পুঁইশাকের বীজ দিয়ে শুটকির মজাদার স্বাদের রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আমি কিন্তু আপনাদের সবার ভালোবাসায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুল্লিলাহ্ বেশ ভালো আছি। আর আপনারাও যেন সবাই ভালো ও সুস্থ থেকে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারে অনেক দিন কাজ করে যেতে পারেন সকলের জন্য এই দোয়াই করি।
আমরা যারা এই কমিউনিটিতে কাজ করি তারা প্রতিদিন আগ্রহ নিয়ে বসে থাকি যে কে কখন নতুন নতুন ও ইউনিক পোস্ট দিবে। সবাই নিশ্চই আমার পোস্ট দেখার জন্যও বসে ছিলেন। তবে আমি কিন্তু কোন ইউনিক পোস্ট দেই না। আর তাই আজ আমি আপনাদের সবার জন্য একটি মজাদার রান্না নিয়ে আসলাম। আমরা সবাই পুইঁশাক খেয়েছি। কিন্তু পুইঁশাকের আরও একটি মজাদার খাবার আছে সেটা কি আমরা খেয়েছি? কে কে খেয়েছি বলুন তো। আমি কিন্তু এটি ছোট বেলা থেকে খেয়েছি এবং খেতেও অনেক পছন্দ করি। আমি জানি এই খাবারটি আমার মতো সবাই খুব পছন্দ করেন। আর তাইতো আজ আমি আপনাদের সবার পছন্দের পুঁইশাকের বীজ দিয়ে শুটকির একটি মজাদার রেসিপি নিয়ে এলাম। এটি অনেক ভাবেই রান্না করলে ভালো লাগে। তবে আমার কাছে নোনা মাছ বা শুটকি দিয়ে রান্না করলে বেশী ভালো লাগে। আপনারা কে এই খাবারটি কিভাবে খেয়েছেন জানাবেন। তাহলে চলুন দেখে নেই আমার আজকের মজাদার পুঁইয়ের বিজ দিয়ে শুটকির রেসিপিটি।
পুঁইশাকের বীজ দিয়ে শুটকির মজাদার স্বাদের রেসিপি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ
পুঁইশাকের বীজ
আলু
বাশঁপাতার শুটকি
শুকনো পাচঁ মিশালি শুটকি
আদা রসুন বাটা
পেঁয়াজ কুচি
হলুদ গুড়া
মরিচ গুড়া
তেল ও লবন
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে একটি প্যান চুলায় বসিয়ে তাতে তেল দিতে হবে।
ধাপ-২
এবার তেল গরম হলে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে পেঁয়াজ গুলো লাল করে নিতে হবে।
ধাপ-৩
এবার সেই লাল হয়ে যাওয়া পেঁয়াজ এর মধ্যে একে একে হলুৃদ গুড়া, মরিচ গুড়া, আদারসুন বাটা, লবন দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-৪
এবার সেই মসালাগুলোর মধ্যে সামান্য পানি দিয়ে মসলাটা লাল করে কষিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৫
এবার সেই কষে যাওয়া মসলার মধ্যে প্রথমে বাশঁপাতার শুটকি গুলো কষিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৬
এবার কিছুক্ষন কষিয়ে আবার তার মধ্যে শুকনা শুটকি গুলো দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে।কারন শুকনা শুটকি আগে কষালে ভেঙ্গে কাটা কাটা হয়ে যেত।
ধাপ-৭
এবার শুটকি গুলো একটু কষানো হলে তার মধ্যে পুঁইয়ের বীজ ও আলু কাটা গুলো দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-৮
এবার পুঁইয়ের বীজ ও আলু টাকে একটু নেড়ে দিতে হবে এবং বেশ কিছুক্ষন কষিয়ে নিতে হবে।।
ধাপ-৯
এবার রান্নাটি কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে পরিমান মত পানি দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-১০
এবার পানি দেয়ার পর বেশ কিছুক্ষন রান্নাটি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ধাপ-১১

এবার রান্নাটি পরিপূর্ন হয়ে যাওয়ার পর নামিয়ে নিতে হবে।
শেষ-ধাপ
এবার সুন্দর করে পরিবেশনের জন্য প্লেটে নামিয়ে নিতে হবে।
পরিবেশন
এবার সবাই বলেন কেমন হলো আমার আজকের মজাদার পুঁইয়ের বীজ ও শুটকির রেসিপিটি? এভাবে আপনারা রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আমার কাছেতো পুঁইয়ের বীজ রান্না করলে অনেক ভালো লাগে। আপনারা সবাই আজ এই রেসিপিটি কেমন হলো আমাকে জানাবেন। আজ এখানেই আমার ব্লগটি সমাপ্তি করছি । আগামীতে আবারও নতুন কোন ব্লগ নয়ে আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
