বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৬ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২৫খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আমি মেসে থেকে লেখাপড়া করি তাই নিজের খাবার নিজেই রান্না করে খাই। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে বাঁধাকপির পাকোড়া তৈরি রেসিপি শেয়ার করবো।সেদিন বাজারে গিয়ে অনেকটা বাঁধাকপি কিনে এনেছিলাম। মায়ের মতো মজা করে আমি বাঁধাকপি রান্না করতে পারি না। প্রথমে রান্না করে খেয়ে দেখেছিলাম। মায়ের হাতের রান্নার মতো মজা হয়নি। সেজন্য পরে ভাবলাম বাকি বাঁধাকপি দিয়ে পাকোড়া তৈরি করবো।তারপর বাকি অংশটুকু দিয়ে বাঁধাকপির পাকোড়া তৈরি করে নিয়েছিলাম। সেই রেসিপি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
কভার ফটো
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | বাধাঁকপি | পরিমাণ মতো |
২ | কাঁচা মরিচ | পাঁচটি |
৩ | ঝালের গুড়া | তিন টেবিল চামচ |
৪ | হলুদ | এক টেবিল চামচ |
৫ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৬ | বেসন | পরিমাণ মতো |
৭ | চাউলের গুড়া | পরিমাণ মতো |
৮ | আলু | একটি |
১০ | পেঁয়াজ | পরিমাণ মতো। |
১১ | তেল | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমে বাঁধাকপি, আলু,পেঁয়াজ, মরিচ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। হলুদ, লবণ এবং ঝালের গুড়া পরিমাণ মতো একটি বাটিতে নিয়ে নিয়েছি। বেসন এবং চালের গুড়া পরিমাণ মতো নিয়েছি।
তৈরি পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথমে একটি পাত্রে কেটে রাখা বাঁধাকপি গুলো নিয়েছি।
ধাপ-২
বাঁধাকপি গুলোর মধ্যে সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে নিয়েছি। লবণ দিয়ে কিছু সময় মেখে রেখে দিতে হবে। পাঁচ মিনিট পর তো রেখে দিয়ে পরবর্তীতে বাঁধাকপির মধ্যে থেকে জল বেরিয়ে আসবে। বাঁধাকপি থেকে জল বের করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
তারপর বাঁধাকপির মধ্যে কেটে রাখা আলু দিয়ে নিয়েছি। আলুর সাথে বাধাঁকপি ভালো করে মেখে পেঁয়াজ দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
পেঁয়াজ, আলু এবং বাঁধাকপি একসাথে মেখে তারপর ঝালের গুড়া, লবণ এবং হলুদ দিয়ে নিয়েছি। কুঁচিয়ে রাখা কাঁচামরিচ দিয়ে নিয়েছি। তারপর সব একসাথে ভালো করে মেখে নিয়েছি।
ধাপ-৫
পরবর্তীতে পরিবার মতো বেসন এবং চালের গুঁড়ো দিয়ে নিয়েছি। ভালো করে বেশ কিছু সময় ধরে মেখে নিয়েছি। সামান্য পরিমাণ জলের ছিটা দিয়ে নিয়েছি। এভাবে মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিয়েছিলাম।
ধাপ-৬
এবারে চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে নিয়েছি। অল্প জ্বালে তেলটা গরম করে নিতে হবে।
ধাপ-৭
তেল গরম হয়ে গেলে এরমধ্যে তৈরি করে রাখা বাঁধাকপির মোল্ড পকোড়ার সেইপ দিয়ে তেলে ছেড়ে দিয়েছি। একে একে সবগুলো পাকোড়া দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
এবারে বেশ কিছু সময় ধরে অল্প জ্বালে পাকোড়া গুলো বেশ লাল লাল করে উভয়ে সাইড ভেজে নিয়েছি। ভাজা হয়ে গেলে আমি চুলা থেকে পাকোড়া গুলো নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
একটি প্লেটের উপর টিস্যু পেপার দিয়ে পাকোড়াগুলো পরিবেশন করে নিয়েছি।টমেটো সস দিয়ে পাকড়াগুলো খেতে ভীষণ মজা লাগছিলো।বিকেলের নাস্তায় পারফেক্ট রেসিপি।
পোস্টের বিবরন
ক্যামেরাম্যান: @purnima14
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আপনি আজকে অনেক মজাদার ভাবে বাঁধাকপির পাকোড়া তৈরি করেছেন। যেটা দেখে আমার তো অনেক লোভ লেগে গেল। এরকম মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। গরম গরম আর মুচমুচে পাকোড়া আমার খুবই পছন্দের। সস দিয়ে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে এগুলো। নিশ্চই অনেক মজা করে খাওয়া হয়েছিল এই পাকোড়া।
Daily task.
