আমার বাংলা ব্লগ। স্বাদের পোলাও। 10% beneficiary shy-fox এর জন্য।
চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
স্বাদের পোলাও।
![]() |
---|
সকাল থেকে একটু বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম যে আজকে আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের আমি কি উপহার দেবো। চিন্তা করতে করতেই শেষ পর্যন্ত ঠিক করলাম যে পোলাও রেসিপি টা শেয়ার করে দেখি বন্ধুদের কেমন লাগে। যেই চিন্তা সেই কাজ তাই আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম আজকের চিনিগুড়া চাউল এর স্বাদের পোলাও।
চিনিগুড়া চালের স্বাদের পোলাও।
![]() |
---|
রেসিপিটা তৈরি করে পরিবেশনের আগে সেলফিটা নিলাম তবেই এতটাই সুস্বাদু লেগেছে খুব মজা করে দুই প্লেট ফলাও মেরে দিলাম।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আমরা সবাই কমবেশি চিনিগুড়া চালের পোলাও খেতে পছন্দ করি। আর বিশেষ করে চিনিগুড়া চাউল এর সাদা পোলাও আমি পছন্দ করি একটু বেশি। আর মাত্রা অতিরিক্ত পোলাও খাওয়া যায়না। আবার কিছু পোলাও প্রেমিক আছে তাদের পোলাও হলে আর কিছুই লাগে না। আবার কিছু মানুষ আছে সাদা সিদ্ধ চাউল ছাড়া পলাও তেমন একটা খেতে ইচ্ছে করে না। অনেকে আছে টোটালি পোলাও খায় না। যাইহোক আমি মোটামুটি পোলাও রেসিপি করেছিলাম শুক্রবারে। আর আমরা সবাই একটু চেষ্টা করি শুক্রবার দিনটিতে ভাল-মন্দ খাবার জন্য। একটু আনন্দ ফুর্তি করতে, সবার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে।
স্বাদের পোলাও উপকরণ।
![]() |
---|
আর আমি পোলাও রেসিপি টা একবারে সিম্পল আইটেম দিয়ে করেছি, এতে বেশি কিছু যুক্ত করি নাই। চলুন একবার ঘুরে আসি রান্নাঘর থেকে।
- চিনিগুড়া চাউল ১ কেজি।
- পেঁয়াজ কুচি ৪ টা।
- আস্ত কাঁচামরিচ ৫টি।
- লবণ স্বাদমতো।
- এলাচ তিন চারটা।
- তেজপাতা দুই তিন টি।
- কিসমিস পরিমাণমতো।
- সয়াবিন তেল পরিমাণমতো।
ধাপ - ১
![]() |
---|
প্রথমে চিনিগুড়া চাউল গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে একটা বড় বাটিতে রাখলাম।
ধাপ - ২
![]() |
---|
চুলায় পাতিল বসিয়ে পাতিল গরম হওয়ার পর পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩
![]() |
---|
সায়াবিন তেল গুলো গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ কুচি গুলো ছেড়ে দিলাম।
ধাপ - ৪
![]() |
---|
পেঁয়াজ কুচি গুলো একটু বাদামি কালার হওয়ার পর, প্রয়োজনীয় মসলার উপকরণ সব গুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫
![]() |
---|
মশাগুলো আমার কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে হালকা ভাজা হয়ে গেলে চাউল গুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৬
![]() |
---|
তেলের মধ্যে চালগুলো ভেজে নিতে হবে, আবার খেয়াল রাখতে হবে যাতে বেশি বাজা না হয়।
ধাপ - ৭
![]() |
---|
চাউল ভাজা হয়ে যাওয়ার পর পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিলাম। আবার আপনি চাইলে চাউলের সাথে পানি হাতের আংগুলের কর হিসাব করে দিতে পারেন। চাউলের উপর থেকে তিন কর পানি দিতে হবে।
ধাপ - ৮
![]() |
---|
আনেকটা হয়ে গেছে আমার স্বাদের পোলাও, আর কিছুক্ষণ দমে দিয়ে রাখবো।
ধাপ - ৯
![]() |
---|
প্রস্তুত হয়ে গেল আমার স্বাদের পোলাও, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
ধাপ - ১০
![]() |
---|
পরিবেশন করার আগে নিজের মত করে সাজিয়ে নিলাম স্বাদের পোলাও।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে আমার স্বাদের পোলাও রেসিপি। আশা করি সকলের কাছেই ভালো লাগবে। ভাল মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
পোলাও এর স্মেলে তো থাকা দায় হয়ে যাচ্ছে ভাই। অনেক চমৎকার ঝরঝরে পোলাও রাধতে পারেন। গুছিয়ে সুন্দর করে আমাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। খেতে পারলে বেশি ভাল লাগতো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
আসলে ভাইয়া আপনার মন্তব্যটা শুনে খুব আনন্দ পাচ্ছি। কারন পোলাওর ফ্লেভারটা ছিল অন্যরকম, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আমি এতোটাই পোলাও পছন্দ করি যে সামনে যত গুলো পোলাও তাকে সব গুলোও খেতে ইচ্ছে করে, তবে পেটে বেশি জায়গা না থাকার কারণে পারি না..😋
যাইহোক আপনি অনেক সুন্দর করে পোলাও রান্না করেছেন ভাইয়া, আপনার পোলাওয়ের লোভে পরে গেলাম, এবং অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্টি উপস্থাপনাও করেছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
