রেসিপি পোস্ট : ডিমের ঝোল রেসিপি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ-১০ নভেম্বর , রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো।আমি মেসে থেকে লেখাপড়া করি তাই নিজের খাবার নিজেই রান্না করে খাই। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে আলু দিয়ে ডিম রান্নার রেসিপি শেয়ার করবো। আমি যে খুব ভালো রান্না করতে পারি এমনটা না। তবে আমি নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি। রেসিপিটি তৈরি করার পদ্ধতি কেমন হয়েছে আপনারা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ডিম | দুইটি |
২ | পেঁয়াজ | তিনটি |
৩ | কাঁচা মরিচ | পাঁচটি |
৪ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৫ | জিরা বাটা | পরিমাণ মতো |
৬ | জিরা গুঁড়া | হাফ টেবিল চামচ |
৭ | তেল | পরিমাণ মতো |
৮ | আলু | একটি |
৯ | হলুদ গুড়া | দুই টেবিল চামচ |
১০ | আদা | পরিমাণ মতো |
১১ | দারচিনি | পরিমাণ মতো |
১২ | শুকনা মরিচ বাটা | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
আলু, মরিচ কেটে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
পেঁয়াজ রসুন পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে কেটে তারপর বেটে নিয়েছি। সমস্ত মসলাগুলো সুন্দর করে বেটে নিয়েছি।
রান্নার পদ্ধতি
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। তারপর দুটি ডিম ভেজে নিয়েছি।
তারপর কড়াইয়ে সামান্য তেল দিয়ে মসলাগুলোকে সামান্য ভেজে নিয়েছি।
মসলা ভাজা হয়ে গেলে মসলা কড়ায়ে লেগে আসবে এই অবস্থায় পানি দিয়ে কিছু সময় কষিয়ে নিবো।পানি দিয়ে কষানো হয়ে গেলে পানি শুকিয়ে আসলে তার মধ্যে আলু দিয়ে নিয়েছি।
তারপর কড়াই পানি দিয়ে নিয়েছি। পানি একটু গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে ডিম দুটি দিয়ে দিয়েছি।
ঝোলটা একটু উতলে উঠলে, তার মধ্যে কয়েকটি কাঁচা মরিচ দিয়ে নিয়েছি।
পানির পরিমাণ কিছুটা শুকিয়ে আসার আগে পর্যন্ত জ্বাল করতে হবে।
কিছুক্ষণ জ্বাল করার পড়ে ডিমের ঝোলটি খাওয়ার উপযুক্ত হলে চুলা বন্ধ করে নিয়েছি।
তারপর একটি পাত্রে পরিবেশন করেছি।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরাম্যান | @purnima14 |
ডিভাইস | গুগল পিক্সেল ৭প্রো |
ক্যামেরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৭ শে অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


ডিমের রেসিপি বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে তৈরি করা যায়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে ডিমের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা ডিমের ঝোল রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি বেশ দারুন ভাবে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
হ্যাঁ ভাইয়া চেষ্টা করেছি একটু সাজিয়ে গুছিয়ে রান্না করার। রেসিপিটি আসলেই মজা হয়েছিলো।ডিম দিয়ে অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়। ডিমের রেসিপিগুলো খেতেও ভালো লাগে। এক এক ধরনের রেসিপি এক এক স্বাদ হয়ে থাকে। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
এত লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে অসম্ভব ভালো লাগলো। আপনার আজকের রেসিপিটা আমার তো দারুন পছন্দ হয়েছে। মজার মজার রেসিপি গুলো তৈরি করে মাঝেমধ্যে আমাদেরকেও কিন্তু দাওয়াত দিতে পারেন। তাহলে মজার মজার খাবারগুলো আমরাও খেতে পারতাম। এই রেসিপিটা দেখে অনেক সুস্বাদু বলে মনে হচ্ছে। সবাই মনে হয় মজা করে খেয়েছেন।