পুঁইশাক খেতে আমি অনেক পছন্দ করি৷ খুবই সুন্দর ভাবে আপনি পুঁইশাক এর রেসিপি শেয়ার করেছেন৷ আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এই রেসিপিটি দেখতে পেলাম এবং খুবই ভালো লাগল এই রেসিপি দেখতে পেরে৷ এটিকে দেখে একদমই সুস্বাদু মনে হচ্ছে৷
আমিও ভাইয়া পুঁইশাক ও এর বীজ দুটোই অনেক পছন্দ করি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শুটকি মাছ আমার অনেক পছন্দের। তবে কখনো পুঁইশাকের বীজ দিয়ে খাওয়া হয়নি। পোশাকের ডাটা দিয়ে খেয়েছি। শুটকি মাছ যে কোন কিছু দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। দারুন লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শুটকি আমারও অনেক পছন্দের আপু তবে পুঁইশাকের বিচি দিয়ে রান্না করে খেয়ে দেখবেন অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু। এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমার খুব পছন্দের এই পুঁইশাকের বিচি।এই সময়ে পাওয়া যায় এগুলো।তবে শুটকি দিয়ে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আমরা সবসময় মাছ দিয়ে রান্না করে খেয়েছি। আপনার রেসিপিটা দারুণ লেগেছে আপু।যদিও এখন পর্যন্ত নতুন পুঁইশাকের বিচি খাওয়া হয় নি।
এবার পুঁইশাকের বিচি খেলে আপু শুটকি দিয়ে খাবেন। দেখবেন আসলে সেই রকম স্বাদ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পুঁইশাকের বীজ দিয়ে শুটকির মজাদার স্বাদের রেসিপি। আসলে পুঁইশাকের বীজ এমনিতেই রান্না করলে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আসলে শুটকি মাছের কেমন একটা গন্ধ পাওয়া যায় আমি খুব একটা খেতে পছন্দ করি না। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির প্রসেস আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তাই নাকি ভাইয়া। দেখবেন বিয়ের পর ভাবী রান্না করলে শুটকিতে আর গন্ধ লাগবেনা। তখন শুধু সুন্দর ফ্লেভারে খাবেন আর খাবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্যটি করে পাশে থাকার জন্য।
পুঁইশাকের বীজ খেতে আমারও খুব ভালো লাগে তবে আমাদের এলাকায় এই মজাদার জিনিসটি কিনতে পাওয়া যায় না।আমি যখন শহরে ছিলাম তখন খেতাম কিনে।খুব ভালো লাগতো।আপনি খুব সুন্দর লোভনীয় করে রান্না করেছেন এই পুঁইশাকের বীজ গুলো।খুব লোভনীয় লাগছে।খেতে যে অনেক সুস্বাদু তা ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ সুন্দর লোভনীয় পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু বেশ গুছিয়ে একটি মন্তব্য করার জন্য। তবে আফসোস লাগছে এত মজার খাবারটি আপনাদের এলাকায় পাওয়া যায় না।
আমার প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপু। পুঁইশাক ফলের সাথে শুটকি মাছের এই রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। চমৎকার এই রেসিপিটি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমারও এই রান্নাটা অনেক পছন্দের ভাইয়া।ধন্যবাদ ভাইয়া খুব গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
এই রান্নাটি কখনো আমার খাওয়া হয়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে খারাপ হয়নি। আপনার জন্য একটা পরামর্শ থাকবে। এরপর থেকে রান্নার উপকরণের সাথে পরিমাণটাও দিয়ে দেবেন। তাহলে আপনার পোস্ট দেখে যারা রান্না করতে যাবে তাদের জন্য অনেক সুবিধা হবে।
ভাইয়া আপনার মূল্যবান উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। পরবর্তী পোস্টগুলোতে পরিমাণ দেয়ার চেষ্টা করব।
পুইশাকের বিচি এবং শুটকি মাছ দুটোই আমার বেশ পছন্দের। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এই বছর পুঁইশাকের বিচি এখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
খেয়ে নিয়েন আপু। আমিতো বের হও মাত্র কখন এলে খাব অপেক্ষায় থাকি। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।