রেসিপি পোস্ট || 🍸মজাদার মাল্টার জুসের রেসিপি তৈরি🍸
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝে মধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। যাইহোক আজকে আমি আপনাদের সাথে মজাদার মাল্টার জুসের রেসিপি শেয়ার করবো। কিছুক্ষণ আগে প্রচন্ড গরম লাগছিল বলে মাল্টার জুস তৈরি করেছিলাম। মাল্টার জুস ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে তৈরি করেছিলাম বলে, পান করতে দারুণ লেগেছিল। তাছাড়া লেবুর রস দিয়েছিলাম বলে জুস পান করার সময় দারুণ ঘ্রাণ এসেছিল। আসলে এই তীব্র গরমে ফলের ঠান্ডা ঠান্ডা জুস পান করতে দারুণ লাগে। আমি দুই গ্লাসের পরিমাণে জুস তৈরি করেছিলাম। আপনারা চাইলে আরও বেশি পরিমাণে তৈরি করতে পারেন। এক গ্লাস মাল্টার জুস আপনাকে এই গরমে অনেকটা স্বস্তি দিবে। সহজ কিছু উপকরণ দিয়ে একেবারে অল্প সময়ে এই রেসিপিটা তৈরি করা সম্ভব। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
মজাদার মাল্টার জুসের রেসিপি তৈরি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাল্টা | ২ টা |
লেবু | ১ টুকরা |
লবণ | ১ চিমটি |
চিনি | ৪ টেবিল চামচ |
ফ্রিজের ঠান্ডা পানি | ১০০ মি.লি. |
প্রস্তুত প্রণালী নিম্নরূপ :
🍸প্রথম ধাপ🍸
প্রথমে মাল্টা কেটে খোসা ফেলে দিয়ে, ছোট ছোট টুকরো করে নিলাম। তারপর ব্লেন্ডারে দিয়ে দিলাম।
🍸দ্বিতীয় ধাপ🍸
তারপর চার টেবিল চামচ চিনি এবং এক চিমটি লবণ দিয়ে দিলাম।
🍸তৃতীয় ধাপ🍸
তারপর এক টুকরো লেবুর রস নিয়ে নিলাম এবং ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ১০০ মি.লি. এর মতো ঢেলে দিলাম। তারপর ভালোভাবে ব্লেন্ডার করে নিবো।
🍸চতুর্থ ধাপ🍸
আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন খুব ভালোভাবে ব্লেন্ডার করে নিলাম।
🍸পঞ্চম ধাপ🍸
ছাঁকনি দিয়ে ভালোভাবে ছেঁকে শুধুমাত্র মাল্টার রস নিয়ে নিলাম।
🍸পরিবেশন🍸
দুটি গ্লাসে ঢেলে সুন্দরভাবে পরিবেশন করার চেষ্টা করলাম। মাল্টার জুস পান করতে আসলেই দারুণ লেগেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৫.৬.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
মাল্টার জুসটি দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। এই প্রচন্ড গরমে এরকম ঠান্ডা এক গ্লাস মাল্টার জুস হলে তো অনেক শান্তি। খুব সহজে এবং খুব মজাদার মাল্টার জুস রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুব সুন্দর ভাবে মাল্টার জুস রেসিপি টি উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি উপস্থাপনা সহজ ও সাবলীল ভাষায় করতে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
X-promotion
মজাদার মাল্টার জুসের রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। গরমের দিনে এমন জিনিস খাওয়াটাই সবথেকে বেশি ভালো বলে আমার কাছে মনে হয়। এমন জিনিস খেলে শরীরটা অনেক ঠান্ডা থাকে ।
ঠিক বলেছেন ভাই, গরমের দিন ফলের জুস পান করতে পারলে খুবই ভালো। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কয়েকদিন আগে সম্ভবত আপেলের জুস শেয়ার করেছিলেন। আজকে মাল্টার জুস শেয়ার করলেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। পরিবেশনটা খুবই সুন্দর হয়েছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক ভালো লেগেছে। এভাবে মালটা দিয়ে কখনো জুস তৈরি করে খাওয়া হয়নি। গরমের মধ্যে ঠান্ডা ঠান্ডা এরকম এক গ্লাস জুস খেতে ভালোই লাগবে।
হ্যাঁ আপু গত সপ্তাহে আপেলের জুস শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গরমের সময় মাল্টার জুস খেতে বেশ মজাই লাগে। তবে ফ্রিজে ঠান্ডা পানি দিয়ে জুস বানিয়ে খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে আজকে আপনি মাল্টার চমৎকার জুস রেসিপি করেছেন। আমি নিজেও মাঝেমধ্যে মাল্টার জুস বাড়িতে বানিয়ে থাকি খাওয়ার জন্য। আর এই জুস খেতে বেশ ভালো লাগে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয়। মাল্টার জুসের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনিও বাসায় মাল্টার জুস তৈরি করেন,জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে যেকোনো জুস তৈরি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আর যে কোন ফল দিয়ে জুস করলে সত্যি অনেক মজার হয় খেতে। আপনি অনেক সুন্দর করে জুস তৈরির পদ্ধতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু এই গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে ফলের জুস তৈরি করলে স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মজাদার মাল্টার জুসের রেসিপি তৈরি করে। আসলে অতিরিক্ত গরমের সময় আমাদের অনেক বেশি বেশি পানি জাতীয় জিনিস খাওয়া প্রয়োজন। আসলে এই মালটা জুস অতিরিক্ত গরমে প্রত্যেকটা মানুষের জন্য বেশ শারীরিক ভাবে ভালো রাখবে। ধন্যবাদ ইউনিক পদ্ধতির রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই, এই গরমে বেশি বেশি তরল জিনিস পান করা উচিত আমাদের। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রেস্টুরেন্টের মধ্যে বসে বেশ কয়েকবার মাল্টার জুস খাওয়া হয়েছিল। তবে বাসায় কখনো তৈরি করা হয়নি। আপনি দেখছি বাসায় বসে খুবই সুন্দর করে মজাদার মাল্টার জুসের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা মাল্টার জুসের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছিল। আপনার মাধ্যমে একটি নতুন রেসিপি তৈরি করার নিয়ম জানতে পারলাম।
রেস্টুরেন্টে মাল্টার জুস এভাবেই তৈরি করে বিক্রি করা হয়ে থাকে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।