বাঁধাকপির বড়া ভাজা রেসিপি
♥️আসসালামু আলাইকুম♥️
আজ - বৃহস্পতিবার
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছেন সকলের। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মহান সৃষ্টিকর্তার নাম মুখে রেখে উপস্থিত হলাম আপনাদের মাঝে সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য, আশা করি আমার এই রান্নার উপস্থাপনা আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে। আর এই পোষ্টের মধ্য থেকে জানতে পারবেন আমি কিভাবে রান্নার কাজ সম্পন্ন করেছি। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে, রান্নার কার্যক্রম শুরু করি।
১. | বড়া তৈরি করা ময়দা | হাফ কেজি |
২. | পেঁয়াজ কুচি | ৭ পিস |
৩. | ধনিয়া পাতা | প্রয়োজন মত |
৪. | কাঁচা মরিচ | ১০ পিস |
৫. | সয়াবিন তেল | ১৫০ গ্রাম |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | আধা চা চামচ |
৮. | হলুদের গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
৯. | ধনিয়া গুড়া | পরিমাণ মতো |
১০. | পানি | পরিমাণ মতো |
১১. | বাঁধাকপি | হাপ পিস এর |
![]() | ![]() | ![]() |
---|
প্রথমে সকল উপাদান গুলো একদম প্রস্তুত করে চুলার পাড়ে উপস্থিত হয়ে গেলাম। পিঁয়াজ বিনিয়ে নিয়েছি। মরিচ কেটে নিয়েছি। অন্যান্য উপাদান গুলো নির্দিষ্ট ভাবে একটি প্লেটের মধ্যে নিয়েছি। এদিকে বাঁধাকপি খুব সুন্দর করে কুচকুচি করে কেটে নিয়েছি। এছাড়াও ময়দা নির্দিষ্ট পরিমাণ নিয়ে নিয়েছি। এখন একটি গামলার মধ্যে ময়দার রাখলাম, এরপর ময়দার উপরে ঝাল লবণ সহ সকল গুড়া মসলা উপাদানগুলো দিলাম।
এরপর বাঁধাকপির ফালি গুলো গামলার মধ্যে দিয়ে পানির সমন্বয়ে সবকিছু সুন্দরভাবে মিক্সচার করতে থাকলাম। বড়া তৈরীর ময়দার সাথে সব উপাদানগুলো হাত দিয়ে নেড়ে নেড়ে একদম কাঁদা কাঁদা আকারে ছেনে নিলাম।
এবার কড়াইটি চুলার উপরে দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল ঢেলে দিলাম। তেল গরম হওয়ার সাথে সাথে আমিও প্রস্তুত। গামলা থেকে একটু একটু করে ময়দা মিশ্রিত উপাদান নিতে থাকলাম আর কড়াই এর মধ্যে দিতে থাকলাম। গরম তেলে পড়ার সাথে সাথে শব্দ হয়ে ভাজি হতে থাকলো।
এরপর যতক্ষণ সম্ভব সারা কড়াই জুড়ে একটু একটু করে মিশ্রিত উপাদান দিয়ে দিলাম। এভাবে বাঁধাকপির বড়া ভাজা হতে থাকলো। যতক্ষণ না তেলে সম্পূর্ণ ভাজা হলো ততক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকলাম।
একটু সময় কাঁচা অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে ভাজা পর্যায়ে চলে গেল। তখন খুন্তি দিয়ে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিতে থাকলাম। সাদা কালার থেকে লাল কালারের রং ধারণ করতে থাকলো। এভাবে যখন সম্পূর্ণ ভাজা হল। তখন কড়াই থেকে আলাদা পাত্রের মধ্যে উঠাতে থাকলাম।
এভাবে একের পর এক ভাজতে থাকলাম, পরিপূর্ণভাবে ভাজা হলে আলাদা পাত্ররের মধ্যে উঠিয়ে নিতে থাকলাম। ঠিক এভাবে শেষ পর্যন্ত আমি আমার কাজ চলমান রাখলাম। সমস্ত উপাদান শেষ হওয়া পর্যন্ত আমি বড়া তৈরি করলাম। আর এভাবেই একটি মুহূর্তে আমার বড়া তৈরি সম্পন্ন হলো।
পরিবেশন
