রেসিপি ।। মজাদার চাউল ভাজা মাখা
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আশাকরি মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি । আজ আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি । চলছে আষাঢ় মাস আর এই সময়ে খেলাধুলার মাঝে সব চেয়ে প্রিয় খেলা ফুটবলের জমজমাট আসর শুরু হয় । বিশেষ করে আমাদের এলাকায় শুরু হয় প্রতিযোগীতা মুলক খেলা গুলো । এক পাড়ার সাথে অন্যপাড়ার টিমের, গ্রামের সাথে অন্যগ্রামের টিমের । অনেক মানুষের ভীড় জমে মাঠের চারিপাশে । আর এদের আনন্দে আরেকটু বাড়তি স্বাদ যোগ করে বিভিন্ন রকম মুখরোচক ভাজা খাবার গুলো । সব চেয়ে কমন ভাদাম ভাজা তো আছেই তবে এর সাথে তালমিলিয়ে চলা আরেকটি খাবার হলো চাউল ভাজা মাখা । আজ আমি আপনাদের সাথে এই রেসিপিটি শেয়ার করতে চলেছি । তাহলে বন্ধুরা শুরু করা যাক আজকের
"চাউল ভাজা মাখা "তৈরি।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
সিদ্ধ চাউল | ১কাপ |
লবণ | পরিমাণ মত |
পেঁয়াজ | ১টি |
সরিষার তেল | পরিমাণ মত |
রসুন | পরিমাণ মত |
চানাচুর | ৫০ গ্রাম |
ডাল ভাজা | ৫০ গ্রাম |
কাঁচা মরিচ | ৩টি |
প্রথমে আমি একটা পাত্রে অল্প পরিমাণ লবণ পানি দিয়ে গলিয়ে নিলাম । এরপর চাউল গুলো লবণ পানিতে দিয়ে দিলাম । ভাল ভাবে সব গুলো মাখিয়ে নিলাম ।
এবার একটা কড়াই চুলার উপরে বসিয়ে দিলাম । আমি পোড়ামাটির কড়াই ব্যবহার করছি । কারণ এতে পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না । কড়াই পুরোপুরি গরম হয়ে এলে তাতে অর্ধেক পরিমাণ চাউল ঢেলে দিলাম ।
মুড়ি অথবা খই ভাজার জন্য বাড়িতে সব সময় বাশের তৈরি চারু থাকে । চারু দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকতে হবে যেন কড়াইয়ে লেগে না যায় । কিছুক্ষণ পরে ফুটতে শুরু করবে । সব গুলো চাউল ফুটে উঠলে নামিয়ে নিতে হবে ।
আমি দুইবারে সম্পুর্ণ চাউল ভেজে নিয়েছে । এবার বাঁশের তৈরি কুলার উপরে বিছিয়ে রাখলাম । এর উপকারিতা হলো বাশের যেহেতু তাপ শোষণ ক্ষমতা কম তাই চাউল গুলো ঠান্ডা হবে সাথে মুচমুচেও থাকবে অনেকক্ষণ ।
এরপর আমি পেয়াজ এবং রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিলাম । এর সাথে কাঁচা মরিচ সহ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম ।
কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ এবং রসুন কুচি করে কেটে নিলাম
এবার প্রথমে রসুন গুলো আলাদা পাত্রে উঠিয়ে রাখতে হবে । আর পেঁয়াজ মরচের সাথে যুক্ত করতে হবে তেল, লবণ এবং ডাল ভাজা ।
এখন হাতের সাহা্য্যে উপকরণ গুলো ভাল ভাবে মাখিয়ে নিলাম ।
এবার ভাজা চাউল গুলো দিয়ে আরেকবার মাখিয়ে নিলাম যেন স্বাদ সবখানে ছড়িয়ে পড়ে ।
এখন আমি উপরে পেঁয়াজ রিং, রসুন কুচি এবং চানাচুর দিয়ে পরিবেশন করলাম ।
ধন্যবাদান্তে | @maruffhh |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ | mobile |
মোবাইল নেমঃ | redmi 6a |
ক্যামেরাঃ | 8mp |

