আলুর সমন্বয়ে ছাগলের ভুঁড়ির রেসিপি
আজ - বুধবার
আপনারা কেমন আছেন? আশা করি, মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ' কে ভালোবেসে এবং সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপস্থিত হলাম মজাদার এক রেসিপি নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে সুস্বাদু ছাগলের ভুঁড়ির রেসিপি তৈরি করে দেখাবো। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কার্যপ্রণালী শুরু করি। |
---|
১. | ছাগলের ভুড়ি/ওজ | হাফ কেজি |
২. | পেঁয়াজ কুচি | তিন পিস |
৩. | রসুন কুচি | দুই পিস |
৪. | কাঁচা মরিচ বাটা | আট পিস |
৫. | সয়াবিন তেল | ১০০ গ্রাম |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | এক চা চামচ |
৮. | হলুদের গুঁড়া | এক চামচ |
৯. | ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
১০. | পানি | পরিমাণ মতো |
১১. | আলুর ফালি | হাফ কেজি |
![]() | ![]() | ![]() |
---|
রান্না করার জন্য সমস্ত উপাদান রেডি করে চুলার পাড়ে উপস্থিত হলাম। এবার চুলা অন করে কড়াইটা চুলার উপর বসিয়ে দিলাম। কড়াই এর মধ্যে সয়াবিন তেল পর্যাপ্ত পরিমাণ ঢেলে নিলাম। তেল গরম হতে থাকলো। আমি আমার মত সব গোছগাছ করে হাতের পাশে রাখলাম।
গরম তেলের মধ্যে পেঁয়াজকুচি রসুন কুচি দিয়ে দিলাম। সেগুলো ভাজি হতে থাকলো। তার উপর লবণ, জিরা ধুনীয়া হলুদ ঝাল এর গুঁড়ো গুলো দিয়ে দিলাম।
এবার সমস্ত মসলা জাতীয় উপাদান গুলো তেলের মধ্যে ভালোভাবে মিক্সচার করতে থাকলাম। একদিকে যেমন তেল ফুটতে থাকলো আরেকদিকে সমস্ত উপাদান চামচ দিয়ে নাড়তে থাকলাম এবং ভালোভাবে ভেজে নিলাম।
এরপর কড়াইয়ের মধ্যে ছাগলের ভুঁড়ির কুচি কুচি গুলো একটু একটু করে সম্পূর্ণ দিয়ে দিলাম। এ মুহূর্তে বেশ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় যেন গরম তেল হাতে লেগে না যায়। আর ঠিক সেভাবেই আমি আমার মত সম্পন্ন ভুড়ি অংশ দিয়ে ফেললাম।
এবার সমস্ত মসলাগুলোর সাথে মিক্সার করতে থাকলাম ছাগলের ভুঁড়ি বা ওজ। একদিকে চুলা যেমন জ্বলতে থাকলো আরেকদিকে সমস্ত উপাদান এর সমন্বয়ে ভুরি বা ওজ সিদ্ধ হতে থাকলো। এদিকে আমি আমার মত চামচ দিয়ে বারবার করে উল্টেপাল্টে নাড়তে থাকলাম। আর ঠিক এমনই একটি পর্যায়ে লক্ষ্য করে দেখলাম তেল শুকিয়ে আসছে।
এরপর আমি কড়াইয়ের মধ্যে আলুর ফালি গুলো দিয়ে দিলাম। আলুর ফালি গুলো কুচি কুচি করে কেটে নেওয়া হয়েছিল ভুঁড়ি গুলো যেভাবে কেটে নেওয়া ছিল। আর এভাবে রান্না করতে পারলে খেতে বেশ সুস্বাদু হয় আর সম্পূর্ণ উপাদান ভালো সিদ্ধ হয়। যাইহোক আলুরফালি সম্পূর্ণ দেয়া হলো।
এবার কড়াইয়ের মধ্যে সমস্ত উপাদান, ছাগলের ভুঁড়ি বা ওজ আলুর ফালি মসলা একসাথে মিক্সচার করতে থাকলাম আর জ্বাল দিতে থাকলাম। বারবার করে চামচ দিয়ে নাড়তে থাকলাম যেন সমস্ত উপাদান আলু আর ভুঁড়ির সাথে ভালোভাবে মিক্সচার হতে পারে। আর ইতোমধ্যে লক্ষ্য করলাম যথেষ্ট তেল শুকিয়ে যাচ্ছে।
এবার আমি কড়াইয়ের মধ্যে হাফ কাপ পরিমাণ পানি ঢেলে দিলাম। এরপর ভালোভাবে জ্বাল দিতে থাকলাম আর নাড়তে থাকলাম। আর এভাবেই একটি মুহূর্তে বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম। এরপর আবারো হাফ কাপ পরিমাণ পানি ঢেলে দিয়ে কড়াইটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। কিছুটা সময়ের জন্য জাল দিতে থাকলাম যেন ভালোভাবে সমস্ত উপাদান গুলো সিদ্ধ হতে পারে। এদিকে টগবগ করে ফুটতে থাকলো। আমি ও আমার কার্যক্রম চালিয়ে দিতে থাকলাম।
কিছুটা সময়ের পর কড়াই থেকে ঢাকনা তুলে দিলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম যথেষ্ট পানি শুকিয়ে গেছে এবং সমস্ত উপাদান ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেছে। এবার আমি ঝাল লবণের পরিমাণটা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিলাম। এরপর প্রয়োজনমতো ঝাল লবন দিয়ে আবারো নাড়তে থাকলাম। আর এভাবে একটি পর্যায়ে আমার রান্নার কার্যক্রম শেষ হয়ে আসলো। তখন আমি জাল দেওয়ার কার্যক্রম কমিয়ে দিলাম।
