আলু দিয়ে বতুয়া/বথুয়া শাকের ভাজি রেসিপি
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু, মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি-
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে প্রতিদিনের মতো নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আমার আজকের ব্লগটি হচ্ছে রেসিপি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আলু দিয়ে বতুয়া শাকের ভাজি রেসিপি শেয়ার করব। চলুন আগে এই শাকের গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
গ্রাম্য এলাকার খুব পরিচিত একটি শাক হলো বতুয়া।এই শাকের অনেক নাম রয়েছে। অনেকে বথুয়া বা বেথো বা বৈতে শাক বলে থাকে। বথুয়া শাক মূলত শীতকালে পাওয়া যায়। এইশাক আলাদাভাবে কেউ চাষ করে না। চাষ না করলেও জমিতে আগাছার মতো আপনা-আপনি জন্ম নেয় এ শাক। মূলত এটি আগাছা হিসেবেই জমিতে বেড়ে ওঠে। গ্রামাঞ্চলে এই শাক প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আবার বাজারে আঁটি বেঁধেও বিক্রি হয়। বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোতেও এর দেখা মেলে। তাই আমরা ও বাজার থেকে এক আটি নিয়ে এলাম। কারণ অন্যান্য শাকের তুলনায় বথুয়া শাক শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
এতে থাকা ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, আয়রন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস, জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ভিটামিন এ, বি, সি, ফাইবার, ডায়াটারি ফাইবার, এবং সোডিয়ামের মতো উপাদান থাকে বথুয়ায়। যা হার্ট সুস্থ রাখে, রক্তের কার্যকরিতা বাড়ায়, অন্ধত্ব দূর করে। এছাড়া বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ এবং রোগ সারাতে সাহায্য করে। তাছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, চুল পড়া কমায় ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এই একটি শাকে এতোসব গুনাগুন রয়েছে তা কি না খেলে হয়। তাহলে চলুন বন্ধুরা আপনাদের মাঝে আলু দিয়ে বতুয়া শাকের ভাজি রেসিপিটি শেয়ার করে ফেলি।
বতুয়া শাক | এক আঁটি |
---|---|
কাঁচা মরিচ | ছয় পিস |
পেঁয়াজ | দুই পিস |
আলু | দুটি |
রসুন | দুটি |
হলুদের গুঁড়ো | এক চিমটি |
সয়াবিন তৈল | পরিমান মত |
লবণ | পরিমাণ মতো |
রন্ধন পদ্ধতি
প্রথম ধাপ
প্রথমে কড়াইয়ের মধ্যে তেল দিয়ে তেল গরম করে নিলাম। তারপর গরম তেলে কুচি করে কেটে রাখা রসুন ও পিয়াজ দিয়ে দিলাম।
পেঁয়াজ রসুন কোচিং গুলোকে হালকা ভেজে নিলাম। পেঁয়াজগুলো হালকা ভাজা হয়ে গেলে তারপর দিয়ে দিলাম কেটে রাখা আলুগুলো।
এ পর্যায়ে আলু গুলোর মধ্যে এক চিমটি পরিমাণ হলুদ দিয়ে আলু গুলোর সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। যাতে করে আলুগুলো হালকা ভাপে সিদ্ধ হয়ে যায়।
এ পর্যায়ে চিকন করে কেটে রাখা বতোয়া শাকগুলো আলু ও পেঁয়াজের মধ্যে দিয়ে দিলাম। তারপর কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে সবকিছু একসাথে মিশিয়ে নিলাম।
এই পর্যায়ে বতুয়া শাকগুলো হালকা সিদ্ধ হয়ে আসার পর তাতে কাঁচা মরিচ কুচি ও লবণ দিয়ে দিলাম। তারপর কিছুক্ষণ ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে পানিটা শুকিয়ে নিলাম। তারপর তৈরি হয়ে গেল খুবই পুষ্টিকর আলু দিয়ে বতুয়া শাক ভাজি।
বন্ধুরা এই হল আমার আজকের আলু দিয়ে বতুয়া শাকের রেসিপি। এভাবে রান্না করলে শাকের মজা দ্বিগুন বেড়ে যায়।
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। কেমন হলো আমার আজকের রেসিপি। অবশ্যই কমেন্টসের মাধ্যমে জানাবেন। সবার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল। এ প্রত্যাশা রেখে এখান থেকে বিদায় নিয়েছি। আল্লাহ হাফেজ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | আলু দিয়ে বতুয়া শাকের ভাজি রেসিপি ।। |
স্থান | নিজবাসা, নারায়নগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১১- ০২ -২০২৫ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
![image.png](
Done
এই বতুয়া শাক গ্রামগঞ্জে আগাছার মত বেড়ে উঠলেও আমাদের ঢাকা শহরে কিন্তু এই শাকের অনেক চাহিদা। আমাদের ঢাকায় সবাই এ শাক অনেক পছন্দ করে। বিভিন্নভাবে রান্না করে খেতে অনেক পছন্দ করে। বিশেষ করে সিমের বিচি ও শুটকি দিয়ে রান্না করলে অনেক মজা লাগে। আজ আপনার আলু দিয়ে শাক ভাজি রেসিপিটি দেখেও কিন্তু অনেক লোভ লেগে যাচ্ছে। বতুয়া শাক দিয়ে আলু দিয়ে এভাবে ভাজি কখনো খাওয়া হয়নি।
আপু এভাবে ভাজি করলে খুবই ভালো লাগে। আপনি তো এভাবে। কখনো খাননি, অবশ্যই একদিন এই রেসিপিটি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। খুবই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