বাঁধাকপির সুস্বাদু বড়া রেসিপি পেয়ে আমাদের পরিবারের সবাই অনেক অনেক খুশি হল। আমরা আমাদের পরিবারের সবাই মিলে যে যার মত এই রেসিপি খেলাম এবং অনেক আনন্দ পেলাম। এভাবেই বাঁধাকপির রেসিপি তৈরি ও খাওয়া দাওয়ার মধ্য দিয়ে কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।
Photo device | Itel vision 1 |
---|---|
বিষয় | সুস্বাদু বাঁধাকপির বড়া |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
বাঁধাকপির বড়া ভাজা রেসিপি শেয়ার করেছেন। যদিও এভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কখনো বাঁধাকপির বড়া ভাঁজা খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক মজাদার হয়েছিল।
একদিন তৈরি করে দেখেন
X--promotion
আজকের কাজ সম্পন্ন
বেশ মজাদার রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। এ জাতীয় তেলেভাজা রেসিপিগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে সবজি দিয়ে এমন পাকোড়া তৈরি করলে খেতে মজা লাগে।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাঁধাকপির বড়া কিংবা পাকোড়া এটা আমার ভালোই লাগে। আমাদের বাসায় গতকাল বিকালেও এটা তৈরি করা হয়েছিল। খুবই সুস্বাদু লাগে এটা খেতে। আপনার রেসিপিটা দেখে ভালো লাগলো আপু। খুবই লোভনীয় লাগছে বড়া গুলো দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি কিন্তু অনেক পছন্দ করি
বড়া বা, পেয়াজু আমার খুব পছন্দের। গরম গরম খেতে বড়া খেতে খুব ভালো লাগে। বাঁধাকপির বড়া ভাজা রেসিপি তৈরি করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। বড়া প্রস্তুত প্রণালী অসাধারণ হয়েছে। বাঁধাকপির বড়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে ভাইয়া।
ওয়াও আপু আপনি বাঁধাকপির বড়া ভাজার লোভনীয় একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন।এককথায় বলতে গেলে জিভে জল আনার মত রেসিপি। আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার।ছবি দেখে বুঝতে পারলাম খেতে খুব ভালো হয়েছিল রেসিপিটি। আপু আপনি ধাপগুলো খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ অনেক মজাদার হয়েছে
লোভনীয় একটি স্নাক্স রেসিপি নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। দারুন এই পকোড়ার টেস্ট আমি এর আগে পেয়েছি। কেননা এর আগে আমি এই পকোড়া বাড়িতে তৈরি করে খেয়েছি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
বাড়িতে তৈরি করে খেতে পারলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয় দাদা।
বেশ মজাদার একটা রেসিপি গরম গরম তেলেভাজা এই বাঁধাকপির বড়া রেসিপি খেতে বেশ মজা লাগে। যত বেশি মত মুচমুচে হবে তত বেশি মজা লাগবে সেই সাথে ধনেপাতা যুক্ত করায় আলাদা একটা ঘ্রাণ পাওয়া যাবে। লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন আপনি, ধন্যবাদ।
বাঁধাকপির বড়া খেতে খুবই মজার হয়। বিশেষ করে একটু ঝাল ঝাল করে তৈরি করলে গরম গরম খেতে দারুন হয়। বিকেল বেলায় সবাই মিলে বসে অনেক মজার করে খাওয়ার মত একটি খাবার। বেশ সুন্দর করে আপনি রেসিপি তৈরি করার প্রসেস গুলো শেয়ার করলেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