রেসিপি পোস্ট :- ভাপা পিঠা রেসিপি।
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। "আমার বাংলা ব্লগ" এর সকল ভাই ও বোনকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের পোস্টটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি শীতকালীন পিঠার রেসিপি। শীতকাল মানেই পিঠাপুলির উৎসব।শীতকালে আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে পছন্দ করি। বিশেষ করে আমার মিষ্টি জাতীয় পিঠা বেশি ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে মিষ্টি জাতীয় পিঠা বানিয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে খাই।আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি শীতকালীন একটি মিষ্টি পিঠার রেসিপি। একে আমরা ভাপা পিঠা বলে থাকি। ভাপা পিঠা আমার ভীষণ পছন্দের একটি পিঠা। চলুন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি কিভাবে এই ভাপা পিঠাটি তৈরি করলাম।
১.চালের গুড়া
২.খেজুরের পাটালি
৩.নারিকেল কুড়ানো
৪.লবণ
৫.পানি
প্রথমে দুই কাপ চালের গুড়ার মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ ও পানি দিয়ে সুন্দরভাবে মেখে নিব। এটা এমন ভাবে মাখতে হবে যাতে হাতের মধ্যে নিয়ে দলা পাকিয়ে হালকা চাপ দিলে এটি ভেঙে যায়।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর ছোট ছিদ্রযুক্ত চালনির সাহায্যে মেখে রাখা গুড়া চেলে নিব।এটা দেখতে অনেকটা সুজির মতো হবে।
পিঠাটি আমি রাইস কুকারে তৈরি করব। তাই রাইস কুকারের উপরের বাটিতে পিঠাটি তৈরি করে নেব। প্রথমে বাটির উপর একটি নেট দিব। এর উপর চেলে রাখা গুড়া ছড়িয়ে দিব।চিত্রের মতো করে চালের গুড়ার উপর কেটে রাখা খেজুরের পাটালি দিব।
খেজুরের পাটালি দেয়ার পরে এর উপর নারিকেল কুড়ানো দিব।তারপর আবার চেলে রাখা গুড়া দিব।চালের গুড়ার উপরে আবার খেজুরের পাটালি দিব এবং নারিকেল কুড়ানো দিব। এর উপর আবার চালের গুড়া দিব।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এভাবে মোট তিনটি লেয়ার তৈরি করব। এরপর নেট দিয়ে পুরো পিঠাটি ঢেকে দিব।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এখন রাইস কুকারে পরিমাণ মতো পানি গরম করতে থাকবো।পানি গরম হয়ে আসলে এর উপর পিঠার বাটিটি বসিয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে দিব।
![]() | ![]() |
---|
এখন বিশ মিনিট ধরে জাল করতে থাকবো।বিশ মিনিট পরে ঢাকনাটি খুলে নিব।
এরপর ধীরে ধীরে নেট থেকে পিঠাটি নামিয়ে নিব।সত্যিই অনেক সুন্দর একটি পিঠা তৈরি হয়েছে।
![]() | ![]() |
---|
এখন সুন্দরভাবে পিঠাটি কেটে ছয় টুকরো করে নিব।
মজার বিষয় হচ্ছে, আমি আজকেই প্রথম ভাপা পিঠা তৈরি করলাম। প্রথমে মনে করেছিলাম তেমন ভালো হবে না। কিন্তু বানানোর পর দেখছি অনেক সুন্দর হয়েছে। খেতেও অনেক সুস্বাদু ছিল। পরিবারের সবাই অনেক মজা করে পিঠাটি খেয়েছিল। আর যেহেতু পিঠা অনেক বড় সাইজের তাই এটি বানাতেও তেমন কষ্ট হয়নি।আশা করি আপনাদের ও ভালো লেগেছে। আজ এখানেই শেষ করছি। আগামীতে হাজির হব নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | OPPO A15s |
---|---|
শ্রেণী | রেসিপি পোস্ট |
ফটোগ্রাফার | @jerin-tasnim |
লোকেশন | কুষ্টিয়া,বাংলাদেশ |
শীতকাল আসলে যেন চারিদিকে ভাপা পিঠা তৈরির ধম পড়ে যায়। আমি লক্ষ্য করে দিতেছি শহরের রাস্তাগুলোতে এমন পিঠা খুব বেশি পরিমাণে তৈরি হয়। ভাপা পিঠা তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি খেজুরের পাটালি ব্যবহার করেছেন এজন্য এটা খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছে।
হ্যাঁ, শহরের রাস্তাগুলোতে এমন ভাপা পিঠা খুব বেশি পরিমাণেই পাওয়া যায়। আসলে খেজুরের পাটালি ব্যবহার করে যেকোন পিঠা তৈরি করলেই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শীতের সময় ভাপা পিঠা খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। ভাপা পিঠা আমার খুবই পছন্দের। আমি তো মনে করি শীতের সময় ভাপা পিঠা খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ কম রয়েছে। অনেক মজাদার হয়েছে মনে হচ্ছে আপনার তৈরি করা এই ভাপা পিঠা। ইচ্ছে করছে এক দুই পিস তুলে নিয়ে আমি খেয়ে ফেলি। নিশ্চয়ই সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়েছিলেন। এই শীতে অনেকবার খাওয়া হয়েছে ভাপা পিঠা। আপনার মাধ্যমে দেখেও খেতে ইচ্ছে করতেছে।
