি |
পেঁয়াজ | দুই পিস |
কাঁচা মরিচ | ছয়টি |
সরিষার তেল | পরিমান মত |
হলুদের গুঁড়ো | পরিমান মত |
জিড়ে গুঁড়ো | পরিমান মত |
ধনিয়ার গুড়ো | পরিমাণ মতো |
রসুন বাটা | পরিমান মত |
আঁদা বাটা | পরিমান মত |
লবণ | পরিমাণ মতো |
রন্ধন পদ্ধতি
প্রথম ধাপ-
প্রথমে পালং শাকগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে একটি কড়াইয়ের মধ্যে অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে হালকা ভাব দিলাম। তারপর পালং শাকগুলো ভাব হয়ে আসার পরে। শাকগুলোকে একটা খাড়ির মধ্যে ছেঁকে নিব।
দ্বিতীয় ধাপ-
এ পর্যায়ে চুলায় একটি করায় বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে দিলাম। তেলটা একটু গরম হয়ে আসার পরে তাতে পেঁয়াজ কুচি গুলি দিয়ে দিলাম।
তৃতীয় ধাপ-
এ পর্যায়ে পেঁয়াজ গুলো ভালোভাবে ভাজা হয়ে আসার পরে। তাতে দিয়ে দিলাম আদা-রসুন বাটা ও কাঁচা মরিচ। কাঁচা মসলাগুলো ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে ভেজে নেওয়ার পর তাতে দিয়ে দিলাম জিরা, হলুদ, ধনিয়ার গুড়ো। তারপর ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ-
এখন কষিয়ে নেওয়া মসলার মধ্যে টাকি মাছগুলো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ-
এ পর্যায়ে মাছগুলো ভালোভাবে কষানোর জন্য অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। তারপর ভালোভাবে মাছগুলোকে কষিয়ে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ-
এ পর্যায়ে ঢাকনা উঠিয়ে কষানো মাছ গুলোর মধ্যে সেদ্ধ করে রাখা পালং শাকগুলো দিয়ে দিলাম। তারপরে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
সপ্তম ধাপ-
এ পর্যায়ে পরিমাণমত পানি দেওয়ার পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। প্রায় ১৫ মিনিট এভাবে রান্না করে নিলাম। ঢাকনা উঠিয়ে লবণ ছ্যাকে রেসিপিটি চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন করে নিলাম।
পরিবেশন-
পালং শাকের এই ঝোল রেসিপি টি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছিল। তাছাড়া পালং শাক যেভাবে রান্না করা হোক না কেন আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি অন্যান্য শাক না খেলেও পালং শাক অনেক পছন্দ করি। কেননা পালং শাকে অনেক ভিটামিন সমৃদ্ধ গুনাগুন রয়েছে।
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। কেমন হলো আমার আজকের এই টাকি মাছ দিয়ে পালং শাকের ঝোল রেসিপি অবশ্যই কমেন্টসের মাধ্যমে জানাবেন। সবার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল। এ প্রত্যাশা রেখে এখান থেকে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | টাকি মাছ দিয়ে পালং শাকের ঝোল রেসিপি ।। |
স্থান | নিজবাসা, নারায়নগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৬ - ০২ -২০২৫ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
![image.png](
ঠিক বলেছেন পালং শাকের রেসিপি গুলো সবুজ থাকে।পালং শাকের সবুজ লালার সুন্দর লাগে দেখতে।আপনি চমৎকার সুন্দর করে পালং শাকের ও টেংরা রেসিপি করেছেন।অসাধারণ সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপিটি। খেতে অনেক সুস্বাদু এই রেসিপিটি তা বুঝতে পারছি।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি আপু পালং শাকের রং সবুজ থাকে বলেই আমি এটা খুব। পছন্দ করি। আর অবশ্য এটি সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকেও স্বাগতম আপু।
পালং শাক অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না। আপনার রেসিপিতে দেখে বেশ ভালো লাগলো। এই পালং শাক আমাদের শরীরের জন্য বেশ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। তবে টাকি মাছ দিয়ে পালং শাক রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। কালারটা একদম সবুজ দেখাচ্ছে তাই আরও বেশ লোভনীয় লাগছে। মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি পালং শাকে অনেক রকমের গুনাগুন রয়েছে। যা গুনে শেষ করা যাবে না। আর এই রেসিপিটি এভাবে রান্না করলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি যেহেতু খাননি কোন এক সময় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আজকে। পালং শাক দিয়ে টাকি মাছের রেসিপি খাওয়া হয়নি কিন্তু পালং শাক দিয়ে তেলাপিয়া মাছের ঝোল ঝোল রেসিপি খাওয়া হয়েছে। খুবই মজাদার হয়ে থাকে। আপনার তৈরি করা পালং শাক দিয়ে টাকি মাছের রেসিপিটির ফাইনাল আউটপুট দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ স্বাদ হয়েছিলো। এরকম ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
যে ভাইয়া পালং শাকের সাথে যে কোন মাছ মানায় । আর যেকোনো মাছ দিয়ে রান্না করলে এটি অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। তেলাপিয়া বা টাকি মাছ কোন ফ্যাক্টর না। যেকোনো মাছ দিয়েই পালং শাক রান্না করা যায়। হুম ভাইয়া এই রেসিপিটি অনেক স্বাদ হয়েছিল। আপনাকেও স্বাগতম।
ওয়াও আপু আপনি টাকি মাছ দিয়ে পালং শাকের ঝোল এর লোভনীয় একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন।এককথায় বলতে গেলে জিভে জল আনার মত রেসিপি।ছবি দেখে বুঝতে পারলাম খেতে খুব ভালো হয়েছিল রেসিপিটি।আপু আপনি ধাপগুলো খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আমি চেষ্টা করি সব সময় আপনাদের মাঝে জিভে জল চলে আসার মত রেসিপি শেয়ার করতে। আপনারকাছে রেসিপিটি ভালো লেগেছে তাই খুব খুশি হলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। স্বাগতম আপু।
আজকে আপনি খুব মজার রেসিপি করেছেন। টাকি মাছ দিয়ে পালং শাকের রেসিপি করলেন। তবে পালং শাক আমার খুব প্রিয়। শীতকালে এই শাকগুলো তাজা কমবেশি সব জায়গাতে পাওয়া যায়। এবং আপনার রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। মজার রেসিপিটি সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাইয়া, শীতকাল তাজা পালং শাক সব জায়গায় পাওয়া যায় । আপনিও দেখছি পালং শাক খুবই পছন্দ করেন।আর রেসিপিটি খুবই মজা হয়েছিল। আপনাকে স্বাগতম ভাইয়া।
পালং শাকের ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। কখনো এভাবে ভাপিয়ে নিয়ে পালং শাক রান্না করা হয়নি। রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু টাকি মাছ দিয়ে পালং শাকের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু পালং শাক ভাব দিয়ে রান্না করলে, পালং শাকের মধ্যে একটি কাঁচা গন্ধ থাকে সে গন্ধটা চলে যায়। পালং শাক এভাবে রান্না করলে খুবই মজাদার ও সুস্বাদু হয়। আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
টাকি মাছ দিয়ে পালং শাক এভাবে আজও রান্না করে খাওয়া হয়নি। রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে খেতে। একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবো রেসিপিটা খেতে কেমন লাগে ধন্যবাদ।
এভাবে পালং শাকের ঝোল রান্না করলে খেতে অসম্ভব মজা হয়। আপু আপনিও একদিন ট্রাই করে দেখবেন। আশা করি পরবর্তীতে আপনি প্রায়ই বানিয়ে খাবেন। স্বাগতম আপু।