চাউল এভাবে ভেজে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে সন্ধ্যাবেলায় এটি খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাই এত সুন্দর ভাবে চাউল ভাজি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
এটা আমার নিয়মিত রেসিপির মাঝেই পড়ে বিশেষ করে টিভি দেখার সময় এভাবে মাখিয়ে রাখা চাউল ভাজা তো সেইরকম একটা স্বাদ দিয়ে যায়।
চাউল ভাজা খেয়েছি। কিন্তু এতগুলো উপকরণ দিয়ে কখনো মেখে খাওয়া হয়নি
আপনার কাছ থেকে নতুন একটা রেসিপি শিখে নিয়েছি ।আমি অবশ্য ট্রাই করবো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মজারে রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা।
চাউল ভাজা, মুড়িভাজা মাখাতে গিয়ে আমার আয়োজন দেখেই বাড়ির মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে যায়। এর মাঝে অবশ্য কিছু উপাদান বাদ পড়ে গেছে।
হ্যাঁ ভাইয়া এখন দেখছি চারিদিকে সবাই খেলা নিয়ে ব্যস্ত।
আমিও চাল ভাজা খেয়েছিলাম কিন্তু আপনার মত এভাবে মেখে খাওয়া হয়নি। আপনি রেসিপিটা খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল।
এর সাথে একটু ধনিয়াপাতা যোগ করলে আরো বেশি স্বাদ পাওয়া যায়। তবে কাছে নাথাকায় স্কিপ করে গেছি।
চাল ভাজা খেয়েছি।বৃষ্টির দিনে খেতে ভালোই লাগে।তবে এভাবে কাচা পেঁয়াজ দিয়ে খাওয়া হয়নি।কাচা পেঁয়াজ আমার একেবারেই ভালো লাগে না।যাই হোক ধন্যবাদ
আমার আবার কাঁচা পেঁয়াজ ছাড়া কিছু কিছু খাবার ভালই লাগেনা। চাউল ভাজা তার মাঝে একটি।
চাউল ভাজা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই বাসায় চাউল ভাজি করি। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
এটা আমারও নিয়মিত রেসিপি। বৃষ্টির বিকেল যেন আমার কাটেই না কিছুটা না চিবুলে।
আগে বৃষ্টির দিনে আমাদের বাসায় এমন চাউল ভাজা হতো। আমার মা এভাবে ভেজে বয়ামে সংরক্ষণ করে রাখত আর আমরা সেগুলো গপাগপ খেয়ে নিতাম। অনেকদিন পর আপনার এই চাল ভাজা দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
আমাদের বাড়িতেও আম্মু এভাবে সংরক্ষণের চেষ্টা করতো । তবে সফল হইতো না কারণ বিকালে ভাজলে সকাল পর্যন্ত আমি খেয়ে ফেলতাম ।
আপনার চাউল ভাজা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমার কাছে তো অসম্ভব ভালো লেগেছে আপনার মজাদার চাউল ভাজা রেসিপিটি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এবার অনেকদিন পরে এটি তৈরি করেছিলাম । ভীষণ ভাল লেগেছে । সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া ।
মজাদার চাউল ভাজা মাখা দেখে খুব ভালো লাগলো। এটি পেঁয়াজ মরিচ এবং হালকা সরিষার তেল দিয়ে খেতে খুব মজা হয় হয়। আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু । বৃষ্টির দিনে এবং টিভি দেখার সময় এটি ছিল আমার নিয়মিত রেসিপি ।
বাহ এরকম ভিন্ন ধরনের রেসিপি পোস্ট দেখতে খুবই ভালো লাগে। এরকম করে অনেকবার খেয়েছিলাম সত্যিই অনেক মজার। আপনার উপস্থাপনা অনেক ভালো ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ প্রিয় বোন । আপনার সুন্দর মতামত এর জন্য । খুব সহজ এবং স্বাদ পেতে । এমন রেসিপি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে ।