নিমকি রেসিপি। shy-fox 10% | @abb-charity 5%
আজ আবার আপনাদের সামনে একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি রেসিপি টি হলো নিমকি। নিমকি খেতে কম বেশি সকলেই পছন্দ করে আমারও অনেক ভালো লাগে,ছোটবেলায় স্কুলে টিফিন টাইমে নিমকি কিনে খাওয়া হতো খুব, মিষ্টি দিয়ে নিমকি খেতে বেশি ভালো লাগে। আগে কখনো বাসায় বানিয়ে খাওয়া হয়নি আজকেই প্রথম বানানোর চেষ্টা করলাম তাই সেই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
উপকরণ | পরিমাণ | |
---|---|---|
ময়দা | দেড় কাপ | |
লবণ | স্বাদমতো | |
চিনি | ১চা চামচ | |
কালোজিরা | ১চা চামচ | |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে ময়দা গুলো একটা বড় বাটিতে নিয়েছি তারপর লবণ, চিনি,কালোজিরা, সয়াবিন তেল দিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি। ময়াম ভালো করে দিয়েছি, যখন ময়দা হাতের মুঠে নিলে দলা হয়ে যাবে তখন বোঝা যাবে যে ময়াম দেওয়া ঠিক আছে।
দ্বিতীয় ধাপঃ
ভালো করে ময়াম দেওয়া হলে অল্প অল্প করে জল দিয়ে ময়দার মধ্যে মিশিয়ে নিয়েছি। ভালো ভাবে ময়দা মেখে নিয়ে একটা ডো বানিয়ে নিয়েছি। তারপর একটা পরিস্কার কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে রেখেছি।
তৃতীয় ধাপঃ
কিছুক্ষণ পর মযদার ডো টা একটু তেল মেখে বড় রুটির আকারে বানিয়ে নিয়েছি। তারপর এক সাইড থেকে আস্তে আস্তে করে মুড়িয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপঃ
পুরোটা মুড়িয়ে নিয়ে একটা রোলের মতো বানিয়ে নিয়েছি। তারপর একটা ছুরির সাহায্যে ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি। একটা ছোট টুকরো দিয়ে লুচির মতো করে বেলে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
লুচির মতো বেলে নেওয়ার পর মাঝ বরাবর দুই ভাজ করে নিয়েছি। তারপর আবার তিনকোনা করে আরেক ভাজ দিয়ে একপাশে একটু চাপ দিয়ে আটকিয়ে নিয়েছি। একই রকম করে সবগুলো বানিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপঃ
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়েছি তারপর বেশি পরিমাণে সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি। হালকা একটু গরম হলে একটা একটা করে নিমকিগুলো ছেড়ে দিয়েছি। একপাশে ভাজা হলে উল্টিয়ে দিয়েছি। তারপর দুপাশে ভালো করে ভাজা হলে সোনালী কালার হয়ে আসলে নামিয়ে নিয়েছি।
শেষ ধাপঃ
কড়াই থেকে একটা প্লেটে উঠিয়ে নিয়েছি। এখন পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
এই প্রথম বার বাসায় নিমকি বানানোর চেষ্টা করেছি, খেতে মোটামুটি ভালোই হয়েছে কিন্তু দোকানের মতো অতটাও ভালো হয়নি, কেন হয়নি সেটা আমি বুঝতে পারছি, ময়দা মেখে আরও কিছু সময় রেস্টে রাখা দরকার ছিল, আমি মাখানোর কিছুক্ষণের মধ্যে বানিয়ে নিয়েছি তাই একটু কম সুস্বাদু হয়েছে এটা আমার ধারনা। আপনারা যারা অভিজ্ঞ আছেন তাঁরা অবশ্যই মতামতের মাধ্যমে জানাবেন আমার কোন বিষয়টি ভুল ছিল।
আজ এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু, মিষ্টি দিয়ে নিমকি খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনি খুবই চমৎকার ভাবে রেসিপিটি বানিয়েছেন। রেসিপিটি দেখে যে কেউ বানিয়ে নিতে পারবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু মিষ্টি আর নিমকি হলো পারফেক্ট জুটি। আগে খুব খাওয়া হতো। আমি সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সুন্দর মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপু।
আপনি খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার নিমকি রেসিপি দেখে তো আমার জিভে জল চলে এসেছে। খুবই সুন্দর ভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই রেসিপিটি আপনি আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপনা করে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
