রেসিপি পোস্ট :বেগুন এবং কাঁচা কলা দিয়ে মাছের রেসিপি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ৩ নভেম্বর, রবিবার , ২০২৪ খ্রিঃ।
কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আমি আজকেই অবশ্য "আমার বাংলা ব্লগে" প্রথম রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমি মেসে থেকে লেখাপড়া করি তাই নিজের খাবার নিজেই রান্না করে খাই। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে মাছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করবো। আমি যে খুব ভালো রান্না করতে পারি এমনটা না। তবে আমি নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি। রেসিপিটি তৈরি করার পদ্ধতি কেমন হয়েছে আপনারা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | মাছ | পরিমাণ মতো |
২ | কাঁচা মরিচ | পাঁচটি |
৩ | ঝালের গুড়া | তিন টেবিল চামচ |
৪ | হলুদ | এক টেবিল চামচ |
৫ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৬ | জিরা গুঁড়া | হাফ টেবিল চামচ |
৭ | তেল | পরিমাণ মতো |
৮ | জিরা | এক টেবিল চামচ |
৯ | চিনি | এক টেবিল চামচ |
১০ | কলা | দুইটা |
১১ | বেগুন | ১টা |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমে মাছ গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর বেগুন এবং কলা কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর মাছ এবং সবজিগুলোতে ভালো করে লবন হলুদ মেখে নিতে হবে।
রান্নার পদ্ধতি
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। তারপর মাছগুলো ভেজে নিতে হবে।
মাছগুলো ভেজে উঠিয়ে নেওয়ার পর।কড়াই এর সামান্য তেল দিয়ে কলা এবং বেগুন ভেজে নিয়েছি।
কড়াই তেল দিয়ে তার মধ্যে মাছ, বেগুন এবং কলা দিয়ে নিয়েছি। তারপর একটা বাটির মধ্যে সবগুলো মসলা পানি দিয়ে গুলিয়ে কড়াইতে দিয়ে দিয়েছি।
ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে কষিয়ে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে নিয়েছি।
তারপর কিছু সময় ঢেকে রেখেছি।
যতক্ষণ না পানি শুকিয়ে এসেছে কতক্ষন জ্বাল করেছি। তারপর সামান্য জিরা গুড়া দিয়ে নাড়িয়ে নিয়েছি।
তারপর অন্য একটি পাত্রে মাছের ঝোল ঢেলে নিয়েছি। তারপর কড়াই সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে শুকনা মরিচ এবং জিরা ফোরন দিয়ে নিয়েছি।
তারপর খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
পরিশেষে একটি পাত্রে মাছের ঝোল পরিবেশন করেছি। খেতে তো আমার কাছে ভালোই লেগেছে। রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়াটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরাম্যান | @purnima14 |
ডিভাইস | গুগল পিক্সেল ৭প্রো |
ক্যামেরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৭ শে অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


<
বেগুন এবং কাঁচা কলা দিয়ে মাছের রেসিপি দেখে দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। রেসিপি পরিবেশনটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বেগুন আর কাঁচকলা দুটো একসাথে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। মাছের সাথে বেগুন খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি কাঁচকলা দিয়ে মাছ রান্না করলেও খেতে ভালো লাগে। নতুন ধরনের একটি রেসিপি শিখলাম আপু।
হ্যাঁ আপু মাছের সাথে বেগুন খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে বেগুন এবং কাঁচা কলা দিয়ে মাছের রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে সবজি দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সবজি দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
যে কোন ধরনের মাছের রেসিপির মধ্যে বেগুন ব্যবহার করলে অনেক বেশি মজাদার হয়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে বেগুন এবং কাঁচা কলা দিয়ে মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছে। আপনার মাছের রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি বেশ দারুন ভাবে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
বেগুন ও কাঁচা কলা দিয়ে চমৎকার সুন্দর ও সুস্বাদু লোভনীয় রেসিপি করেছেন। আপনার রেসিপিটি ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। খেতে এই রেসিপি গুলো খুব সুস্বাদু হয়। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
বেগুন কাঁচকলা দিয়ে যে কোন মাছ রান্না করলেই দারুন লাগে। আমরা অবশ্য সাথে আলু দিই এবং সামান্য পরিমাণ লাউডাটাও দিই৷ এটা কি মাছ? আমার তো মনে হচ্ছে বাটা মাছ। সবজি দিয়ে মাছ রান্না খুবই স্বাস্থ্যকর রেসিপি।
হ্যাঁ দিদি এটা বাটা মাছ। ঠিক বলেছেন সবজি দিয়ে মাছ রান্না খুব স্বাস্থ্যকর। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
কাঁচা কলার সমন্বয়ে অনেক সুন্দর ভাবে মাছ রান্না করে দেখিয়েছেন আপনি। আপনার চমৎকার এই রেসিপি দেখে অনেক অনেক ভালো লেগেছে আমার। অনেক সুন্দর রেসিপি হয়েছে।
রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমার ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যে কোন মাছের সাথে কাঁচা কলা দিয়ে কিছু রান্না করলে খেতে বেশ মজাই লাগে। আজকে আপনি বেগুন এবং কাঁচা কলা দিয়ে মাছের রেসিপি করেছেন। আর এই ধরনের রেসিপি দিয়ে গরম ভাত এবং গরম রুটি খেতে অনেক মজাই লাগে। মজার রেসিপি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
কাঁচা কলা দিয়ে কখনো এভাবে ঝোল রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। এটি অনেক স্বাস্থ্যকর একটি রেসিপি।ধন্যবাদ আপু কাঁচা কলা এবং বেগুন দিয়ে মাছের মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার বেগুন এবং কাঁচা কলা দিয়ে মাছের রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখে খুবই ভালো লেগেছে। কাঁচা কলার তরকারি আমার কাছে খেতে খুবই স্বাদ লাগে। তাছাড়া কলাতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। ধন্যবাদ।