আজ- ৫ ফাগুন | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব মজাদার শিক কাবাব তৈরির রেসিপি। কখনো কাবাব খায়নি বা পছন্দ করেনা এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সাধারণত কাবাব আমরা দোকান থেকে কিনেই খেয়ে থাকি কিন্তু চাইলেই অতি সহজে নিজেও বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার এই খাবার। শিক কাবাব তৈরীর প্রায় সমস্ত উপকরণই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। কাবাব তৈরীর শিক, চুলা, কাঠ কয়লা থেকে শুরু করে সবকিছুই পাওয়া যায় টাকার বিনিময়ে। তবে আমি সম্পূর্ণ নিজস্ব পদ্ধতিতে বাড়িতে অনেকটা বনভোজন করার মত তৈরি করেছিলাম এই শিক কাবাব যা আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। কেমন লাগলো আশা করি মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আসুন তবে শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
মুরগির মাংস | আধা কেজি |
পেঁয়াজ বাটা | আধা কাপ |
আদা বাটা | ৩ চা চামচ |
রসুন বাটা | ২ চা চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ২ চা চামচ |
জিরার গুড়া | ১ চা চামচ |
শুকনা মরিচের গুড়া | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণমতো |
সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
টক দই | এক গ্লাস |
টমেটো সস | 1 কাপ |
গরম মসলা গুরা | পরিমাণমতো |
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ ১ঃ
প্রথমেই হার ছাড়া মুরগির আধা কেজি মাংস ভালো মতো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে ছোট ছোট চারকোনা আকৃতির সাইজ করি।

ধাপ ২ঃ
এবার শিক বানানোর পালা। বাজারে লোহার তৈরি শিক কিনতে পাওয়া গেলেও আমি বাঁশ দিয়ে নিজেই শিক বানিয়ে নিয়েছিলাম। বাশের চাইতে লোহার শিক ব্যবহার করাই উত্তম। এতে কাবাব গুলো ভালোভাবে প্রস্তুত হয়।

ধাপ ৩ঃ
একটি পরিষ্কার পাত্রে মাংসগুলো নিয়ে সবটুকু পানি ঝরিয়ে ফেলতে হবে। এরপর টক দই, সস এবং অন্যান্য মশাগুলো একে একে দিতে হবে।

ধাপ ৪ঃ
সমস্ত উপকরণ গুলো দেয়া হয়ে গেলে হাত দিয়ে সবকিছু ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে যাতে উপকরণ গুলো মাংসের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়। এবার মাংসগুলোকে ফ্রিজের মধ্যে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা মেরিনেট করে রাখতে হবে।

ধাপ ৫ঃ
ম্যারিনেট করা হয়ে গেলে মাংস গুলো বের করে বাশের শিকের মধ্যে একটি একটি করে গেথে নিতে হবে।

ধাপ ৬ঃ
এবার কিছু কাঠের লাকড়ি পুড়িয়ে কয়লা বানিয়ে নিতে হবে। কয়লা গুলোকে মাটিতে বিছিয়ে দিয়ে তার উপর মাংসের শিক গুলোকে কোনভাবে ঝুলিয়ে দিতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে সেগুলো যেন আগুন থেকে খুব বেশি উপরে বা খুব কাছেও না থাকে। এতে মাংস পুড়ে যেতে পারে অথবা রান্নাও ঠিকমত না হতে পারে।

ধাপ ৭ঃ
মাংসগুলো পুড়তে থাকলে কিছুক্ষণ পরপর সেগুলো ঘুরিয়ে দিতে হবে যাতে সবদিকে সমানভাবে সিদ্ধ হয়। সেইসঙ্গে কিছুক্ষণ পরপর একটি ব্রাশ দিয়ে মাংশের উপর দিকে অবশিষ্ট থেকে যাওয়া বাড়তি মসলাগুলো লাগিয়ে দিতে হবে। এর ফলে মাংসগুলো পুরে কয়লা হয়ে যাবার ভয় কম থাকবে। সেই সঙ্গে খেতেও অনেক মজাদার হবে।

হয়ে গেল আমাদের মজাদার শিক কাবাব তৈরি। এবার গরম গরম পরাটা বা নান রুটির সঙ্গে খাবার পালা। আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
খুবই সুন্দর ভাবে মজাদার শিক কাবাব তৈরির রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। শিক কাবাব আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লাগে তাই আপনার এই রেসিপিটি দেখার পরে আমার অনেক লোভ লাগছিল। শিক কাবাব তৈরীর প্রত্যেকটি ধাপ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই এটা কিন্তু দারুন ছিল। খাসির মাংসের শিক কাবাব খেয়েছি কিন্তু মুরগির টা খাওয়া হয়নি। শিখে রাখলাম এবং খুব শিগ্রই ট্রাই করবো। ভালই খেয়েছেন। দেখে তো আমারও জীভে জল চলে আসলো। পোড়ানোর ধরন টিও আমার কাছে ভাল লেগেছে। বাশেঁর কঞ্চি ব্যবহার করেছেন। ধন্যবাদ ভাই । ভাল থাকবেন।
আপনার তৈরি করা শিক কাবাব রেসিপিটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে । তবে এইরকম করে কখনো খাওয়া হয়নি । আপনারটা দেখি লোভে পড়ে গেলাম । ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
এভাবে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। আশা করি ভালো লাগবে। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো শিক কাবাব তৈরি করিনি। আপনার পোস্ট দেখে শিক কাবাব তৈরি সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেলাম। পরবর্তীতে কখনো যদি শিক কাবাব তৈরি করি তাহলে আপনার পোষ্ট থেকে যে ধারণা পেলাম সেটা কাজে লাগাতে পারবো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আমি বেশ কয়েকবারই তৈরি করেছি কিন্তু যত অভিজ্ঞ হচ্ছি ততই বেশি মজাদার হচ্ছে। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনি খুব সুন্দর করে শিক কাবাব রেসিপি তৈরি করেছেন। তবে মনে হচ্ছে একটু বেশি পুড়ে গেছে। কাবাব দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার রন্ধন পদ্ধতি বেশ অসাধারণ নিশ্চয় অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর কাবাব রেসিপি পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, ভালো থাকবেন ভাই।
উপরের দিকে একটু পুরেছিল বটে তবে সাদ ছিল সত্যি চমৎকার। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
শিক কাবাব খুবিই ভালো একটি খাবার আর এই শীতের মধ্য বেশী ভালো লাগে।তবে ভাই একা একা খাইলে বেশী ভালো হয় না মাঝে মাঝে আমাদের ডাইকেন তাহলে আরো স্বাদের হবে।স্বাদের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ শুভ কামনা রইল আপনার জন্য
কখনো ফরিদপুর আসলে জানাবেন। অবশ্যই আপনাকে খাওয়াবো ইনশাল্লাহ। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইনশাআল্লাহ ভালোবাসার ভাই❤
আমার কখনোই শিক কাবাব তৈরি করে নি। কিন্তু আপনার শিক কাবাব তৈরীর পদ্ধতি খুবই সুন্দর ছিল। মনে হচ্ছে খুব সহজেই তৈরি করতে পারব। দেখতে অসাধারণ হয়েছে। মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে তাই না। আমাদের মাঝে এত অসাধারন একটি রেসিপি নিয়ে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল আপু। আমাদের এই কাবাব তৈরি ছিল আসলে অনেকটা পিকনিকের মত। আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন আশা করি ভালো লাগবে। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কাজটা ঠিক করো নাই। একাই খাইলা মিয়া? ভাগ পাইলাম না।
তোমার জন্য কিছু করতে পারতেছিনা। তাড়াতাড়ি সিধা হইয়া দাঁড়াইয়া যাও। এইটা ডেমো ছিল তুমি সুস্থ হইলে আসল প্রোগ্রাম শুরু হবে।
আপনার এই শিক কাবাব তৈরি রেসিপি দেখে তো খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনি খুব সুন্দর করে এবং দারুণ পদ্ধতিতেই শিক কাবাব তৈরি করেছেন ।আসলে এটি দেখে মুখে পানি চলে এলো। অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কাবাব গুলো দেখতে অতটা ভালো না লাগলেও সাদ কিন্তু সত্যিই চমৎকার হয়েছিল। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শিক কাবাব রেসিপি রেস্টুরেন্ট অনেক খেয়েছি তবে বাড়ীতে তৈরি করে আজও কখনো খাওয়া হয়নি। এই রেসিপিটা খেতে কিন্তু খুবই মজাদার আমি অনেক ভালোবাসি এই রেসিপিটা। আপনি আমাদের মাঝে শিক কাবাব রেসিপি টা খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুস্বাদু একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে সুন্দর এই মন্তব্যটি শেয়ার করার জন্য