আত্মহত্যা || একটি বাস্তব ঘটনা
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার পরিবারে ঘটে যাওয়া একটা সত্য ঘটনা শেয়ার করবো। আশা করছি আজকের এই গল্প থেকে অনেক কিছুই জানার থাকবে।অনেকেই অনেক সময় পরিস্থিতির শিকার হয়ে আত্মহত্যার মতো জঘন্য পথ বেছে নেয়।কিন্তু আজ আমি যে ঘটনাটি শেয়ার করছি সেটা একটা প্রেমঘটিত ব্যাপার। একটি ছেলের বন্ধুবান্ধব এবং ভালোবাসার মানুষের সাথে হাসতে হাসতে মজার ছলে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা।
রতন আমার মেজ চাচার ছেলে।আমার থেকে বয়সে মাত্র এক মাসের বড়। ছোটবেলা থেকে একসাথে খেলাধুলা করে বড় হয়েছে একই ক্লাসে পড়াশোনা করেছি। সেই ক্লাস ওয়ান থেকে এসএসসি পর্যন্ত একসাথে পড়েছি। এরপর আমরা দুজনেই আলাদা শহরে পড়াশোনার জন্য। স্কুলে থাকা অবস্থায় আমাদের সম্পর্ক কিছুটা টম এ্যান্ড জেরির মতো ছিলো।ও স্কুলে কোনো দুষ্টামি করলে আমি সাথে সাথে বাড়িতে এসে বলে দিতাম। আবার আমিও ভয়ে ভয়ে থাকতাম দুষ্টুমি করতাম না কারণ সেও বাড়িতে এসে আমার নামে নালিশ করতে। আবার দিন শেষে দুজন দুজনকে ছাড়া থাকতেও পারতাম না।
যাইহোক এরপর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেওয়ার পর আমার বিয়ে হয়। তখন থেকে আমার আর আমার চাচাতো ভাইয়ের সম্পর্কটা অনেকটা ভালো হয়। আমার বেশ খোঁজ খবর নেয়। মাঝেমধ্যে দেখা করার জন্য আমার শ্বশুরবাড়ি যেত। তখন মনে হতো যে না সে আমার বড় ভাই। নিমিষেই ছোটবেলার সেই ঝগড়া মারামারি গুলো ভুলে গিয়েছিলাম। যাইহোক এবার আসি মূল কথায়।
২০১৯ সাল অক্টোবর মাসের এক তারিখে আমি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম।আমার চাচাতো ভাই তখন শহরে।ও কিন্তু পড়াশোনায় খুবই ভালো কিন্তু একদম পড়াশোনা করতে চায় না। ওর স্বপ্ন অনেক ফুটবলার হবে। অক্টোবর মাসে ২ তারিখে সেও বাড়িতে আসে।যেহেতু ও ক্রিকেট ফুটবল খেলতে খুব ভালোবাসতো। তাই বাড়িতে আসলেই সেসব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তো ফলে পাশাপাশি বাড়িতে থাকলেও আর আমার সাথে আর দেখা হয়নি।
যাইহোক অক্টোবরের ৫ তারিখ সেই অনাকাঙ্ক্ষিত একটি দিন। যেদিন এই ঘটনা ঘটে যায়। কি হয়েছিল অক্টোবরের পাঁচ তারিখে সেটা জানতে হলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তাড়াতাড়ি চেষ্টা করব পরের পর্বটি শেয়ার করার। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোট বেলায় এমন হয়। পাশাপাশি ভাই বোনেরা থাকলে এমন মারামারি লেগেই থাকে। বড় হলে তাদের সম্পর্ক আরো ভালো হয়। এই জন্যই তো আপনার চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ের পর আপনার সম্পর্ক আরো ভালো হয়েছিলো। এখন ভাবছি আপনার ওই ভাই ই কি আত্মহত্যা করলো নাকি। জানতে হলে তো পরের পর্বের জন্য অপেক্ষাতো করতেই হবে।
পরের পর্বে চেষ্টা করব আপু সবটা শেয়ার করার। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনার গল্পটা পড়ার সময় আমি বেশ আতঙ্কে ছিলাম। আপনার সেই চাচাতো ভাইয়ের সাথে কি হয়েছিল, এটা জানার জন্য এখন তো আরো বেশি আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে। আপনাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা এত ভালো ছিল এটি শুনে খুব ভালো লেগেছে। আপনার চাচাতো ভাইয়ের সাথে কি হয়েছিল জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি আপনি তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ আপু গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করব পরের পর্বটি।
আপনি বাস্তবিক একটা ঘটনা আমাদের মাঝে পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করছেন দেখে ভালো লাগছে। কিন্তু আপনার চাচাতো ভাই এর সাথে কি হয়েছে এটাই তো জানতে পারলাম না। এত সুন্দর একটা জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে কি হলো উনার সাথে, এটি জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবেন।
আসলে কখন কার জীবনে কি ঘটে যায় বলা মুশকিল। খুব তাড়াতাড়ি চেষ্টা করব ভাইয়া পরের পর্বটা শেয়ার করার। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আত্মহত্যা হচ্ছে মানুষ নিজের উপর যখন বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে তখন এরকম কাজ করে। আপনি আপনার চাচাতো ভাইয়ের বাস্তবিক ঘটনা আমাদের মাঝে প্রথম পর্ব উপস্থাপনা করেছেন। আর চাচাতো ভাই জেঠাতো বোন সমবয়সী থাকলে অনেক দুষ্টামি হয় এবং একজনের কথা একজন নালিশ করে থাকে। যাইহোক পরেরপরে জানতে পারবো আপনার চাচাতো ভাই রতনের আত্মহত্যার কাহিনী ।
ধন্যবাদ আপু ঘটনা টা পড়ে মন্তব্য করার জন্য।