রেসিপি পোস্ট -- 😋 " দারুন মজার কাচকি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি "
শুভ দুপুর সবাইকে
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি আজ একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি।আমি আশাকরি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
দারুন মজার কাচকি মাছের চচ্চড়িঃ
বন্ধুরা,মাছ আমার ভীষন প্রিয়।ছোট-বড় সব ধরনের মাছই আমার খুব ভালো লাগে খেতে। আর এই মাছকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম রান্না করে এর স্বাদের ভিন্নতা আনার চেষ্টা ও আমি করি।কারন আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন একঘেয়েমি কোন কিছুই আমার ভালো লাগে না।তাই চেষ্টা করি সব সময় সবকিছুতেই ভিন্নতা আনার।এই ছোট মাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ চোখ। এই চোখের যত্নে ছোট মাছের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আমাদের সকলের এই মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।আমি আজ দারুন মজার কাচকি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম।আশাকরি আপনাদের কাছে আমার এই রেসিপিটি খুব ভালো লাগবে।তবে চলুন রেসিপিটি শেয়ার করার আগে এই রেসিপির উপকরনগুলো আমি এক এক করে তুলে ধরছিঃ
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
১।কাচকি মাছ --২৫০ গ্রাম
২। পেঁয়াজ কুচি -- ৪/৫ টি
৩।রসুন পেস্ট -- ১ চামচ
৪।হলুদ এর গুঁড়া -- হাফ চামচ
৫।মরিচের গুঁড়া --১ চামচ
৬।তেল -- পরিমান মতো
৭।লবন-- স্বাদ মতো
৮।কাঁচা মরিচ --৪/৫ টি
৯। টমেটো -- ১ টি
রান্নার ধাপ সমুহঃ
ধাপ -- ১
এই ছোট মাছে অনেক রকমের ময়লা থাকে। সেই গুলো পরিষ্কার করে মাছগুলো ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ -- ২
এরপর পয়ানে পরিমান মতো তেল দিয়ে গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিলাম। এরপর তাতে হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, রসুন পেস্ট ও লবন দিয়ে দিলাম।আর মসলা গুলো ভালো মতো ভুনা করে নিলাম।
ধাপ -- ৩
মসলা ভুনা হয়ে এলে কেটে রাখা টমেটো ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে ভালো মতো ভুনা করে নিয়েছি।
ধাপ -- ৪
সব মসলা ভালো মতো ভুনা হয়ে গেলে ধুয়ে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিবো।এরপর মাছের সাথে মসলা আলতো ভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিব।এরপর সামান্য পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিলাম।
ধাপ -- ৫
এরপর পানি টেনে এলে নামিয়ে ফেললাম।এই রেসিপিতে ধনিয়া পাতা কুচি দিলে আরো বেশী মজার হয়।কিন্তু আমার আনা ছিল না। তাই দেয়া হয়নি।আপনারা চাইলে নামানোর আগে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিবেন।আর এভাবে ই রান্না শেষ হয়ে গেলো।
পরিবেশন
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা |
আজ আর নয়। আশাকরি আমার রেসিপি আপনাদের কাছে খুব ভাল লেগেছে।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হব। সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
আপনি তো আমার ফেভারিট মাছের ফেভারিট রেসিপিটা তৈরি করেছেন। কাচকি মাছের চচ্চড়ি আমার এতটাই পছন্দের দেখলেই জিভে জল চলে আসে। আমার তো অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে আপনার রেসিপিটা দেখে। এটা ঠিক, এই মাছের উপকারিতা অনেক বেশি আমাদের শরীরের জন্য। আপনার উপস্থাপনা খুব ভালো লেগেছে।
আপনার কাচকি মাছ পছন্দ জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কাচকি মাছ খেতে আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে। কাচকি মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বিদ্যমান থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার। আপনি খুবই সুস্বাদু ও লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। টমেটো যোগ করাই এর স্বাদ দ্বিগুণ হবে আশা করি।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Twitter link
আপনার ছোট মাছের চচ্চড়ি দেখে তো আমার এখনই খেতে ইচ্ছা করছে। গরম গরম ভাত দিয়ে এই ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি দেখে তো আমার সত্যিই খেতে ইচ্ছে করছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
শুনেছি কাচকি মাছ নাকি শরীরের জন্য অনেক ভালো। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই মাছটিই আমি তেমন খাইনা। আর আজ আপনি আমার না খাওয়া মাছ নিয়ে রেসিপি দিয়ে দিলেন? তবে আপনার রান্না দেখে কিন্তু বেশ খেতে মনে চাইছে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। বেশ সুন্দর করে উপস্থাপনও করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
আপনি কাচকি মাছ খান না? 🤔 ধন্যবাদ আপু মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
কাচকি মাছটি খুবই পুষ্টিকর। আর চচ্চড়ি করে খেতে ভীষণ মজা লাগে। গরম গরম ভাতের সাথে আমি খেতে পছন্দ করি। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ও।
টমেটো দিয়ে কাচকি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। কাচকি মাছ আমার খুবই পছন্দের মাছ। অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটির রন্ধন প্রক্রিয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোট মাছ খেতে আমি নিজেও অনেক বেশি পছন্দ করি। আসলেই ছোট মাছ আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আপনি কাচকি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন, এটা দেখেই আমার খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে ছোট মাছ খাওয়ার অভ্যাসটা করলে অনেক বেশি ভালো হয়। চোখের জন্য ও এটা অনেক উপকারী এটা শুনেছিলাম। নিশ্চয়ই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা।
সত্যিই আপু খুব মজা হয়েছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
কাচকি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি খেতে তো দারুন লাগে। মনে হয় যে আজকে খাওয়াটা বেশ জমবে। আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে এই মাছটি। হুম একঘেয়েমি কোন কিছুই ভালো লাগে না এবং ছোট মাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সব সময় আমাদের চেষ্টা করতে হবে ছোট মাছ খেতে। মাছটি রান্না করতে প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি আপনি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার রান্নার ধরণটি ভীষণ ভালো লাগলো এবং এটি দেখে আমি শিখতে পারলাম।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল এত সুন্দর একটি মাছের চচ্চড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
কাচকি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। নদীর মাছ তাছাড়া চোখের জন্য ছোট মাছ বেশি বেশি করে খেতে হবে। আপনি সবসময় চেষ্টা করেন রেসিপির ভিন্নতা নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হওয়ার । সেটাই করেছেন খুবই সুন্দর একটা রেসিপি ছিল।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।