রেসিপিঃ বিভিন্ন প্রকার ডাল দিয়ে ঝরঝরে খিচুড়ি
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। গত কয়েকদিন আগে কয়েকটি খাবারের রিভিউ দিয়েছিলাম। যে আমি বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি রান্না করেছিলাম আর সাথে কিছু ভাজির কিছু রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি সেই খিচুড়ির। রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আমি খিচুড়িতে সবসময় বেশ কয়েক প্রকার ডাল ব্যবহার করি।আজকের খিচুড়িতেও আমি কয়েক প্রকার ডাল দিয়ে খিচুড়িটা রান্না করেছি।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল পর্বে চলে যাই।
উপকরন |
---|
পোলাওয়ের চাল |
মুগ ডাল |
মটরের ডাল |
বুটের ডাল |
মাসকলাইয়ের ডাল |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচামরিচ |
আদা-রসুন বাটা |
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
গোটা গরম মসলা |
তেজপাতা |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমেই সব ডালগুলো একত্র করে শুকনো খোলায় মিডিয়াম আঁচে ভেজে নিয়েছি। এরপর ৩ থেকে ৪ ঘন্টার জন্য ডাল গুলোকে ভিজিয়ে রেখেছিলাম।
ধাপ-২
এবার ডালগুলোর সাথে পরিমাণ মতো চাল দিয়ে ভালোভাবে চাল এবং ডালগুলো ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার চুলায় কড়াই বসিয়েছি কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হয়ে গেলে আমি গোটা গরম মসলা গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়েছি। এরপর পেঁয়াজ কুচি এবং ফালি করে কাঁটা কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়েচেড়ে বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার ধুয়ে রাখা ডাল এবং চালগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৫
চালগুলো ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে আদা রসুন বাট, জিরা ধনিয়ের গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভেজে নিয়েছি। তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে নেড়ে চেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়ে আমি চালগুলো ৯০% সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
৯০% সেদ্ধ হওয়ার পর আমি এটা দমে রেখে দিয়েছিলাম।আমি একটা কাঁচামরিচ দিয়ে ঢাকনার ফুটো টা বন্ধ করে দিয়েছি যাতে করে সুন্দরভাবে সেদ্ধ হয় আর খিচুড়িটাও ঝরঝরে হয়। যেহেতু আমি বেশ কয় প্রকার ভাজির সঙ্গে খাবো এজন্য একটু ঝরঝরা হলে বেশি ভালো লাগে।খিচুড়ি টা সুন্দর ভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে আমি নামিয়ে নিয়েছি।
❤️পরিবেশন❤️
আলু ভাজা বেগুন ভাজা পটল ভাজা এবং লেবু দিয়ে পরিবেশন করেছি। আর হ্যাঁ খিচুড়ির ওপরে কিন্তু একটু কাঁচা মরিচও দিয়েছি। যাতে দেখতে সুন্দর লাগে এবং আমি কাঁচা মরিচটা খেয়েও ছিলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর হ্যাঁ ইফতারের পর এই ধরনের রেসিপি গুলো কিন্তু খেতে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে ডাল খিচুড়ি কিংবা পোলাওয়ের রেসিপিগুলো। যদি আপনাদের কাছে রেসিপিটা ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে।
***সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
খিচুড়ি দেখলেই যেন আমি কোনোভাবেই লোভ সামলাতে পারিনা। বিভিন্ন প্রকারের ডাল মিশ্রণ করে খিচুড়ি তৈরি করার দারুণ একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এর আগে আমি কোনদিন এতগুলো ডাল একত্রিত করে খিচুড়ি রান্না করে খাইনি।
আপু আপনি আজ বিভিন্ন প্রকার ডাল দিয়ে খুবই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে আর যদি বিভিন্ন প্রকার ডাল দিয়ে খিচুড়ি তৈরি করা হয় তাহলে খেতে আরও বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি দেখতে লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু খিচুড়ি দেখলে জিভে জল এমনি চলে আসে ৷ কারন খিচুড়ি আমার অনেক প্রিয় ৷ আপনি দেখি বেশ সুন্দর করে খিচুড়ি রান্না করেছেন ৷ প্রতিটি ধাপ দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ তবে গরম খিচুড়ি আর মাংস দিয়ে খেতে দারুন লাগে ৷যা হোক সুন্দর রেসেপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে সত্যিই অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির সঙ্গে যদি শুকনো মরিচ ভর্তা দিয়ে আলু ভর্তা করা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আপনার এই বিভিন্ন প্রকার ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্নার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার শেয়ার করা খিচুড়ি দেখে জিভে জল চলে এলো আমিও এভাবে বিভিন্ন রকম ডাল দিয়ে ঝরঝরে খিচুড়ি খেতে বেশ পছন্দ করি। এরকম ঝরঝরে খিচুড়ির সাথে একটু ঘি দিয়ে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে।
খিচুড়ি আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। বিভিন্ন প্রকার ডাল দিয়ে ঝরঝরে খিচুড়ি রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে আপু। লাঞ্চের সময় এমন রেসিপি পেলে তো আর কোন কথাই নেই। রেসিপিটা নিশ্চয়ই খুব মজা করে খেয়েছেন। রেসিপির পরিবেশনাও চমৎকার হয়েছে। ধাপে ধাপে এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।