ঘটে যাওয়া এক ভৌতিক কাহিনী||পার্ট-১
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করব। আজকের গল্পটি মূলত ভৌতিক কাহিনী কে কেন্দ্র করে। আর এই ভৌতিক গল্পটি সত্যি কারের ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। আমি মূলত বর্তমানে গ্রামে আছি আমার আম্মুদের বাড়িতে। আমাদের গ্রামেরই একজনের সাথে ঘটেছে এই ভৌতিক কাহিনীটি কয়েকদিন আগে। আর সেই কাহিনীটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম। আশা করি আপনাদের কাছে গল্পটি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন মূল গল্পে আসা যাক।
বাড়ির একজন বাদে সবাই মিলে বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়েছে। যে ছেলেটি বাড়িতে ছিল তার বয়স ১৮/২০ বছর হবে। যেহেতু বাড়িতে কেউ নেই, তাই ছেলেটি একা একা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েছিল।হঠাৎ, রাত ১২টার পরে অদ্ভুত এক আওয়াজে ছেলেটির ঘুম ভেঙ্গে গেল। ছেলেটির বাড়ি মূলত টিনের তৈরি ছিল। অত রাতে এত বাজে ভাবে আওয়াজ হচ্ছিল যে ছেলেটি ভয় পেয়ে গেল। সে কিছুতেই বুঝতে পারছিল না যে এটা কিসের আওয়াজ। আওয়াজটা নাকি অনেক ভয়ঙ্কর ছিল।
ছেলেটি ভয় পেয়ে তাদের বাড়ির পাশে একটি বাড়িতে চলে গেল। যেহেতু শীতকাল এবং অনেক রাত হয়ে গিয়েছিলো। তাই সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিল। সে ওই বাড়ির গেটের কাছে যেয়ে বাড়ির লোকজনদের ডাকতে লাগলো। তারা ঘুম থেকে উঠে এসে ছেলেটির কাছে শুনে কি হয়েছে? ছেলেটি বলে, তাদের বাড়িতে একা একা ঘুমোতে ভয় লাগছে। তাই ছেলেটি ওই লোকদের বাড়িতে ঘুমোতে চাই। যেহেতু তারা প্রতিবেশী তাই বাড়ির মহিলাটি বলে আচ্ছা আমি বিছানা ঠিক করে দিচ্ছি, তুমি তোমাদের বাড়ি থেকে একটি কম্বল নিয়ে আসো।
মহিলাটির কথামতো ছেলেটি চলে যায় তাদের বাড়িতে কম্বল আনতে।আর ওই বাড়ির মালিকরা অপেক্ষা করে ছেলেটির আসার জন্য। কিন্তু ৩০ মিনিট পার হয়ে গেল তারপরও ছেলেটির আসার কোন নাম নেই। এরমধ্যে ছেলেটির বাড়ি থেকে অনেক জোরে একটি আওয়াজ আসে। মনে হচ্ছে টিনের উপর কেউ অনেক জোরে ভেঙ্গেচুরে পড়েছে।এখন ওই বাড়ির মালিকরাও ভয় পেয়ে গেল।
চলবে...!!
নেক্সট পার্টে এই ভৌতিক কাহিনীটা শেষ হয়ে যাবে। গল্পটি পড়ে অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

ভূতের গল্প শুনলে আমার কাছে অনেক ভয় লাগে। আসলে ছেলেটি বাড়িতে মনে হয় একা থাকার কারণে তার কাছে ভয় লেগেছে। হয়তোবা অন্য কোন কিছু এসে আওয়াজ করে সেই কারণে ভয় পেয়েছে। প্রতিবেশীরা ভালো বিদায় থাকে তাদের ঘরে থাকার জন্য বলেছে। তবে আমার মনে হয় ছেলেটিকে একা কম্বলের জন্য পাঠানো উচিত হয় নাই। যদিও ভয়ংকর আওয়াজ শোনা গিয়েছে আমার মনে হয় ছেলেটির কোন বড় ধরনের বিপদ হয়েছে। তবে আপনার পরের পর্বে জানতে পারবো কি হয়েছে। আশা করি পরের পর্বটি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
পরবর্তী পর্বে সবকিছুই জানতে পারবেন আপু। গল্পটি পড়ে মতামত দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভৌতিক গল্প গুলো জানার ও শোনার অনেক আগ্রহ আমার।ভুতকে ভীষণ ভয় পাই আমি।ছেলেটিকে একা পেয়ে ভুতের দল নিশ্চই ভয় দেখাতে এসেছিল।ছেলেটি ভয় পেয়ে পাশের বাড়িতে ঘুমাতে গিয়ে বাড়িতে কম্বল নিতে এসে ৩০ মিনিট হয়ে গেলো ফিরল না আবার ভয়ংকর আওয়াজ পেলো পাশের বাড়ির লোকজনরা।ভীষণ ভয়ংকর গল্প মনে হচ্ছে। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সত্য ঘটনা থেকে লেখা এই গল্পটি। আগামী পর্বে সবকিছুই জানতে পারবেন আপু।
শুরুতেই থামিয়ে দিলেন আপু 🙆♂️। নিশ্চয় ছেলেটির সাথে খারাপ কিছু হয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় আপু
পরবর্তী পর্ব খুব দ্রুতই পাবেন ভাইয়া।
ভুতের গল্পটি পড়ে আমার কাছে আসলেই খুবই ভয় লেগেছে। তবে প্রতিবেশী ছেলেটিকে একা একা কম্বল আনার জন্য বাড়িতে পাঠানো ঠিক হয়নি। ৩০ মিনিট হয়ে গেল কিন্তু ছেলেটি বাড়ি ফিরল না এটা শুনে আমার কাছে খুবই ভয় লেগেছে। যাইহোক আপনার গল্পটি খুবই ভয়ানক ছিল। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভয়ের গল্প পড়ে ভয় না পেলে কোন আকর্ষণ থাকেনা পড়ার প্রতি। মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি অনেক সুন্দর গল্প লিখতে পারেন।আমি এই গল্পটি পড়ে সত্যিই অনেক ভয় পেয়েছি।ছেলেটি কি কম্বল নিয়ে আর ফিরে আসতে পারেনি? নাকি অন্যকিছু হয়েছিল? অনেক জানতে ইচ্ছা করছে।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকুন। খুব দ্রুতই পরবর্তী পার্টটি পাবেন।
খুব সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন আপনি। আপনার কাছ থেকে সুন্দর গল্পটি পড়তে পেরে খুব ভালো লাগলো৷ ভৌতিক গল্পগুলো পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে৷ ছোটবেলায় এরকম ভুতের কোন কিছুকেই অনেক ভয় পেতাম৷ আর এখন সে ভৌতিক জিনিসগুলো শুধু পড়তে এবং দেখতে ইচ্ছে করে৷ আপনার এই গল্পের মধ্যে এই ছেলেটি আর ফিরতে পেরেছিল নাকি তার সাথে কোন খারাপ কিছু হয়ে গিয়েছিল৷ তা পরবর্তী পর্বগুলোতে জানার আশায় রইলাম৷
ছেলেটির সাথে পরবর্তীতে কি হয়েছিল এটা নেক্সট পার্টে অবশ্যই জানতে পারবেন ভাইয়া।