রেসিপিঃশিম ফুল পিঠা।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি, সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি। আমিও ভালো আছি। আজ ২৯শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই জুলাই ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে শিম ফুল পিঠার রেসিপি।এই পিঠাটি আমি প্রথম খেয়েছিলাম আমার ছোট ভাইয়ের শ্বশুর বাড়িতে ।বেশ মজা লেগেছিল। তাই রেসিপিটি জেনে নিয়েছিলাম ছোট ভাই এর শ্বাশুরির কাছ থেকে। কখনও বানানো হয়নি। আজ প্রথম বানানাম। বেশ ভালই হয়েছে। আমি শুধু ভ্যানিলা এসেন্স যুক্ত করেছি । এই পিঠা বানিয়ে বেশ কয়েকদিন রেখে খাওয়া যায়। বিকালের নাস্তায় বা অতি্থি আপ্যায়নেও এই পিঠার জুড়ি মেলা ভার। বেশ মচমচে হয় এই পিঠা। তাই খেতে বেশ মজা লাগে।বাড়ির বড়রা যেমন পছন্দ করবে এই পিঠা তেমনই শিশুরাও পছন্দ করবে। তাই বাহিরের খাবারের পরিবর্তে আমরা এ ধরনের ঘরে বানানো খাবার খেতে শিশুদের অভ্যস্ত করতে পারি। শিম ফুল পিঠা তৈরিতে প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি ময়দা ও ডিম।এছাড়া অন্যান্য উপকরণতো আছেই। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক পিঠা তৈরির রেসিপিটি। আশাকরি,আমার আজকের উপস্থাপন রেসিপি ব্লগ শিম ফুল পিঠার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ সমূহ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ময়দা | দের কাপ |
চিনি | ১ কাপ |
ডিম | ১টি |
লবন | পরিমাণ মতো |
কুকিজ কাটার বা বোতলের মুখ | ১পিস |
ভ্যানিলা এসেন্স | ২ফোটা |
সয়াবিন তেল | ২ কাপ |
রন্ধন প্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে একটি বাটিতে ডিম ভেঙ্গে নিয়েছি।
ধাপ-২
ডিমটিতে সামান্য লবন দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়েছি। ফেটানো ডিমে অল্প অল্প চিনি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
পিঠায় যাতে ডিমের গন্ধ না থাকে যে জন্য সামান্য পরিমাণ ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে দিয়েছি ডিম ও চিনির মিশ্রণটিতে।
ধাপ-৪
ডিম চিনির মিশণটিতে অল্প অল্প ময়দা দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এবং একটা মসৃন ডো তৈরি করে নিয়েছি। অনেকটা রুটির ডোর মতো। বেশি নরমও না আবার বেশি শক্তও না। এই পিঠা তৈরিতে কোন রকম পানি ব্যবহার করা যাবে না।পিঠার পরিমাণের উপর উপকরণ কম বেশি হতে পারে।
ধাপ-৫
ডোর উপরে সামান্য তেল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে আধা ঘন্টার জন্য রেখে দিয়েছি।
ধাপ-৬
ডো থেকে লেচি কেটে একটি রুটি বেলে নিয়েছি পাতলা করে।
ধাপ-৭
আমার কাছে ছোট কুকিজ কাটার না থাকায় বোতলের মুখ দিয়ে ছোট ছোট গোল করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৮
এবার কেটে নেয়া টুকরো গুলো থেকে একটি নিয়ে হাতের সাহায্যে পিঠার ডিজাইন করে নিয়েছি। ছবির মতো করে।একইভাবে সবগুলো বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৯
এবার পরিমাণ মতো তেল দিয়ে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে বানিয়ে রাখা পিঠা অল্প অল্প করে দিয়ে ব্রাউন করে ভেজে তুলে নিয়েছি। অল্প আঁচে সময় নিয়ে ভেজে নিতে হবে পিঠা গুলো ,তাহলে মচমচে হবে। সবগুলো পিঠা ভাজা হয়ে গেলে একটি প্লেটে সাজিয়ে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য।
উপস্থাপন
আশাকরি আজকের শিম ফুল পিঠার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করি নতুন নতুন রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে।পরিবারের বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হোন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার রেসিপি ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি পোস্ট |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ১৩ই জুলাই,২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপু আপনার ছোট ভাইয়ের শাশুড়ির কাছ থেকে এই মজার রেসিপি শিখেছেন জেনে ভালো লাগলো। পিঠা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে পিঠা বানাতে আমি খুব একটা দক্ষতা অর্জন করতে পারিনি। অসাধারণ ছিল আপনার রেসিপি।
আমারো বেশ পছন্দ বিভিন্ন ধরনের পিঠা।আর এই পিঠা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
https://x.com/selina_akh/status/1812136791279038582
আপনার পিঠা গুলো দেখে লোভ লেগে গেল আপু।মনে হচ্ছে অনেক মজার ছিল। সত্যি এমন পিঠা বানিয়ে রাখলে ইচ্ছে অনুযায়ী ভেজে খাওয়া যায়।পিঠা গুলোর ধাপ দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করবো।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু খেতে বেশ মজা ছিল।একদিন বানাবেন।আশাকরি ভালো লাগবে।মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
এই পিঠা আমিও খেয়েছি তবে আমি শুধু পয়সার মতো করে ভেঁজে নিয়েছি। আপনি শিমু ফুলের মতো ডিজাইন করেছেন দেখে দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। বিকালের নাস্তা এই পিঠা খেতে দারুণ লাগে। আমার তো দেখেই খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার উপস্থাপনা দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পয়সার মতোও খাওয়া যায়।তবে ডিজাইন করলে দেখতে সুন্দর লাগে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
শিম ফুল পিঠা তৈরি করার খুবই সুন্দর একটা পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই পিঠার রেসিপি এর আগে আমি কোনদিন দেখেছিলাম না তাই এটা আমার কাছে নতুন ধরনের একটা পিঠা বলে মনে হয়েছে। পাবনা তৈরি করা পিঠা দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতেও অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল।
জি ভাইয়া এই পিঠা খেতে মুচমুচে।এবং খেতেও বেশ মজা
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার তৈরি পিঠাগুলো দেখে এখন আমার পিঠা খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে শিম ফুল পিঠা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এই পিঠা নাম আমি আগে কখনোই শুনিনি কখনো খেয়েও দেখিনি। এই পিঠাটি আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। এই নতুন ধরনের রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একিদিন বানিয়ে খাবেন।আশাকরি ভালো লাগবে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক মজার একটা পিঠা রেসিপি দেখলাম এর আগে আমি কখনো এই পিঠার দেখিনি বা খাইনি। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে আমি প্রথম দেখলাম অনেক ভালো লাগলো। পিঠা তৈরি করার সমস্ত উপকরণ আমার অনেক ভালো লেগেছে তবে ডিমের ব্যবহারটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ লাগে খেতে এই পিঠা।একদিন বানাবেন অবশ্যই।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এই ধরনের পিঠা গুলোকে আমাদের এদিকে ডিমের পিঠ বলে থাকে। আমার আপু কয়দিন আগে এই পিঠা তৈরি করেছে। আপনার শিম ফুল পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আসলে যে কোন ধরনের পিঠা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। পিঠা তৈরি করার প্রক্রিয়া সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ।
এই পিঠাকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে চিনে।তব্র খেতে বেশ মজা এই পিঠা।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।