আমাদের এলাকায় বতুয়া শাক বলা হয়ে থাকে।এই শাক শীতকালীন শাক।আলুর বা গমের জমিতে এই মজাদার শাকটি কিনতে পাওয়া যায় তবে আমাদের এলাকায় এই বতুয়া শাক কিনতে পাওয়া যায় হাইব্রিড জাতের। অযত্নে বেড়ে ওঠা এই বতুয়া শাক খুবই সুস্বাদু। আপনি আলু দিয়ে চমৎকার করে রান্না করেছেন এবং রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হাইব্রিড জাতের বতুয়া শাক আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনা। তবে নিজে নিজে বেড়ে ওটা আগাছার মত সবুজ বতুয়া শাক আমার কাছে ভালো লাগে। আর এই সবুজ বতুয়া শাক গুলোই খেতে খুবই পুষ্টি। পাশে থাকার জন্য আপনাকে স্বাগতম।
বথুয়া শাক গ্ৰামের অন্যতম একটি সবজি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে বথুয়া শাকের ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। আসলে এরকম সবজি রেসিপি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
জ্বী ভাইয়া এই শাকটি খেতে খুবই মজা হয়েছিল। আর বতুয়া শাক আসলেই অনেক উপকারি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই বতুয়া শাক গ্রাম অঞ্চলের প্রতিটি মাঠে পাওয়া যায়। এই শাক ভাজি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে এর মধ্যে কুমড়ার বড়ি দিলে খেতে আরো বেশি মজাদার হয়। আপনি দেখছি আলু দিয়ে বতুয়া শাক রান্না করেছেন। আমিও কিছুদিন আগে করেছিলাম। খেতে বেশ সুস্বাদু হয়। সম্পূর্ণ প্রসেস আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আপু বতুয়া শাকের সাথে মিষ্টি কুমড়া বড়ি দিয়ে কিভাবে রান্না করে তা আমি জানিনা। তবে আমার এই রেসিপিটা আমার কাছে ভালো লাগে। আপনার বলা রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন অনেক উপকৃত হব। ধন্যবাদ আপু।
আসলে আলু এবং পেঁয়াজ দিয়ে এই ধরনের শাক ভাজির রেসিপি আমার অনেক বেশি প্রিয়। আপনি খুব সুন্দর করে এই বতুয়া শাক ভাজির রেসিপিটা ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর একটা শাক ভাজির রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আলো দিয়ে এভাবে শাক রেসিপি আপনার প্রিয় রেসিপি। জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আলু দিয়ে বতুয়া/বথুয়া শাকের ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন।বথুয়া শাক মূলত আলু ক্ষেতে হয়ে থাকে।বথুয়া শাক ভাজি খেতে ভীষণ স্বাদ লাগে। এধরনের শাক গুলো গ্ৰামের মানুষগুলো বেশি খেয়ে থাকে। আপনি আজকে চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
একদম ঠিক বলেছেন এই বতুয়া শাক বিশেষ করে গ্রামের মানুষ রাই খেয়ে থাকে। শহরের মানুষ বাজার থেকে কিনে খায়। আমার এই রেসিপিটা আসলে অনেক মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই শাকের নাম শুনেছি তবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে ভালো লাগলো। আলু দিয়ে এরকম শাক ভাজি খেতে চমৎকার লাগে। সম্ভব হলে একদিন এই শাক টা খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু এই শাকের টেস্ট ও গুনাগুন সবচেয়ে বেশি। অনন্যা শাকের তুলনায় এই শাক যেভাবে রান্না করবেন সেভাবেই ভালো লাগবে। একদিন ট্রাই করে দেখবেন। ধন্যবাদ আপু।
আহা, বতুয়া শাক আমার যে কি পরিমানের পছন্দ সেটা বলে বোঝাতে পারবো না আপু। আপনি তো খুবই লোভনীয়ভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। সেই সাথে এই বতুয়া শাক স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক বেশি উপকারী। আলু দিয়ে বতুয়া শাকের চমৎকার রেসিপি আমাদের সাথে সুন্দর বর্ণনা সহকারে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
তাহলে তো ভালোই হলো ভাইয়া এই শাক আপনার পছন্দের আর আমি রেসিপিটি শেয়ার করলাম আপনার তো ভালোই লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই শাক আমার খুবই প্রিয়। আর খেতেও ভালো লাগে। আলু দিয়ে বতুয়া শাক কখনো খাওয়া হয়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু বতুয়া শাক কমবেশি সবারই প্রিয়। আমারও একটি পছন্দের শাক। এভাবে রেসিপিটি তৈরি করলে আরো মজাদার হয়। আপনি একদিন ট্রাই করবেন।
ধন্যবাদ আপু
আমরা বতুয়া শাককে গ্রাম অঞ্চলে বাক্তার শাক বলে থাকে। আজকে আপনি আলু দিয়ে বতুয়া শাকের মজার রেসিপি করেছেন। তবে শীতকাল আসলে গ্রামাঞ্চলে এই শাকগুলো অনেক পাওয়া যায়। আর এই শাকগুলো খেতেও বেশ মজা লাগে। মজার বতুয়ার শাকের রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
বতুয়া শাকের যে বাক্তার নাম আছে তা আমি আজ প্রথম জানলাম। যাইহোক এই রেসিপিটি শেয়ার করার কারণে নতুন একটি নাম জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।