"সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বাড়ীতে মুড়ির মোয়া তৈরি"
বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে রোজ ডে এর শুভেচ্ছা।সবাইকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। অনেকেই জানেন আপনাদের দাদা আমার জিবনে আসার পর থেকেই ভালোবাসার সপ্তাহ পালন করা হয়। যদিও প্রিয় মানুষ পাশে থাকলে প্রত্যেক মাসেই ভালোবাসার সপ্তাহ হয়ে থাকে।আর প্রত্যেকদিনই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হয়। তাই ভালোবাসার আলাদা কোন দিন নেই।
যাই হোক আসল কথায় আসা যাক। কিছু দিন আগে সরস্বতী পূজা গিয়েছে। আমি ছেলেবেলায় সরস্বতী পূজা আসার আগে মা, ঠাকুরমা ও দিদিমা কে দেখতাম বাড়ীতে মুড়ি, চিরে ও খৈ ভাজা হতো। আর পূজার আগের দিন রাতে মুড়ির মোয়া ও জিলাপী ভাজা হতো। সে কি আনন্দ করতাম সবাই মিলে। কারণ সরস্বতী পূজার দিন পড়াশুনার থেকে ছুটি। তবে এখন আর গ্রামে এসব কিছুই হয় না।সবকিছুই যেন হারিয়ে যাচ্ছে সেসব। আমার মুড়ির মোয়া খেতে খুবই ভালো লাগে। তাই ভাবলাম মুড়ির মোয়া করা যাক। কিন্তু এখন কোন খাবার তৈরি করার সময় হয়ে উঠে না।
বাবুদের নিয়ে সময় যেন কোথা দিয়ে চলে যায়। তারপরও ইচ্ছা হয় সবার জন্য তৈরি করার। আগের থেকে আনা কিছু মুড়ি ছিলো আর পিঠা খাওয়ার জন্য গুর এনেছিলাম। সেই গুর দিয়ে মুড়ির মোয়া তৈরি করেছিলাম । যদিও আমি আগে কখনও মোয়া তৈরি করেনি।এই প্রথম মুড়ির মোয়া বানানো।তাই নিলয় অনেকটাই করেছিলো সাহায্য করেছিলো। মোয়া খেতে কিন্তু মজার হয়েছিলো। ঘরে বেশ কয়েক দিন রেখেই এই মোয়া খাওয়া যায়।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণঃ
১.মুড়ি
২. খেজুর গুর
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে চুলার উপড়ে কড়াই বসিয়ে দিয়ে গরম করে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে খেজুর গুর ঢেলে দিতে হবে। এবার একটা খুন্তি দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকতে হবে।
২.মিডিয়াম আঁচে নাড়তে নাড়তে গুর যখন আঠালো হয়ে আসবে তখন ধীরে ধীরে মুড়ি দিয়ে আবার নাড়তে থাকতে হবে। এরপর চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়ে আবার ভালো করে নেড়ে দিতে হবে। এবার গুরে মাখানো মুড়ি গরম থাকতে থাকতে হাত দিয়ে গোল করে করতে হবে ঠিক লাড্ডুর মতো।
৩.তবে এই গুরে মাখানো মুড়ি গরম থাকতে থাকতে মোয়া তৈরি করতে হবে তা না হলে শক্ত হয়ে গেলে আর হবে না। তাই আমি তাড়াতাড়ি অনেক গুলো তৈরি করে নিয়েছিলাম। মুড়ির মোয়া গুলো বেশ কুড় মুরে ছিলো।
তৈরি হয়ে হয়ে গেল মুচ মুচে মুড়ির মোয়া। এই মোয়া ঘরে সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
আপনার উপরোক্ত কথার সঙ্গে একদম সহমত পোষণ করছি বৌদি। তাছাড়া দারুণ মুড়ির মোয়া বানিয়েছেন। আপনাদের পরিবারের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার কথাগুলো শুনে অনেক ভালো লাগলো দিদি। আর অনেকদিন পর এরকম মুড়ির মোয়া তৈরি করা দেখলাম। অনেক আগে আমার দাদী এরকম মোয়া তৈরি করত। আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল দিদি।
হ্যাঁ বৌদি ভালবাসা আলাদা কোন কোনদিন নেই। আর এটি একদম ঠিক বলেছেন প্রিয় মানুষ পাশে থাকলে প্রত্যেক দিনেই ভালোবাসা দিবস হয়। আজকে আপনি বৌদি খুব সুন্দর মুড়ির মোয়া রেসিপি বানিয়েছেন। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের মা এভাবে মুড়ির মোয়া বানাতেন। আর আপনার মুড়ির মোয়া পোস্ট দেখে ছোট কালের কথা মনে পড়ে গেল। এবং আপনি ব্যস্ততার মাঝে মুড়ির মোয়ার রেসিপি বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
জ্বী বৌদি আমরা ভালো আছি এবং আশা করছি বাবুদের নিয়ে আপনিও ভালো আছেন। সত্যি বলতে ভালোবাসার নির্দিষ্ট কোন দিন হয় না, প্রিয় মানুষটি পাশে থাকলে প্রতিটি দিনই হয়ে যায় ভালোবাসাময়।
মুড়ির মোয়া আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বেশ খেতাম বিশেষ করে শীতের সকালগুলো নাস্তা হতো লাল চা আর মুড়ির মোয়া দিয়ে। বেশ সুন্দর বানিয়েছেন আপনি। অনেক ধন্যবাদ
ভালোবাসার মানুষ থাকলে প্রত্যেকটা দিনই ভালোবাসার হয়। এর জন্য নির্দিষ্ট কোন দিনের প্রয়োজন হয় না। আর দাদা আপনাকে পেয়ে আর আপনি দাদাকে পেয়ে দুজনেই ধন্য এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। আপনাদের এই সুন্দর জীবনটা সুন্দরভাবে অতিবাহিত হোক সেই প্রার্থনা রইলো বৌদি। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে মুড়ির মোয়া তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগছে।তবে আমরা কখনো ঘরে তৈরি করিনি। নিলয় দাদা যেহেতু সাহায্য করেছে সেই হিসেবে আপনার কাজটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
সত্যি তাই ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকলেই প্রতিদিন প্রতিসপ্তাহ ভালোবাসার দিন এর জন্য আলাদা দিনের প্রয়োজন হয় না। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বেশ চমৎকার সুন্দর মোয়া বানিয়েছেন বৌদি।মোয়া গুলো যে প্রথম বানিয়েছেন তা বোঝার উপায় নাই মনে হচ্ছে পাকা হাতের তৈরি মোয়া।গরম গরম মোয়া খেতে দারুণ লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মোয়া বানানো পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।