কাঁচাকলার খোসা বাটা। shy-fox 10%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
বাঙালির অন্যতম এক প্রিয় সবজির নাম হলো কাঁচা কলা। কাঁচা কলার তরকারি থেকে শুরু করে কাঁচা কলার খোসা বাটা জিভে জল আনা এক স্বুসাদু আইটেম। তবে কলা গাছের শুধু ফল অর্থাত্ কলাই নয় কলা পাতা থেকে শুরু করে শেকড় পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে।আজকে আমি কাঁচাকলার খোসা বাটা করেছি সেই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
উপকরণ সমূহ
কাঁচাকলার খোসা |
---|
রসুন |
কাঁচামরিচ |
সাদা সরিষা |
শুকনা মরিচ |
পাঁচফোড়ন |
লবণ |
হলুদগুঁড়া |
সরিষার তেল |
ধাপ-১
প্রথমে কাঁচাকলার খোসা গুলো একটা পাত্রে জল দিয়ে তার মধ্যে হলুদগুঁড়া দিয়ে কাঁচাকলার খোসা গুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি।তারপর একটা ছাঁকনিতে ঢেলে জল ঝরিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
রসুন, কাঁচামরিচ ও সরিষা ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবারে সিদ্ধ করা কলার খোসা গুলো ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়ে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি।তেল গরম হলে একটা শুকনা মরিচ ও পাঁচফোড়ন ফোঁড়ন দিয়ে, নেড়েচেড়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবারে সবগুলো উপকরণ একসাথে ব্লেন্ড করা মিশ্রণ টি দিয়ে দিয়েছি। তারপর পরিমাণ মতো হলুদগুঁড়া ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
লবণ হলুদগুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ভাজতে শুরু করেছি।
ধাপ-৭
অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে নেড়েচেড়ে ভাজতে ভাজতে যখন তেল ছেড়ে দিয়েছে এবং খোসা বাটা লাল লাল হয়ে আসছে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
শেষ ধাপঃ
কড়াই থেকে নামিয়ে নিয়ে একটা ছোট পাত্রে তুলে নিয়েছি। এখন গরম ভাতের সাথে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত কাঁচাকলার খোসা বাটা রেসিপি টি।গরম ভাতের সাথে খেতে এতটাই সুস্বাদু লাগে যা এর স্বাদের কাছে বড় মাছ কিংবা মাংসের স্বাদ কিছুই না বলে আমার মনে হয়।
খুবই সাধারণ একটি রেসিপি কিন্তু এর স্বাদ একেবারেই অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। আশাকরি আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে।আজ এখানেই শেষ করছি, আবার দেখা হবে অন্য কোনো সময়ে,অন্য কোনো নতুন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
এভাবে ব্লেন্ড করে কখনো কলার খোসা ভর্তা খাওয়া হয়নি। আমি সবসময় শিল পাটায় বেটে তারপর করেছি। আমার এই ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। ঠিক বলেছেন আপু কাঁচা কলা বাঙালির সবচেয়ে পছন্দের সবজি। আমি মাঝে মাঝে ভর্তা আবার মাছ দিয়ে রান্না করে থাকি। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কাঁচাকলা দিয়ে মাছ রান্না করলে আমারও খেতে অনেক ভালো লাগে,খোসা ভর্তাও খেতে অনেক ভালো লাগে।শিলপাটায় যেকোনো ভর্তার স্বাদ অনেক বেশি হয় কিন্তু আপু আমার হাতের ব্যথার কারনে ব্লেন্ডারে ব্লেড করে নিয়েছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
কাঁচকলা খেয়েছি অনেকভাবে রেসিপি প্রস্তুত করে কাঁকলা আমার খুবই ফেভারিট।
তবে কখনো কাজ করার খোসা রেসিপি করে খাওয়া হয়নি আপনার মাধ্যমে প্রথম দেখতে পেলাম দেখে অনেক লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।।
কাঁচাকলা আমারও খুবই প্রিয় একটি খাবার। এই রেসিপি গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই মজা লেগেছে ভাইয়া।ধন্যবাদ।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। কাঁচা কলার খোসা দিয়ে যে এভাবে একটা রেসিপি তৈরি করা যায় তা আমার জানা ছিল না।
কাঁচাকলার খোসা বাটা আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি,তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুবই দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। গরম ভাতের সাথে এই রেসিপিটা খেতে খুবই ইয়াম্মি লাগবে। কাঁচা কলার খোসা দিয়ে যে এমন ভর্তা বানানো যায় সেটা জানা ছিল না। সম্পূর্ণ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। ভর্তার কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব মজা হয়েছে। এত লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জ্বি ভাইয়া আসলেই ভর্তা টি গরম ভাতের সাথে ইয়াম্মি হয়েছে।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু দারুন একটি রেসিপি আমাদের সাথে আজকে শেয়ার করলেন। আমি কখনো কাঁচা কলার খোসা বাটা খাইনি তবে আজকে আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে মন চাইতেছে। আপনার রেসিপি টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
অনেকেই জানেনা ভাইয়া যে কাঁচাকলার খোসা ভর্তা খাওয়া যায়।মন চাইলে চলে আসেন ভাইয়া।😁ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক আগে শুনেছিলাম কাঁচকলার খোসা ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে।আজকে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে আসলেই ভালোই হবে খেতে।এটা আমার খাওয়া হয়নি কখনও।একদিন বাসায় তৈরি করে দেখবো সুন্দর রেসিপিটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।
জ্বি আপু বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন, আশাকরি খেতে অনেক ভালো লাগবে।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।