ভিন্ন স্বাদে ডিম আর ময়দা দিয়ে তৈরি বল পিঠার রেসিপি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
ছবি আর টাইটেল দেখেই তো বুঝে গেলেন আজকে কী শেয়ার করতে এসেছি। আজকের এই রেসিপিটা এত এত মজার যে একবার বাসায় তৈরি না করলে বুঝতেই পারবেন না। অল্প উপকরণ এবং অল্প সময়ের মধ্যেই কিন্তু এই নাস্তাটা তৈরি করা যায়। এইতো গত কিছুদিন আগেই কিছু রেসিপির জন্য ময়দা নিয়ে এসেছিলাম। তখন ভাবলাম ভিন্ন রকম কিছু ট্রাই করি, যেগুলো আগে কখনো করা হয়নি। আর তখনই মূলত এই ভাবে রেসিপিটি করা হয়েছে।
ময়দা, ডিম, লবণ, বেকিং পাউডার আর চিনি এই অল্প কয়েকটা উপকরণ দিয়েই কিন্তু মজাদার রেসিপিটা তৈরি করা হলো।এক্ষেত্রে অবশ্য কেউ চাইলে নারিকেল দিতে পারে। তবে নারকেল দিয়ে তৈরি করা হলে সেটা ভিন্ন রকম হয়। সেটাও আগে একবার তৈরি করেছিলাম। যেটা নারিকেলের জাম বলে পরিচিত। কিন্তু আজকের এই রেসিপিটা আসলে বিকেলের নাস্তা বা মেহমানের জন্য একটা পারফেক্ট নাস্তা বলা যায়।
যেহেতু আমি রেসিপি করতে খুব বেশি পছন্দ করি, সেই হিসেবে বিভিন্ন রকম রেসিপি করা হয়। তার মাঝে কিছু কিছু রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়। আর ঠিক তেমনি আজকেও এই মজার বল পিঠা রেসিপি নিয়ে চলে এলাম। যেটা আসলে তৈরি করার পর একদিনেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। সকালের দিকে বানিয়েছিলাম ১১ টার সময়, সবাই অনেকগুলোই খেয়েছি। বিকেলে দু একটা করে খেয়ে বাকিটা শেষ হয়ে গেল। চিন্তা করতেছি আগামীকালও এই রেসিপি তৈরি করব।
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
---|
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ময়দা | মেজারমেন্ট কাপের ২ কাপ |
ডিম | ৩টি |
চিনি | ১/২কাপ |
লবণ | ১/৩চা চামচ |
বেকিং পাউডার | ১/২ চা চামচ |
তেল | ভাজার জন্য |
প্রথম ধাপ |
---|
প্রথমেই আমি তিনটি ডিম একটি বাটির মধ্যে ভেঙে নিলাম। তারপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দিলাম। তারপর হ্যান্ডউইক্স এর সাহায্যে সবকিছু ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
এখন সেই ডিমের মিশ্রণের মধ্যে বাকি উপকরণ দিব। একটি চালনির উপরে ২ কাপ পরিমাণ ময়দা, পরিমাণ মতো বেকিং সোডা এবং লবণ দিয়ে দিলাম। তারপর এগুলো চেলে নিয়ে ডিমের মধ্যে দিলাম।
তৃতীয় ধাপ |
---|
এই ধাপে আমি ডিমের মিশ্রণের সাথে শুকনো উপকরণগুলো হ্যান্ডউইক্স এর সাহায্যে মিক্স করে নিলাম। যখন ডিমের মিশ্রণের সাথে এগুলো মোটামুটি কিছুটা মিক্স হয়ে এলো তখন আবার হাত দিয়ে ভালোভাবে মথে একটা ডো তৈরি করে নিলাম। এটা কিছুটা সফট হবে।
চতুর্থ ধাপ |
---|
এই ধাপে আমি হাতের মধ্যে অল্প একটু মিশ্রণ নিয়ে হাত দিয়ে গোল গোল করে শেপ করে নিলাম। যে কোনো শেপেই করা যায়, তবে গোল বলের আকারে করলে পিঠাগুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে।এভাবে অনেকগুলো তৈরি করলাম।
পঞ্চম ধাপ |
---|
কড়াইতে বেশি পরিমাণে তেল দিয়ে দিলাম। তারপর এটা গরম হয়ে এলে এক এক করে ছোট ছোট বল গুলো দিয়ে দিলাম। চুলার আঁচ খুব বেশি দেয়া যাবে না, একদম অল্প আঁচে এগুলো ভেজে নিতে হবে পাঁচ থেকে সাত মিনিট।একটু লালচে করে ভেজে তুলে নিলেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার এই রেসিপিটি।
পরিবেশন |
---|
আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
ময়দা ও ডিম দিয়ে অসাধারণ সুন্দর বল পিঠা রেসিপি করেছেন আপনি।অসাধারণ সুন্দর হয়েছে পিঠা গুলো।অনেক সুস্বাদু হয়েছে নিশ্চয়ই। ধাপে ধাপে পিঠা তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মতামত দেখে। ভালো থাকবেন সব সময়।
https://x.com/bristy110/status/1791268475568357493
