কচু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রেসিপি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার, ২০২৫খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আমি মেসে থেকে লেখাপড়া করি তাই নিজের খাবার নিজেই রান্না করে খাই। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে।আজ আমি আপনাদের সাথে কচু দিয়ে মাছ রান্না করার রেসিপি শেয়ার করবো।অনেকদিন আগে মায়ের হাতে এই রেসিপি খেয়েছিলাম। কচু দিয়ে মাছ রান্না আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। সেদিন ক্যাম্পাসে যাওয়ার আগে খুব তাড়াহুড়ো করে রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম। রেসিপিটি খেতে অবশ্য আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিলো।আপনাদের সাথে এখন আমি সেদিনের তৈরি করা কচু দিয়ে মাছ রান্না করার রেসিপিটি শেয়ার করে নেবো।চলুন তাহলে আমার রেসিপিটি দেখে আসা যাক।
কভার ফটো
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | বাটা মাছ | পরিমাণ মতো |
২ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতো |
৩ | ঝালের গুড়া | তিন টেবিল চামচ |
৪ | হলুদ | এক টেবিল চামচ |
৫ | লবণ | তিন টেবিল চামচ |
৬ | জিরা | পরিমাণ মতো |
৭ | কচু | পরিমাণ মতো |
৮ | আলু | একটি |
৯ | পেঁয়াজ | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমে কচু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি। পেঁয়াজ, মরিচ, আলু কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে তা পরিষ্কার করে নুন হলুদ মাখিয়ে নিয়েছি।
রান্নার পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে নিয়েছি। পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম তেলে মাছগুলো ভেজে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
আবার কড়াইয়ে সামান্য তেল দিয়ে পেঁয়াজ এবং মরিচ একটু লাল করে ভেজে নিয়েছি।।
ধাপ-৩
পেঁয়াজ মরিচ ভাজা হয়ে গেলে এরমধ্যে জিরা ফোড়ন দিয়ে নিয়েছি। তারপর ছোট করে কেটে রাখা আলু গুলো ভেজে নিয়েছি। তারপর সিদ্ধ করে রাখা কচুগুলো দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
কচুগুলো একটু নেড়েচেড়ে এর মধ্যে পানি দিয়ে নিয়েছি। পরিমাণ মতো হলুদ লবণ দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
ঝোলটা একটু উতলে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে নিয়েছি। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল করে নিতে হবে।
ধাপ-৬
এভাবে বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল করে ঝোল অনেকটা ঘন করে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এবারে ঝোলটা অনেকটা শুকিয়ে আসলে কচু ভালো করে ঝোলের সাথে মিশিয়ে নেবো।এভাবে কিছুক্ষণ জ্বাল করে নেওয়ার পর কচু দিয়ে মাছের ঝোল খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি একটি পাত্রে কচু দিয়ে মাছের ঝোলের রেসিপিটি পরিবেশন করে নিয়েছি।
পোস্টের বিবরন
ক্যামেরাম্যান: @purnima14
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


💞 সৃষ্টিকর্তা সহায় 💞
</div
বাটা মাছ আমার অনেক পছন্দের একটা মাছ আলু এবং বেগুন দিয়ে মাঝে মাঝেই তৈরি করে খেয়ে থাকি। তবে কচু দিয়ে যে এরকম ভাবে রান্না করা যায় সেটা আমার চিন্তা আর বাইরে। আজকে একটা নতুন রেসিপি শিখলাম আপনার থেকে। প্রতিটি ভালোভাবে শিখে নিলাম বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখব কেমন হয়। আপনার পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে খাবারটি খুব সুস্বাদু ছিল।
আমিও মাঝে মাঝে আলু বেগুন দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রান্না করে থাকি। এরকম রান্না করে একদিন খেয়ে দেখবেন খেতে বেশ ভালো লাগে। রেসিপিটি নতুন শিখলেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো আপু।
কচুরমুখী দিয়ে চমৎকার সুন্দর করে বাটা মাছ রান্না করেছেন দিদি।আমার এরকম রেসিপি খুবই পছন্দের। এগুলো মনে হচ্ছে দেশি কচুর মুখী। দেশী কচুরমুখী চাষ না করেও মাঠে ঘাটে আনাচে কানাচে পাওয়া যায় এবং এভাবে মাছ দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে।আপনার রেসিপিটি খুবই লোভনীয় হয়েছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
হ্যাঁ দিদি, এগুলো দেশী কচু মুখী।অনেকদিন আগে বাড়ি থেকে কচুগুলো নিয়ে এসেছিলাম। এই রেসিপি আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিলো।আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো দিদি।
কচু আমার অনেক প্রিয়। আমি কচু দিয়ে যে কোন রেসিপি খেতে পছন্দ করি। আপনি কচুর সমন্বয়ে মাছ রান্না করে লিখেছেন। রেসিপি তৈরি করাটা বেশ দারুণ হয়েছে। আর বাটা মাছ তো আমি অনেক অনেক ভালোবাসি। দুইটাই ফেভারিট জিনিস দিয়ে রেসিপি তৈরি করা ছিল। এমন চমৎকার রেসিপি গুলো সত্যি রুচি সম্মত হয়।
আমিও কচু সমন্বয়ে রান্না করা প্রতিটি রেসিপি পছন্দ করি। রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। বাটা মাছ আমার অনেক পছন্দের। মাছগুলো খেতে একটু মিষ্টি মিষ্টি লাগে যার কারণে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ভাইয়া।
বাটা মাছ আমার ভীষণ পছন্দের। আলু এবং কচু দিয়ে বাটা মাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার মায়ের থেকে শেখা রেসিপিটি আজকে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। সঠিক বলেছেন আপনি নিজের খাবার নিজে রান্না করে খেতে অন্যরকম প্রশান্তি লাগে। আপনার এই রেসিপিটি আমাকে মুগ্ধ করে ফেলেছে। তাইতো আপনার পরবর্তী রেসিপি পোস্ট দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যাঁ ভাইয়া, নিজের রান্না নিজে খাওয়ার মধ্যে শান্তি রয়েছে। রান্নাটি আমার মায়ের থেকেই শেখা। রান্না দিয়ে আমার ভীষণ পছন্দের। রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে কচু দিয়ে এই বাটা মাছের রেসিপিটা দেখে আমার খুব লোভ হচ্ছিল। কেননা এই ধরনের রেসিপিতে আপনি বেশি ধরনের কোন মসলা ব্যবহার করেননি। আসলে এই ধরনের কম মশলার খাবার গুলো অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
বেশি মসলাদার খাবার আমার পছন্দ নয়। মাংস রান্না করলে সেটা আলাদা কথা।এরকম সাদামাটা মাছ রান্না করলে খেতে কিন্তু খুব ভালো লাগে।রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কচু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুব মাজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। পরিবেশন আমার কাছে দারুন লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে রেসিপিটি মজা হয়েছিলো। আপনার সুন্দর মন্তব্যে পেয়ে খুব খুশি হলাম ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বাটা মাছ খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু মাছ। বাটা মাছ আমার খুব পছন্দের। কচু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। বেশ সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন আপু। রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার রেসিপি রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
বাটা মাছ আমারও খুব পছন্দের মাছ। বাটা মাছের ঝোল করলেও খেতে খুব ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Daily task.
আপু আপনি কচুরমুখী দিয়ে বাটা মাছের খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। বাটা মাছ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কচুরমুখী দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, কচু দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। বাটা মাছ তো এমনিতেই বেশি সুস্বাদু। বাটা মাছ এরকম ভাবে রান্না করাই খেতে আমার কাছে বেশ লাগছিল। রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। চমৎকার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম।