রেসিপি পোষ্ট :মজাদার স্বাদে পায়েস রান্না।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ৫ ডিসেম্বর, সোমবার , ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আমি মেসে থেকে লেখাপড়া করি তাই নিজের খাবার নিজেই রান্না করে খাই। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে।
কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমার মা আসার সময় আমার জন্য কত কিছু নিয়ে এসেছিলো।মা আমার জন্য বাড়ির গরুর দুধ নিয়ে এসেছিলো।তারপর আমি ভাবলাম দুধ দিয়ে কি করা যায়। তারপর সেই দুধ দিয়ে আমি পায়েস রান্না করেছিলাম। পায়েস রান্না করার পদ্ধতিটি আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
কভার ফটো
সুন্দর করে কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | চাউল | এক মুঠো পরিমান |
২ | দুধ | হাফ লিটার |
৩ | বাদাম | পরিমাণ মতো |
৪ | কিসমিস | পরিমাণ মতো |
৫ | তেজপাতা | দুইটি |
৬ | এলাচ | তিনটি |
৭ | চিনি | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমে এক মুষ্টি পরিমাণ চিনিগুড়া চাউল কিছু সময় জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর চাউল গুলো ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিতে হবে।
রান্নার পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথমে চুলায় মিডিয়াম তাপে কিছু সময় দুধ জ্বাল করে নিতে হবে।
ধাপ-২
দুধ কিছু সময় জাল করে নেওয়ার পর এর মধ্যে তেজপাতা এবং এলাচ ফল ফেটিয়ে দিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৩
তারপর বেশ কিছু সময় জ্বাল করে দুধ উথলে উঠলে এরমধ্যে জল ঝরিয়ে রাখার চাউল দিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৪
তারপর কিছু সময় জ্বাল করে তেজপাতা এবং এলাচ ভালো করে বেছে দুধের মধ্যে থেকে তুলে নিতে হবে। বেশি সময় ধরে তেজপাতা এলাচ দিয়ে রাখলে এর গন্ধ বেশি হয়ে যায়। গন্ধ বেশি হওয়ার ফলে পায়েসের স্বাদ কমে যায়।
ধাপ-৫
তারপর চুলার তাপ মিডিয়ামে রেখে বেশ কিছুক্ষণ ধরে জ্বাল করতে হবে। এক পর্যায়ে চাউল গুলো ফুটে যাবে এবং দুধ শুকিয়ে আসবে।
ধাপ-৬
চাউল গুলো ফুটে যাওয়ার পর পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে নিতে হবে। চাউল ফোটার আগে চিনি মোটেও দেওয়া যাবে না।
ধাপ-৭
পায়েস প্রায় হয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে ফেটিয়ে রাখা বাদাম আর কিছুটা কিসমিস দিয়ে নিতে হবে। আমার কাছে কাজুবাদাম না থাকাই আমি এখানে চিনা বাদাম ব্যবহার করেছি।
ধাপ-৮
বাদাম গুলো দিয়ে নেওয়ার পর এক মিনিট জ্বাল করলেই তৈরি হয়েছে যাবে খাঁটি দুধের সুস্বাদু পায়েস। পায়েস হয়ে গেলে আমি চুলা বন্ধ করে নিয়েছি।
পরিবেশন
পরিশেষে উপরে কিছু পরিমাণ বাদাম এবং কিসমিস দিয়ে মাটির থালায় পায়েস পরিবেশন করে নিয়েছি।
পোস্টের বিবরন
ক্যামেরাম্যান: @purnima14
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


উৎসবের দিনগুলোতে পায়েস না হলে কোন ভাবেই ভালো লাগেনা। মাঝে মাঝে মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলো বেশ দারুন লাগে খেতে। আপনি খুব সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। মজার রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু, উৎসবের দিনগুলোতে পায়েস না হলে জমে না। রেসিপিটা আসলেই মজা হয়েছিলো।ধন্যবাদ আপু।
আরে আপনি তো দেখছি আজ আমার ফেভারিট রেসিপিটা তৈরি করলেন। রেসিপিটা দেখে ইচ্ছে করছে এখনই খেয়ে ফেলি। আসলে পছন্দের রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো যায় না। এত মজাদার ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখেই ভালো লাগছে। যে কেউ কিন্তু সহজে এই রেসিপিটা তৈরি করে নিতে পারবে আপনার উপস্থাপনা দেখে। কারণ তৈরি করার পদ্ধতি আপনি সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। দেখে বুঝতে পেরেছি মজা করে খাওয়া হয়েছে এই খাবারটা।
পায়েস আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ভাইয়া। আপনার পায়েস পছন্দ জেনে ভালো লাগলো। চেষ্টা করেছি রেসিপিটি সুন্দরভাবে আপনাদের সাথে উপস্থাপনা করে শেয়ার করার। আপনার সুন্দর মন্তব্যভাবে ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
নিজের রান্না নিজে করে খেয়ে শান্তি আছে। মায়ের আনা দুধ দিয়ে মজাদার পায়েস রান্না করেছেন আপনি। বেশ ঘন হয়েছে। তবে বাদাম যেগুলো ব্যবহার করেছেন সেগুলো কাঠবাদাম না আপু, চিনা বাদাম।
হ্যাঁ দিদি, নামটা মনে ছিলো না। ধন্যবাদ দিদি ভুলটি শুধরে দেওয়ার জন্য। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে অনেক সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। আপনার তৈরি করা এমন মজাদার রেসিপি দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। খুব সুন্দরভাবে আপনি রেসিপির কাজ সম্পন্ন করেছেন। আশা করি অনেক অনেক সুস্বাদু এবং রুচি সম্মত ছিল এই পায়েস।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
পায়েস আমার খুবই পছন্দের। যে কোন অনুষ্ঠানে আমার মা এটি তৈরি করে। আপনি ও অনেক সুন্দর করে পায়েস রান্না করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের বাড়িতে যেকোনো অনুষ্ঠান হলে বিশেষ করে কারোর জন্মদিন পালন করলে মা সব সময় পায়েস রান্না করেন। পায়েস রান্নার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
আপু আমি কিছুক্ষণ আগে পায়েস রান্না খেলাম। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। মিষ্টি খেতে আমি খুব একটা পছন্দ করি না তবে এই ধরনের খাবার গুলো ভালো লাগে। এরকম মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু রেসিপিটা বেশ ভালোই হয়েছিলো।আমিও আপনার মত মিষ্টি খেতে খুব একটা পছন্দ করি না। মাঝে মাঝে এসব খাবার খেতে ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
মায়ের পাঠানো গরুর দুধ দিয়ে বেশ চমৎকার ভাবে পায়েস রান্না করেছেন দিদি ৷ আপনার এই মজাদার পায়েস রান্নার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ খুবই সুন্দর ভাবে রেসিপির ধাপ গুলো শেয়ার করেছেন ৷ সব মিলিয়ে ভীষণ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে ৷ ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ৷
রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পায়েস দেখে অনেক লোভ লাগলো। বেশ মজার পায়েস। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।