শীতের সময় বেশিরভাগ মানুষই ভাপা পিঠা অনেক পছন্দ করে। আমারও অনেক পছন্দের এই পিঠাটি। খেতে সত্যিই অনেক মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতকালে ভাপা পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে এত বড় ভাপা পিঠা কখনো তৈরি করতে দেখিনি। সত্যি আপু আপনার রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। আর দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।
হ্যাঁ, শীতকালে যেকোন পিঠা খেতেই অনেক বেশি মজা লাগে। বড় ভাপা পিঠা তৈরি করার একটা সুবিধা হচ্ছে, অল্প সময়েই পিঠাটি তৈরি করা যায়। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আপনার ভাপা পিঠাটি তো ইউনিক লাগছে দেখতে।আমরা সাধারণত ভাপা পিঠা ছোট ছোট বানিয়ে থাকি কিন্তুু আপনি দেখছি একবারেই সুন্দর করে বড়ো আকারের একটি পিঠা বানিয়ে ফেলেছেন। সময়ও বেঁচে গেছে। দেখতে কিন্তুু ভীষণ লোভনীয় লাগছে।ধন্যবাদ সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
বড় ভাপা পিঠা তৈরি করলে সময় অনেক বেঁচে যায়। এবং অল্প ঝামেলাতেই পিঠাটি তৈরি করা যায়।ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতের সময়ে ভাপা পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার পিঠা দেখে তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ভাপা পিঠা সবসময় গোল করে বানিয়েছি কিন্তু এভাবে লম্বা কেকের মতো করে খাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পিঠা গুলো বানিয়েছেন। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একদিন বড় করে ভাপা পিঠা তৈরি করে খেয়ে দেখবেন অনেক সুস্বাদু হয় খেতে।ভাপা পিঠা খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে।
শীতের সময় ভাপা পিঠা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে।শীতের সময় ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। ভাপা পিঠা আমার খুব পছন্দের। আপনার পিঠা দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পছন্দেরও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু, শীতের সময় অনেকেই এই ভাপা পিঠা খেতে খুবই পছন্দ করে। আমিও অনেক পছন্দ করি। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
শীতকালে ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার পছন্দের পিঠার মধ্যে একটি হলো ভাপা পিঠা। তবে আমি ছোট ছোট করে বানাই। এতো বড় ভাপা পিঠা কখনও বানানো হয়নি। তবে এতো বড় পিঠা বানালে সময় কম লাগে। ছোট ছোট পিঠা বানাতে সময় বেশি লাগে। বেশ লেগেছে আপনার পিঠা বানানোর পদ্ধতিটা দেখে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, ভাপা পিঠা ছোট ছোট করে বানালে সেগুলোও খেতে অনেক মজা হয়। তবে আমি এটি অনেক বড় করে বানিয়েছি যাতে সময় খুব কম লাগে। খেতেও বেশ সুস্বাদু ছিল।
শীতকাল ঋতুতে পিঠা না খেলে কি হয় আপু? অবশ্যই এমন মজার মজার পিঠা খেতে হবে। পিঠার মজাঁ শীতকালে যেভাবে উপভোগ করা যায়। তা অন্য সিজনে তেমন খাওয়া যায় না। তো আপনি এক সাথে কাজ করে দিলেন। একেবারে বড় করে তৈরি করলেন আশা করি সবার জন্য একেবারে হয়ে যাবে। দারুন একটি পিঠার রেসিপি ছিল অনেক ভালো লেগেছে দেখে।
হ্যাঁ আপু, শীতকাল মানেই কোন না কোন পিঠা খেতেই হবে। শীতের ঋতুতে পিঠার স্বাদ যেন অনেক বৃদ্ধি পায়। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
ভাপা পিঠা আমার কবি ফেভারিট।
এই শীতে বেশ কয়েকবার খাওয়া হয়েছে ।
নারিকেল এবং পাটারি দিয়ে প্রস্তুত করলে খেতে সব থেকে বেশি মজা হয়।
যেটি আপনি করেছেন।
আপনার প্রস্তুত করা পিঠার ফটোগ্রাফি দেখে খুব লোভ হচ্ছে।
নিশ্চয়ই খুব মজা হবে খেতে ।
আমারও অনেক পছন্দের এই পিঠাটি। সত্যি বলতে খেতে অনেক মজার ছিল।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আপু , শীত মানেই পিঠার উৎসব ৷ তবে ভাপা পিঠা আমার একটু বেশিই পছন্দের ৷ এই পিঠার স্বাদ অন্যরকম , যেটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে ৷ প্রায় সময় ভাপা পিঠা খাওয়া হয় , বাড়িতে কিংবা বাইরে ৷ আজ আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ভাপা পিঠা তৈরির রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
আমারও মনে হয় শীতের সময় পিঠার স্বাদ অনেক বৃদ্ধি পায়। ভাপা পিঠা আমারও অনেক পছন্দের। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।