নিমকি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে মাঝে মাঝেই খাওয়া হয় তবে মিষ্টির রস দিয়ে খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আপনার প্রস্তুত করা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হবে।।
হ্যাঁ ভাইয়া আমিও ছোটবেলায় আগে খুব মিষ্টির রস দিয়ে অনেক নিমকি খেয়েছি খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামতের জন্য।
আমিও ছোটবেলায় থেকেই এভাবে খেয়ে আসছি বেশ কিছুদিন হল মাঝে খাওয়া হয় না তবে আপনার প্রস্তুত করা থেকে খুব লোভ হয়েছে ভাবছিস সামনের সপ্তাহে একবার প্রস্তুত করে খাব
নিমকি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে । দেখে বোঝা যাচ্ছে সুস্বাদু হবে খেতে। তৈরীর প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সন্ধ্যেবেলায় নিমকির মত বোধ করি কিছু নেই। নিমকি সন্ধ্যেবেলায় পেলে আর কিছু চায়না। আপনি সত্যি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন নিমকিগুলো। দেখতে দারুণ লাগছে। বরাবরই আপনি বেশ ভালোই করেন সমস্ত রকম রেসিপি পোস্টগুলো।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সন্ধ্যাবেলায় নিমকি দিয়ে দুধ চা খেতে কি যে মজা তা বলার মতো না। আমি সবসময়ই রান্নাটা ভালো করার চেষ্টা করি কিন্তু নিমকিগুলো কেনজানি ১০০% পারফেক্ট হয়নি, আশাকরি নেক্সট যেদিন বানাবো সেদিন আরও ভালো হবে।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
আপু আমিও আপনার মত ছোটবেলায় স্কুলে টিফিনে নিমকি নিয়ে যেতাম। নিমকির মধ্যে দেয়া কালোজিরা গুলো খেতে বেশি ভালো লাগে। কালোজিরার ঘ্রাণ অনেক বেশি ভালো লাগে আমার। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে নিমকি গুলো বানিয়েছেন নিশ্চয়ই অনেক মুচমুচে হয়েছে।
জ্বি আপু আগে আমরা স্কুলে টিফিন টাইমে নিমকি, বালুসাই অনেক খেতাম, এ টাকার পাওয়া যেতো বড় বড় বালুসাই গুলো নিমকিও অনেক বড় সাইজের ছিল একটা খেয়ে জল খেলেই পেট ভরে যেতো। এখনকার বাচ্চারা তো এগুলো চেনেই মনে হয়। খেতে বেশ ভালোই হয়েছিল আপু আপু আনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাহ আপু আপনি তো খুব সুন্দর করে নিমকি তৈরি করেছেন। এই নিমকি গুলো আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। আজকে প্রথমবার হিসেবে কিন্তু আপনার নিমকি তৈরি খুবই সুন্দর হয়েছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আজকে প্রথমবার বানিয়েছি। মোটামুটি ভালোই হয়েছিল তবে একেবারে পারফেক্ট হয়নি। আপু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর করে রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। নিমকি তৈরির প্রতিটা ধাপ আপনি খুব সাবীলভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন , যা দেখে আশা করি সবাই এটা তৈরি করতে পারবে। আমার খুব পছন্দের একটা আইটেম আপনি করেছেন আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার করা মন্তব্যের জন্য। আমি চেষ্টা করেছি বানানোর জন্য প্রথম তো আশাকরি আগামীতে আরও অনেক ভালো হবে।
বাসায় কোন কিছু তৈরি করলে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। নিমকি তৈরির রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। নিমকি সাধারণত বাজার থেকে কিনে খাওয়া হয়। বাসায় কখনো তৈরি করার চেষ্টা করিনি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মিষ্টি দিয়ে নিমকি খেতে ভিশন ভালো লাগে। বাসায় তৈরি করা নিমকি হলে তো কোন কথাই নেই। নিমকি বানানোর ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।