আপনার পেটে খালি জায়গা না থাকে প্রয়োজনে খালি করার ব্যবস্থা করে দেব, এসে পড়েন। শুভেচ্ছা রইল কাঙ্খিত মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপনার পোলাও রেসিপি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। পোলাও আমার খুবই পছন্দের একটা রেসিপি। খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার ভালো লাগে জেনে খুবই ভালো লাগছে সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ভাইয়া আপনি তো আমার ফেভারিট খাবার রান্না করেছেন। পোলাও তো আমার ভীষণই প্রিয়। দেখে মনে হচ্ছে আপনার পোলাও রান্নার রেসিপি খেতে ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর পোলাও রান্নার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। এভাবেই এগিয়ে যান।
আপনাদের সুন্দর মন্তব্য এবং উৎসাহ নতুন কিছু করার স্বপ্ন দেখায়। উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
পোলাও আমার অবেক প্রিয় একটি আইটেম। আপনার সুন্দর রেসিপি দেখে এখন আমার মুরগির মাংসের রোস্ট দিয়ে পোলাও খেতে মন চাচ্ছে। ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ছিল ভাইয়া তবে ওটা আমার হাতের না। তাই আমি আর ওই রেসিপিটা শেয়ার করা প্রয়োজন মনে করেনি। সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে চিনিগুড়া চাল দিয়ে পোলাও রেসিপি তৈরি করেছেন ।আপনার পোলাও রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে ।পোলা তৈরি করার পুরো প্রক্রিয়ায় আপনি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন এবং আমাদের মাঝে তা বর্ণনা করে দেখিয়েছেন ।এই ধরনের চিনিগুড়া চালের পোলাও খেতে অনেক ভালো লাগে । আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি সব সময় খুব গুছিয়ে অনেক সুন্দর করে উৎসাহ দিয়ে মন্তব্য করেন। আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
পোলাও খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে যেদিন রান্না করি সেদিন খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে না। আমি পোলাও রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেই তারপর অল্প অল্প বের করে ডিম দিয়ে ভেজে খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার পোলাও রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুন্দর হয়েছে। ঝরঝরে পোলাও খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া। রেসিপির ধাপগুলো সুন্দরভাবে বর্ণনা করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি পোলাও ফ্রিজে রেখে বের করে মাঝে মাঝে ডিম দিয়ে ভাজি করে খেতে ভালো লাগে। তবে আমি রান্না করার পর গরম গরম একেবারে যা খেতে পারি, এরপরে আর আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। অসংখ্য ধন্যবাদ কাঙ্খিত মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
পোলাও এত সুন্দরভাবে সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যে দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। পোলাও খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে যে কেউ এই সুন্দর ঝরঝরে পোলাও রেসিপি তৈরি করতে পারবে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন। মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
পোলাও ঝরঝরে করার প্রধান উৎস হচ্ছে ডালডা ঘি এবং পরিমাণের চেয়ে একটু বেশি তেল ব্যবহার করলেই পোলাও সব সময় ঝরঝরে হবে। আপনার কাঙ্খিত মন্তব্য করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে পোলাও রেসিপি রান্না করে শেয়ার করেছেন আপনার এই স্বাদের পোলাও রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি ছিল সেই সাথে লোভনীয়। মাঝে মাঝে এরকম পোলাও রেসিপি দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করা দুষ্কর, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই ঠিকই বলেছেন মাঝে মাঝে খেতে খুব ইচ্ছে করে এবং আমারও ভালোলাগে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
পোলাও আমার খুবই পছন্দ। আপনি এত সুন্দর ভাবে পোলাও পরিবেশন করে রেখেছেন যে ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলি।এত চমৎকারভাবে পোলাও রান্না করলে সবার লোভ লেগে যাবে। পোলাওর সাথে যদি মুরগির রোস্ট পাওয়া যায় তাহলে কিন্তু মন্দ হয় না। দারুন স্বাদের এই পোলাও রান্না করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাদের ভাল লাগাই আমার সফলতা। এত সুন্দর করে উৎসাহ দিয়ে সাথে থাকার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।