আপনি রান্না তেমন করেন না তাই আপনার মায়ের মত হবে না। যখন প্রতিনিয়ত রান্না করতে থাকবেন ঠিকই হয়ে যাবে সবগুলো ফলো করলে। বাজার থেকে বাঁধাকপি এনে সে বাঁধাকপি দিয়ে আপনি পাকুড়া তৈরি করলেন। বাঁধাকপির পাকোড়া আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই মজার রেসিপিটি দেখে।
হ্যাঁ আপু, বাঁধাকপি আমি খুব কম রান্না করি। বাঁধাকপির পাকোড়া খেতে ভীষণ মজা লাগে। বিকেলে নাস্তায় এরকম রেসিপি ভীষণ লোভনীয়। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
কিছুদিন আগে আমাদের বাসাতেও ঠিক এভাবেই বাঁধাকপির পাকোড়া তৈরি করেছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল এমন সুন্দর রেসিপি দেখে। ঝাল ঝাল এই রেসিপিগুলো খেতে যেমন ভালো লাগে ঠিক তেমনি রুচি সম্মত হয়ে থাকে। আপনি এক চমৎকার ভাবে বড়া তৈরি করার কাজ সম্পন্ন করেছেন। আশা করি অনেক সুস্বাদু ছিল এই রেসিপি।
আপনার বাসায় এরকম পাকোড়া তৈরি করেছিল জানতে পেরে ভালো লাগলো। রেসিপিটি খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। বিকেলে নাস্তায় একেবারে পারফেক্ট রেসিপি। খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি তৈরি করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে।আর শীতকালে বাঁধাকপির পাকোড়া খাওয়ার মজাই আলাদা রকম। আপনি নিজের হাতে বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি করেছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
হ্যাঁ ভাইয়া, আমি যতটা পেরেছি সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করার চেষ্টা করেছি। নিজ হাতে পাকোড়া রেসিপি তৈরি করে খেতে বেশ ভালো লাগছিল। রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
এই বছর আমিও একদিন বাঁধাকপি দিয়ে খুব সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছিলাম। আমার ভালো লাগে এই জাতীয় তেলেভাজা বড়া তৈরি করে খেতে। আপনি অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মাঝেমধ্যে নাস্তা হিসেবে এই রেসিপিগুলো বেশ মানায়।
এ বছর আপনিও বাঁধাকপির পাকোড়া তৈরি করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আমিও তেলে ভাজা খেতে খুব পছন্দ করি। হ্যাঁ আপু, এরকম রেসিপি মাঝে মধ্যে অনেক ভালো লাগে। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাঁর কারণ আপনি সব উপাদান পরিমাণ মতো দিয়ে মিশ্রণ করে রেসিপি তৈরি করেন। এবং সেটা আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করেন। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
হ্যাঁ ভাইয়া, আমি চেষ্টা করেছি সব উপকরণ পরিমাপ মতো দেওয়ার। রেসিপিটি খেতে সত্যি ভালো হয়েছিলো।রেসিপিটি আসলেই অনেক লোভনীয় হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যটি খুশি হলাম ভাইয়া।
বাঁধাকপির এই পকোড়া আমার কাছে ভীষণ প্রিয়। কেননা এই ধরনের পকোড়া অনেকটা মচমচে টাইপের হয়ে থাকে। এত সুন্দর একটা রেসিপি আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া, মুচমুচে পাকোড়া গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।
বাঁধাকপির বেশ মজাদার পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন আপু আপনি। দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। বাঁধাকপির পাকোড়া আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। রেসিপির প্রতিটি ধাপ ধারাবাহিকভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু আপনি। মজাদার এই রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
রেসিপিটি দেখলে লোভনীয় লাগছে। খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলাম। আমি চেষ্টা করেছি গুছিয়ে আপনাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার। রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।