রেসিপিঃ বুটের ডালের সুস্বাদু হালুয়া
"হ্যালো,"
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। অনেক দিন থেকে রেসিপি শেয়ার করা হয়না। তো ভাবলাম নতুন একটা রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আসলে আমরা শবে-বরাত উপলক্ষে কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের হালুয়া রেসিপি তৈরি করে থাকি। তো সেই ভেবে আমি আজকে বুটের ডালের হালুয়া বানিয়েছি। আর সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের কাছে এটা ভালো লাগবে।
তো চলুন বন্ধুরা রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরণ |
---|
বুটের ডাল |
চিনি |
সাদা এলাচ |
কাজুবাদাম |
কাঠবাদাম |
ঘি |
ধাপ-১
প্রথমে বুটের ডাল ভালোভাবে ধুয়ে চার থেকে পাঁচ ঘন্টার জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
ধাপ-২
এরপর ডালগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে।সেদ্ধ হয়ে গেলে একটা প্লাস্টিকের ডালাতে ঢেলে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত এবং পানি ঝরা পর্যন্ত রেখে দিতে হবে।
ধাপ-৩
ঠান্ডা হয়ে গেলে বুটের ডালগুলো ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। আপনারা চাইলে শিল নোরাই বেটে নিতে পারেন।
ধাপ-৪
হালুয়া বানানোর জন্য চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়ে কড়াইয়ে দিয়েছি দুই চামচ পরিমাণ ঘি। এরপর দিয়েছি কয়েকটি সাদা এলাচ।
ধাপ-৫
এরপর ব্লেন্ড করে রাখা বুটের ডালগুলো দিয়ে ভালোভাবে অনেকটা সময় নেড়ে চেড়ে রান্না করে নিতে হবে। আমি প্রায় ১০ মিনিটের মত মিডিয়াম আঁচে রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এ পর্যায়ে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে আবারও অনবরত নাড়তে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কড়াইয়ে যেন না লেগে যায়।
ধাপ-৭
এরপর আমি কিছু কাজুবাদাম এবং কাঠবাদাম কুচি করে দিয়ে দিয়েছি। তারপর আমি আবারও কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে একটা শক্ত ডো তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৮
এবার আমি হালুয়া সেট করার জন্য একটা ট্রে নিয়েছি। ট্রেতে আমি কিছুটা পরিমাণে ঘি মেখে নিয়েছি। তারপর আমি ডো টা দিয়ে সমান করে বিছিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে নিয়েছি।
❤️পরিবেশন❤️
এরপর হালুয়া ঠান্ডা হয়ে গেলে আমি একটা ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে এটি পরিবেশন করেছি এবং আমি প্রত্যেকটা টুকরার উপরে কিছু কাজুবাদাম এবং কাঠবাদাম কুচি করে দিয়েছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে।
আপু বুটের ডালের হালুয়া খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনি খুব সুন্দরভাবে ভোটের ডালের হালুয়ার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু এই বুটের ডালের হালুয়া খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
এই বুটের হালুয়া বেশিরভাগ শবেবরাতেই খাওয়া হয়। অনেকদিন হলো বুটের হালুয়া তৈরি করা হয় না। আপনার বুটের হালুয়া দেখে খেতে ইচ্ছা করছে আপনার বানানোর পদ্ধতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে খেতেও বেশ মজাদার হয়েছিল। প্রতিটি ধাপ ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। সব মিলিয়ে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিক বলেছেন শবেবরাতে আমরা বিভিন্ন ধরনের হালুয়া খেয়ে থাকি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
শবে বরাতের সময় বুটের ডালের হালুয়া খেতে বেশ ভালোই লাগে। এবারের শবে বরাতের সময়ও বুটের ডালের হালুয়া বাসায় তৈরি করেছিল। খেতেও বেশ ভালো লেগেছিল, তবে ব্যস্ততার জন্য রেসিপির ছবি উঠাতে পারিনি। তাই শেয়ার করা হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। নিশ্চয়ই খুব মজা করে খেয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া এটা খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আর আমরা সবাই মজা করে এটা খেয়েছি।
সত্যি আপু আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই ধরনের রেসিপি গুলো ভীষণ ভালো লাগে। তবে আপনি বুটের ডালের হালুয়া তৈরি করেছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। যদিও আমি নিজে কখনো বুটের ডালের হালুয়া তৈরি করীনি। কিছুদিন আগে আমি এমনিতেই চিন্তা করলাম একদিন বুটের ডালের হালুয়া তৈরি করব খাওয়ার জন্য। আজকে আপনার রেসিপিটা দেখে অনেকটাই ক্লিয়ার হয়ে গেলাম। এখন আর আমার তৈরি করতে খুব একটা অসুবিধা হবে না।
অবশ্যই একদিন বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আপু। এটা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
অসাধারণ রেসিপি শেয়ার করেছেন। বুটের ডালের সুস্বাদু হালুয়া দেখে খুব ভালো লাগলো। হালুয়াতে কাজুবাদাম কাঠবাদাম দেওয়াতে খেতে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হবে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ অসাধারণ । এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাইয়া কাজুবাদাম এবং কাঠবাদাম দেওয়ার কারণে হালুয়ার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
মাঝে মধ্যে বুটের ডাল খাওয়া হয় ৷ অনেক ভালো লাগে বুটের ডাল ৷ তবে আপনি দেখি অসাধারণ একটি রেসিপি করেছেন বুটের ডালের হালুয়া ৷ যা দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে ৷ অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
বুটের ডাল আমারও ভীষণ পছন্দের একটি খাবার। বুটের ডালের এই হালুয়া খেতেও বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
বুটের ডালের হালুয়া আমার খুবই ফেভারিট এর আগে আমি একবার প্রস্তুত করে খেয়েছিলাম বাসায় ।সত্যি খেতে অসাধারণ লাগে ।বিশেষ করে এটি যদি খেজুরের গুড় দিয়ে প্রস্তুত করা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।।
রেসিপি প্রস্তুত প্রণালী অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।।
খেঁজুরের গুড় দিয়ে কখনো এই রেসিপিটি করা হয়নি। তবে আপনার কথা অনুযায়ী অবশ্যই একদিন চেষ্টা করব বাসায় বানানো খেঁজুরের গুড় দিয়ে বুটের ডালের হালুয়া।
বুটের ডালের হালুয়া খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমার পরিবারের সবাই বুটের ডালের হালুয়া খেতে খুবই ভালোবাসে। আপনার রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে আপু। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বুটের ডালের হালুয়া কিংবা বরফি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে সেই হালুয়া যদি হয় আমার মায়ের হাতের তাহলে তো কোনো কথাই নেই। কেননা আমার মা বুটের হালুয়া কিংবা বরফি খুবই সুস্বাদু করে তৈরি করে। আজ আপনার বুটের ডালের সুস্বাদু হালুয়া দেখে সেই স্বাদ মনে পড়ে গেল। অনেকদিন হয়ে গেল মায়ের হাতের বুটের হালুয়া খাওয়া হয়নি। কেননা আমার মায়ের বয়স অনেক হয়েছে তাই আর তেমন একটা রান্নার কাজে যেতে চান না। যাইহোক আপু, ঘি, কাজুবাদাম ও কাঠ বাদাম দিয়ে আপনি বুটের ডালের সুস্বাদু হালুয়া তৈরি করেছেন, দেখেই বেশ বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছে। বুটের হালুয়া রেসিপির প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া মায়ের হাতের রান্না করা যে কোন খাবারই অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।