চিংড়ি থোরের ঘন্ট।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
কলা এমন এক ফল যার গুণের শেষ নেই। ফুল থেকে ফল, সবই আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। তেমনই উপকারি কলার থোর।কলার থোর আজকাল খুব একটা রান্না করা হয় না এর কারন এটা কাটাকুটি করা খুবই ঝামেলার।আর রান্না করারতেও বেশ সময় সাপেক্ষ তাই সবাই স্বাদে গুণে ভরপুর কলার থোর রাঁধেন না।আমরা ছোটবেলায় অনেক খেতাম তখন মা কাকিমারা রান্না করতো তখন বুঝতাম না এটা প্রসেসিং করা কতটা কষ্টদায়ক।সেদিন আমার হেল্পিং হ্যান্ড যে খালা আছে উনি দেখি আসার সময় আমার জন্য কলার থোর আর কচুশাক নিয়ে এসেছেন।আমি ভাবছিলাম কিভাবে কি করবো পরে খালাকেই বললাম আপনি কেটে দেন, আমি তো সেভাবে সুন্দর করে কাটতে পারবো না। তখন খালা অনেক সুন্দর করে কেটে ধুয়ে দিয়েছেন আমি ভাজি করেছিলাম।ভাতের সাথে খেতে খুবই মজা লাগছিলো।আর মেয়েরা তো খুবই আগ্রহী যে তারা কলাগাছ খাচ্ছে এই আনন্দে আত্মহারা।আজ আবারও খালা থোর কচুশাক নিয়ে এসেছেন।তাই ভাবলাম আজ একটু অন্যভাবে রান্না করি তাই চিংড়ি মাছ দিয়ে ঘন্ট রান্না করলাম।আর সেই রেসিপি টি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক-
উপকরণ |
---|
কলার থোর |
চিংড়ি মাছ |
পেঁয়াজ কুঁচি |
আদাবাটা |
রসুনবাটা |
কাঁচামরিচ |
জিরাগুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
লবণ |
হলুদ |
তেল |
চালের গুঁড়া |
প্রথমে কলার থোর খোসা ছাড়িয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটে হলুদ জলে ভিজিয়ে রেখেছি।যাতে কালো না হয়ে যায়।তারপর জল ঝড়িয়ে নিয়েছি।
এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে কলার থোর গুলো দিয়ে কিছু সময় ধরে নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি।
এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছি।তারপর চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে পেঁয়াজের সাথে ভেজে নিয়েছি।
এবার আদা রসুন বাটা গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি যাতে কাঁচা গন্ধ না আসে।
এবার গুঁড়া মশলা গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।
মশলা কষানো হলে ভেজে রাখা থোর গুলো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর স্বাদমতো লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি।তারপর চালের গুঁড়া সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে গুলিয়ে দিয়ে দিয়েছি।তারপর ভালো ভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।কলার থোর একটু ঝরঝরে হয় তাই চালের গুঁড়া দিলে ঘন্ট মাখোমাখো হয়।এবার চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
"পরিবেশন"
এবার একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করার জন্য।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
OR
কলার থোড় আমার কখনও খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি।আপনার রেসিপি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। দেখেই বুঝতে পারছি খেতে খুব মজার হবে।খালা আপনাকে হেল্প করলো তাইতো মজার রেসিপিটি দেখতে পেলাম। আর মেয়েরা ও কলা গাছ খেতে পারলো, হিহিহি।অনেক ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু খালা ছিলো বলেই রান্না করতে পেরেছি,তা না হলে আমার পক্ষে এতো সুন্দর করে কাটা সম্ভব ছিলো না।হ্যাঁ মেয়েরা তো সেই খুশি কলাগাছ খেয়ে 😃আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলেই কলার কিন্তু অনেক গুণ রয়েছে। আর এটি কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য ও অনেক উপকারী। আপনি চিংড়ি থোরের ঘন্ট রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে আমার তো অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। আপনার রেসিপি টা দেখতেই অনেক বেশি মজাদার মনে হচ্ছে। এরকম মজাদার একটা রেসিপি বুঝতে পারছি খুব মজা করে খাওয়া হয়েছিল। ধন্যবাদ মজার রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু অনেক মজাদার হয়েছিলো এবং খুবই মজা করে খেয়েছি।ধন্যবাদ আপু।
প্রথমত এটাই বলব যে চিংড়ি মাছ আমার অনেক বেশি ফেভারিট। চিংড়ি মাছ খেতে আমার অনেক ভালো লাগে তবে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। কলার থোর বিভিন্ন পদ্ধতিতে খাওয়া হয়েছে আমার। বিশেষ করে ভাজি করে ভর্তা করলে অনেক মজার হয়। আপনার রেসিপিটা অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে। আপনি উপস্থাপনা অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন, যা দেখে যে কেউ এটা তৈরি করে নিতে পারবে।
