মুচমুচে ডিমের পকোড়া তৈরির রেসিপি।১০% লাজুক-শিয়াল এর জন্য।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকের এই মুহূর্তে আমি আপনাদের সাথে রেসিপি শেয়ার করার জন্য এসেছি।আজকের রেসিপিটি হলো মুচমুচে ডিমের পকোড়া তৈরির রেসিপি। এটি খুব সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি করা যায়।
ডিমের পকোড়া তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
|---|
| পরিমাণ |
সিদ্ধ ডিম | ৪ টি | আটা | ২ কাপ | লবণ | ১ চা চামচ | হলুদ গুড়ো | আধা চা চামচ | মরিচ গুড়ো | ২ চা চামচ | গোলমরিচ গুঁড়া | আধা চা চামচ | পানি | পরিমাণমতো | সয়াবিন তেল | ভাজার জন্য |
এরপরে আমি একটি বাটিতে ২ কাপ পরিমাণ আটা নিলাম। এরমধ্যে আমি হলুদ গুঁড়ো মরিচ গুঁড়ো গোলমরিচ গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে দিলাম।
মসলাগুলো দেয়ার পরে আমি অল্প অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে হাত দিয়ে মেখে একটি ব্যাটার তৈরি করতে থাকলাম। আমি একটি ঘন ব্যাটার তৈরি করে নিলাম।
এরপরে আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম এবং এর মধ্যে ভাজার জন্য পরিমান মত তেল দিয়ে দিলাম।
তেল যখন গরম হয়ে এলো তখন আমি একটি ডিমের স্লাইস নিয়ে আটার ব্যাটারের মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে ডুবিয়ে আটা লাগিয়ে তেলের মধ্যে সাথে সাথেই ছেড়ে দিলাম।
এক এক করে আমি প্রথম ধাপে কয়েকটি ডিমের স্লাইস এভাবে আটার মধ্যে ডুবিয়ে তেলে ভাজার জন্য দিয়ে দিলাম।
এগুলোকে আমি বেশ কিছুক্ষণ ধরে মিডিয়াম আঁচে ভাজতে থাকলাম। বেশি আঁচে যদি ভাজা হয় তাহলে এগুলো উপর দিয়ে ভেজে পুড়ে যেতে পারে, ভিতরে নাও হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে ভেজে এগুলো বাদামী হয়ে এলে ছাকনির সাহায্যে এগুলোকে তুলে নিলাম।
এক এক করে আমি সবগুলো পকোড়া এইভাবে ভেজে নিয়েছি আর খাওয়ার জন্য টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করলাম।
এইতো তৈরি হয়ে গেল মুচমুচে ডিমের পকোড়া। এটি অনেক মজাদার। আর সহজেই তৈরি করে নেয়া যায়। আমার তো খুব প্রিয় একটি রেসিপি। আশা করি আপনাদের কাছে এই সহজ রেসিপিটি খুব ভালো লাগবে। ভালো লেগে থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে মতামত জানাবেন।
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
|
|---|
.png)
আপু আপনি খুবই সুন্দর একটি রেসিপি বাসায় বানিয়েছেন।ডিমের পাকোড়া কিংবা চপগুলো সাধারণত রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে খাওয়া হয়। আপনি খুব স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ডিমের পাকোড়া রেসিপি টি বানিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
খুবই মজাদার এই পকোড়া, আমি প্রায়ই তৈরি করি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের এইদিকে এটিকে ডিমের বড়া বলে ডাকে। যাই হোক এগুলো কিন্তু খেতে দারুণ মজাদার হয়। আর আপনি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন এই ডিমের পাকোড়া। তৈরীর প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়া,একেক দিকে একেক নামে পরিচিত। তবে খুবই মজা লাগে খেতে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ডিমের পাকোড়া খেতে আসলেই খুবই মজার। আপনি খুব সহজেই ডিমের পাকোড়া তৈরি করার পদ্ধতি দেখিয়েছেন। আর খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ এই মজাদার রেসিপি তৈরি করার জন্য।
গঠনমূলক মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পাকোড়া খেতে আমি অনেক ভালোবাসি তবে অনেকদিন হলো ডিমের পাকোড়া খাওয়া হয়নি আপনার উপস্থাপন করা এই ডিমের পাকোড়া রেসিপি টা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছিল ।আপনি রেসিপিটা আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এমন সুস্বাদু একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সহজেই তৈরি করে বাসায় খেতে পারবেন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এভাবে ডিমের পাকোড়া বানালে খেতে খুবই মজা লাগে। আপনার ডিমের পাকোড়াটি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। ডিম আমার খুবই পছন্দের। তাছাড়া ডিম দিয়ে যদি এত সুন্দর পাকোরা বানানো যায় তাহলে কি লোভ সামলানো যায়? ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি ডিমের পাকোড়ার রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু লোভ তো সামলানো যায় না, তাই মাঝে মধ্যে তৈরি করে ফেলি ।অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি অনেক মজাদার এবং লোভনীয় একটি ডিমের পাকোড়া রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন, যদিও ডিমের পাকোড়া আমি কখনো খাইনি তবে আপনার এই ডিমের পাকোড়া রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। প্রতিটি ধাপ অনেক চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ।আপনি এভাবে তৈরি করতে পারেন ।গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি তো অনেক অসাধারণ একটি রেসিপি করেছেন। ডিমের পাকোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটি করেছেন। আবার পুরো রেসিপিটি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। নিশ্চয়ই খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের মাঝে এত অসাধারন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য ।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ওয়াও অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি আপু। ডিমের পকোড়া খেতে অনেক ভালো লাগে। গরম গরম হলে তো কোন কথাই নেই। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া গরম গরম এই পকোড়া সসের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
দারুন স্বাদের ডিমের পাকোড়া প্রস্তুত করেছেন।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
আমি তো দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা ইচ্ছে করছে উঠিয়ে খেয়ে ফেলি।
দারুন উপস্থাপন করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য 🌹
কি আর করার ভাইয়া নিজেই তৈরি করে খেতে হবে ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিমের পাকোড়া আমার খাইতে খুব ভালো লাগে। আমি একদিন তৈরি করেছিলাম খুব ভালো হয়েছিল। আপু আপনার তৈরি করার ডিমের পাকোড়া দেখে আমার খেতে ইচ্ছা করতেছে। সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু আপনার ডিমের পাকোড়া রেসিপিটি। সব রকম উপকরণ দিয়ে রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যি অসাধারণ। রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সামান্য কিছু উপকরণে এটি সহজেই তৈরি করা যায়।তাই আমার কাছে তৈরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে ।আর খেতে অনেক সুস্বাদু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।