ওয়াও অসম্ভব সুন্দর এবং মজাদার দেখতে ময়দা এবং ডিম দিয়ে চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। রেসিপিটাও দেখছি অল্প উপকরণ দিয়েই তৈরি করেছেন এবং খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই। দারুন ভাবে রেসিপি তৈরি করার প্রসেসগুলিও বর্ণনা করেছেন। ডিম এবং ময়দা দিয়ে তৈরি করা বল পিঠা রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে আপু। আশা করছি আগামীতে আরো ইউনিক সব রেসিপি আপনার মাধ্যমে দেখতে পারবো।
দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি মজা হয়েছিল ভাইয়া।পরপর দুইবার বানিয়েছি।
ডিম এবং ময়দা দিয়ে খুবই চমৎকার একটি ময়দা পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার বানানো বল পিঠা।গুছিয়ে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।।
পিঠাগুলো কিন্তু দেখেই মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছে। ডিম দিয়ে এই পিঠাগুলো আমি একবার তৈরি করেছিলাম। তখনো খেতে ভীষণ মজা লেগেছিল। আর ঠিক বলেছেন, এগুলোর মধ্যে আবার নারিকেল দিয়েও তৈরি করা যায়। নারিকেল দিলে এর স্বাদ ভিন্ন রকমের তৈরি হয়। তবে আমার কাছে দুই রকমের পিঠাই অনেক ভালো লাগে। তবে আপনার পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি খুবই ভালো লেগেছে। একটা যদি খেতে পারতাম তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো।
জি আপু নারকেল ছিল না সেজন্য এভাবে তৈরি করেছি। তবে নারিকেল দিয়ে আগে তৈরি করেছিলাম। এভাবে খেতেও খুব ভালো লাগে।
ভিন্ন স্বাদে ডিম আর ময়দা দিয়ে তৈরি বল পিঠার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লাগে। অসাধারণ একটি রেসিপি করেছেন। আপনার রেসিপি তৈরি করতে ভালো লাগে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা পড়ে।
আপু রেসিপিটি কিন্তু সত্যি বেশ সুন্দর এবং ইউনিক। আপনি বেশ সুন্দর করে পুরো রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনা শেয়ার করা ডিম আর ময়দার রেসিপি দেখে কিন্তু আপু লোভ লেগে গেল। পেটে ব্যাথা করলে জানিনা। ধন্যবাদ এমন সুন্দর লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সেজন্যই তো বলি পেটব্যথা কেন করে। নিশ্চয়ই আপনার নজর লেগেছে হাহাহা। যাইহোক মজা করলাম আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি করা ভিন্ন স্বাদে ডিম আর ময়দা দিয়ে তৈরি বল পিঠার রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার তৈরি বল পিঠার রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।আর যে কোন পিঠার মধ্যে ডিমের মিশ্রণ থাকলে সে রেসিপি টি একটু বেশি মজাদার হয়। ঠিক অনুরুপ ভাবে আপনার রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছিল।
জি ভাইয়া দেখতে যেমন লাগছে খেতেও খুব বেশি মজা ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নারকেলের যে কোন রেসিপি খেতে আমার কাছে ভালো লাগে। তাছাড়া বিভিন্ন রকম রেসিপি তৈরি করতে এবং দেখতে আমার কাছেও ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা আসলেই অল্প উপকরণ নিয়ে খুবই লোভনীয় হয়েছে। এভাবে পিঠা তৈরি করে বিকালের নাস্তা হিসেবে খুব সুন্দর খাওয়া যাবে। ধন্যবাদ আপু ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে খেয়ে আমি নিজেই ফিদা হয়ে গিয়েছিলাম আপু। তারপর আবার বানিয়েছিলাম। তবে নারকেল দিয়ে ভিন্নভাবে তৈরি করা যায় সেটা আরেকদিন শেয়ার করব।
আপনার চমৎকার রেসিপিটা দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে সব সময় যখন সুন্দর সুন্দর রেসিপি গুলো দেখি তখন অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি খুবই চমৎকারভাবে আজকের এই রেসিপি- ফটোগ্রাফি করেছেন। মাঝে মাঝে যখন সুন্দর সুন্দর রেসিপি গুলো দেখি তখন শুধু খেতে ইচ্ছে করে। চমৎকার ছবিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা পড়ে, ভাল থাকবেন।