কলার থোর অনেক ভাবেই খাওয়া যায় আর খেতেও খুব সুস্বাদু হয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কলার গাছ এবং ফলের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কলার সবকিছু প্রায় খাওয়া যায় যা অত্যন্ত পুষ্টিকর। ভাগ্যিস ঐ খালা কলার থওড় এনেছেন এবং সার্বিক সহযোগিতা করেছেন নাহলে এই লোভনীয় রেসিপি আমরা পেতাম না। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপিটি গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া,খাল খুবই সুন্দর করে কেটে দিয়েছিলো বলেই রান্না করতে পেরেছি এবং সেই রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট দেখলে খাওয়ার লোভ কন্ট্রোল করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। আসলে চিংড়ি মাছ আমার খুব পছন্দের। চিংড়ি মাছের দোপেঁয়াজা করলে আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে চিংড়ি থোরের ঘন্ট তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুব অসাধারণ । এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলেই তাই মজাদার রেসিপি গুলো দেখলে লোভ সামলানো দ্বায় হয়ে যায়।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
গ্রামে বাবার বাড়িতে গেলে এই খাবারটা প্রচুর খাওয়া হয়। থোর খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মায়ের হাতের রেসিপির কথা মনে পড়ে গেল। আমার মা অনেক মজা করে মসুর ডাল দিয়ে মাছের মাথা দিয়ে থোর রান্না করেন যা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। যাইহোক ধন্যবাদ বৌদি চিংড়ি মাছ এবং থোর দিয়ে দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মায়ের হাতের রান্না সবসময়ই অমৃতের মতো হয়।মসুরের ডাল দিয়ে খাওয়া যায় এটা জানতাম না।এবার ডাল দিয়ে রান্না করে খেতে হবে দেখছি।ধন্যবাদ ভাবি।
চিংড়ির তৈরি যে কোন রেসিপি অনেক মজাদার হয়। চিংড়ি আর থোরের ঘন্ট বেশ মজার হয় তাছাড়া দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। বড় সাইজের চিংড়ি গুলো এই রেসিপির লোভনীয়তা বাড়িয়ে তুলেছে। তবে আমাদের এলাকায় এই কলার থোরকে কলার ভাদাইল ও বলে।
একদম ঠিক কথা চিংড়ি দিয়ে যেকোনো রেসিপি অনেক সুস্বাদু হয়।আমাদের এলাকাতেও অনেকেই কলার ভাদাইল বলে এমনকি আমরাও বলি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুবই সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এরকম রেসিপি আমি আগে কখনো দেখিনি৷ আপনার কাছ থেকে এ রেসিপি সম্পর্কে আমি প্রথম জানতে পারলাম। এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ৷ একই সাথে আপনার রেসিপির যে ডেকোরেশনটি আপনি প্রকাশ করেছেন সেটি একদমই লোভনীয় দেখা যাচ্ছিল৷ আপনার ডেকোরেশনের দক্ষতা খুবই ভালো৷
এই রেসিপি টি আপনার অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।আশাকরি পরবর্তী সময়ে আরও অনেক নতুন নতুন রেসিপি আপনাদে সাথে শেয়ার করবো।রেসিপি মূল আকর্ষণ হলো পরিবেশে তাই নিজের মতো করে গুছিয়ে পরিবেশন করার চেষ্টা করি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
চিংড়ি মাছ খেতে সবাই কম বেশি বেশ পছন্দ করে শুধু আমি ছাড়া। কি করব আপু শরীরে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি আছে এলার্জির জম। আপনি চিংড়ি মাছের খুব সুন্দর করে থোরের ঘন্টা তৈরি করেছেন। আপনার রান্নাটি দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে। আর রান্নার ধাপ গুলো বেশ সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও চিংড়ি মাছ অনেক বছর খাইনি ভয়ে,কিন্তু গত কয়েকদিন হলো খাচ্ছি ঈশ্বরের কৃপায় কোনো সমস্যা হয়নি।এই ধরনের লোভনীয় জিনিস গুলো থেকে দূরে থাকা কষ্টদায়ক।ধন্যবাদ ভাইয়া।
চিংড়ি থোরের ঘন্ট রেসিপিটি আমার জন্য খুবই ইউনিক। কলার থোরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। আর চিংড়ি দিয়ে কলার থোরের রেসিপি প্রথম দেখলাম এবং আশা করছি সুস্বাদু হবে খেতে। ধন্যবাদ ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া কলার থোরের মধ্যে প্রচুর আয়রন আছে।চিংড়ি দিয়ে থোরের ঘন্ট রেসিপি টি সত্যিই অসাধারণ হয়েছিলো।আপনিও সর্বদা ভালো থাকবেন ভাইয়া।ধন্যবাদ।
সুন্দর ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।।