আমার রান্নার কাজ প্রায় শেষ তখন হয়ে আসলো, তখন কড়াই থেকে তরকারি নামিয়ে নিলাম গামলার মধ্যে। আর এভাবে রেসিপি তৈরীর কার্যক্রম শেষ হয়। এরপর আমি আমার রান্নার কার্যক্রম সমাপ্ত করে রেসিপি খাবার রুমে নিয়ে আসলাম পরিবেশন করার জন্য।
পরিবেশন
খাবার টাইমে পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে আমার তৈরি করা ছাগলের ভুঁড়ির রেসিপি সবার মাঝে পরিবেশন করলাম। সবাই আমার রান্না করা এই ভুঁড়ি খেয়ে অনেক প্রশংসা করল। আর এভাবেই আমার সম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত হলো।
Photo device | Itel vision 1 |
---|---|
বিষয় | সুস্বাদু রেসিপি |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আমি অবশ্য ভুড়ি খাই না। তবে শ্বশুর বাড়িতে সবাই বেশ পছন্দ করে ভুড়ি। আর আপনার মতো আলু দিয়ে রান্না করে। বেশ সুন্দরভাবে রান্না করেছেন। তবে আমার শ্বশুর বাড়িতে অনেক ধরনের গরম মশলা ব্যবহার করে এই রেসিপিটিতে। অনেক সুন্দর রং হয়েছে আপনার রেসিপিটির। বেশ মজা করেই খেয়েছেন নিশ্চয়ই। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
অনেকেই আছে খান্না।
শুনেছি ভুড়িতে নাকি প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। যদিও কখনো ছাগলের ভুঁড়ি আমি খাইনি। তবে আপনার রন্ধন প্রণালী এবং পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে।
অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার চমৎকার রেসিপি দেখে অনেক অনেক ভালো লেগেছে আমার। আসলে এই জাতীয় রেসিপিগুলো আমি খুবই পছন্দ করে থাকি। বিশেষ করে আলোর সাথে এভাবে রান্না করলে রুটি দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
উফ্ ভুড়ি খেতে আমি খুব পছন্দ করি। ঘুড়ি আমার অনেক প্রিয়।আজকে আপনার তৈরি আলু দিয়ে ছাগলের ভুড়ি রেসিপি দেখেই তো আমার খেতে ইচ্ছা করছে।গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই মজা লাগে। মজাদার এই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদিন রেসিপি করে খেয়ে ফেলেন
ভুড়ি আমার পছন্দের তালিকায় অন্যতম একটি খাবার।ভুড়ি খেতে অনেক সুস্বাদু হয় এবং এটি সত্যিই আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার হাতে তৈরি করা ভুড়ির রেসিপিটি সত্যিই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তাহলে তো ভালই
ভুড়ি বরাবরই আমার প্রিয় খাবার।তবে ছাগলের ভুড়ি কখনো খাওয়া হয়নি।আপনি বেশ ভালোভাবে উপস্থাপন করেছেন।নিশ্চয় অনেক মজা হয়েছে খাবারটি।পরবর্তীতে আমি বাসায় এভাবে রান্না করে টেস্ট করে দেখব।
একদিন রান্না করে খেয়ে দেখেন, ভালো লাগবে।
আলু দিয়ে এভাবে গরু কিংবা ছাগলের ভুঁড়ি রান্না করলে বেশ সুস্বাদু হয়। আমার খুব পছন্দ এটা। ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। গরম ভাত অথবা রুটি দিয়েও এটা বেশ দারুন লাগে খেতে। মজার এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন আপু
ভুড়ি যে আমার কতটা প্রিয় সেটা বলে বোঝাতে পারবো না আপু।আলু ছোট করে কেটে এভাবে ভুড়ি দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ মজার লাগে।ধন্যবাদ খাসির ভুড়ির মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমিও অনেক পছন্দ করি আপু
আলু দিয়ে ভুঁড়ি রান্না খেতে আমার অনেক ভালো লাগে ।এমন ধরনের ভুড়ি রান্না গরম গরম রুটির সাথে খেতে বেশি মজাদার হয়ে থাকে ।ধন্যবাদ আপু লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে এটা আমাদের সকলের প্রিয় একটি রেসিপি
ছাগলের ভুঁড়ি গত বছর খেয়েছিলাম। খেতে সত্যিই দারুণ লাগে। এই রেসিপিটা দেখতে সত্যিই খুব লোভনীয় লাগছে। এই রেসিপিটা গরম গরম পরোটা দিয়ে খেতে দারুণ লাগবে। তাছাড়া আলু দেওয়াতে আরও বেশি ভালো হয়েছে। বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটা দেখে। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