হ্যাঁ ভাইয়া দাওয়াত থাকলো চলে আসবেন। রেসিপিটা আসলেই সুস্বাদু হয়েছিলো।রেসিপিটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
নিজের খাবার নিজেই রান্না করে খান জেনে ভালো লাগলো।আপনি চমৎকার সুন্দর করে আলু দিয়ে ডিমের ঝোল করেছেন।অনেক লোভনীয় হয়েছে রেসিপি টি।রেসিপিটি দেখে যে কারো খেতে মন চাইবে।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
সেদ্ধ ডিমের মতোই ভাজা ডিমের ঝোল খেতেও কিন্তু দারুন লাগে। আপনার রেসিপিটি এক্কেবারে লোভনীয় রেসিপি ছিল। ভাজা টিমের ঝোল হলে মসলাটা সুন্দর ভাবে লেগে থাকে। আমার অবশ্য সেদ্ধ থেকে ভাজা ডিমের ঝোল খেতেই বেশি পছন্দ। সুস্বাদু রান্না করেছেন আজ৷
হ্যাঁ দিদি, সেদ্ধ ডিমের মতোই ভাজা ডিমের ঝোল খেতেও দারুন লাগে।এভাবে ডিম রান্না করলে আসলেই মজা লাগে।আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই জাতীয় ডিমের ঝলঝল রেসিপিগুলো আমি খুব পছন্দ করি। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। চমৎকার হয়েছে আপনার এই রেসিপি করা।
রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। প্রশংসনীয় মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সিদ্ধ ডিমের থেকে ভাজা ডিমের ঝোল খেতে ভীষণ মজা লাগে। এ ধরনের রেসিপি সিম্পল হলেও খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছেও সিদ্ধ ডিমের থেকে ভাজা ডিমের ঝোল খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম রেসিপি গুলো দেখলে এমনিতেই খাওয়ার ইচ্ছা জাগে মনে। আপনার তৈরি করা রেসিপিটির ফটো দেখেই মনে হচ্ছে ভীষণ রকমের টেস্টি হয়েছিল। ডিমের ঝোল রেসিপি বেশ কয়েকবার খাওয়া হয়েছিল দারুন লাগে কিন্তু আপু। যাই হোক ডিমের ঝোল রেসিপি পোস্ট টি ধাপে ধাপে সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রত্যেকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ডিম। আর ডিমকে যেকোনোভাবে রান্না করলেই ভালো লাগে। আপনি ডিমের ঝোল রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপি তৈরির ধাপগুলো উপস্থাপনা চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ প্রায় অনেকের পছন্দের তালিকায় ডিম রয়েছে। ডিম দিয়ে অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়। ডিমের তৈরি রেসিপি গুলো খেতেও ভীষণ মজা হয়। মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
ডিম খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি দেখতেছি মজার ডিমের ঝোল রেসিপি করেছেন। এ ধরনের রেসিপির মধ্যে পেঁয়াজ এবং মরিচ একটু বেশি দিলে খেতে বেশ মজাই লাগে। এবং ডিমের রেসিপি দিয়ে গরম ভাত এবং গরম রুটি খেতে অনেক মজা লাগবে। মজার রেসিপি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ ভাইয়া ডিম পছন্দ করে না এরকম মানুষ কম। ঝালের গুড়া দিয়েছি সেজন্য মরিচ কম দিয়েছি। খুব বেশি ঝাল হলে আমি আবার খেতে পারি না। ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ডিমের রেসিপি দিয়ে গরম ভাত এবং রুটি খেতে মজা লাগে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ডিমের রেসিপি রান্না করতে যেমন ভালো লাগে খেতেও তেমন ভালো লাগে। আসলে আমার যখন রান্না করতে ভালো লাগে না তখন আমি এভাবে ঝটপট ডিমের ঝোল রান্না করে ফেলি আলু দিয়ে। আমার কাছে ভীষণ মজা লাগে এই রেসিপিটি। খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে আপু আপনার তৈরি ডিম এবং আলুর এই রেসিপিটি। ধন্যবাদ ডিমের মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।