বেশ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। রেনডম ফটোগ্রাফি ধারণ করতে বেশ ভালো লাগে এবং শেয়ার করতে ভালো লাগে। দৈনন্দিন জীবন যেন হয়ে গেছে ফটো ধারণ করার মন-মানসিকতা। মনের অজান্তে যখনই কোন কিছু ভালো লাগার দেখি তখনই ফটো ধারণ করে ফেলি। কখনো ফটো ধারণ করতে আর রেডি হওয়া লাগে না। যেমন খিদে লাগলে খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে যেতে হয়, ঘুম আসলে ঘুমিয়ে পড়ি। ফটো ধারণ করাটাও ঠিক তেমনি দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিশে গেছে। মনের অজান্তে ভালোলাগার কোন কিছু চোখের সামনে আসলেই চলতি পথে তা ধারণ করে ফেলি। ঠিক তেমনি কিছু আপনাদের মাঝে আর শেয়ার করছি। যেখানে কয়েকদিন আগে ধারণ করা এবং আজকের ধারণ করা একদম ফটোগ্রাফি রয়েছে। আশা করব সমস্ত ফটোগুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং বিভিন্ন পর্যায়ের ধারণা দেবে।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
আপনারা এই ফটোটার মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন, ফসলের মাঠের পাশে এক পাল ভেড়া চরাই করছে। সেখানে একজন মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছেন যিনি ভেড়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। সবুজ প্রকৃতির মাঝে এমন সুন্দর পশুর খাবার খাওয়ার মুহূর্ত দেখতে বেশ ভালো লাগে। আকাশে হালকা হালকা মেঘ পরিবেশটাও কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন ও বৃষ্টি হওয়ার পরবর্তী মুহূর্ত হাওয়ায় ফটোটা মনোমুগ্ধকর ছিল। আর তার সামনে পুকুরের অংশে পাট যা দেওয়ার রয়েছে। এ পাশে রয়েছে একটি পুকুর পাহারা দেওয়া ঘর। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি জায়গা। বিকেলে ঘোরাঘুরি করার জন্য উপযুক্ত মনোরম পরিবেশ এটা।
আজকে বৃষ্টির পর আমি যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে গেটের বাইরে উপস্থিত হলাম। তখন লক্ষ্য করে দেখছি একটা বড় কাঁকড়া পুকুর থেকে উঠে এসে হেঁটে বেড়াচ্ছে। তবে ওই মুহূর্তে আমি দ্রুত বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম বলে ভালোভাবে তার সাথে আনন্দ করা হয়নি বা ভিডিও ফটো ধারণ করা হয়নি। সময় থাকলে ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করতাম।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন শীতকালীন শাকসবজি। যেখানে গাজর পালং শাক মূলা সব রয়েছে। শীতের সময় আমার এক ভাগিনার বাগান থেকে ধারণ করেছিলাম এই ফটোটা। হয়তো এবারও সে এই জায়গায় এই সমস্ত শাকসবজি উৎপাদন করবে।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন শিমের অনেক সুন্দর একটি ফুল। আমার সবজি বাগানের মধ্যে যখন এ সমস্ত শাক সবজির ফুলগুলো ফুটে থাকে খুবই ভালো লাগে দেখতে। তবে আজকে লক্ষ্য করে দেখেছিলাম আমার সেই বাগানের মধ্যে অনেকগুলো সরিষা ফুল ফুটে আছে। চেষ্টা করব সেখান থেকে ফটো ধারণ করে আপনাদের দেখানোর।
বৃষ্টি ভেজা রঙ্গন ফুল। আজকে দুপুরে বিকালে আমাদের এখানে বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। তেলপাম থেকে মোটরসাইকেলের তেল নেওয়ার সময় বামুন্দি বাজারে এ ফটোটা ধারণ করেছিলাম। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে দারুন বৃষ্টি হয়েছিল। বাজারে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টির জন্য থেমে থাকতে হয়েছিল আমাদের।
এটা ঢাকা সাভারের বিশ মাইল ফ্লাইওভার। যেখানে প্রচন্ড গরমের মুহূর্তে শীতল বাতাস পাওয়ার জন্য বেশ অপেক্ষা করেছি। এদিক সেদিকে বেড়াতে গিয়ে এখানে এসে কিছুটা সময় অতিক্রম করেছে। যথেষ্ট স্মৃতি লেগে রয়েছে এই জায়গায়।
দেশের যেখানে যায় না কেন নিজের গ্রামের মতো ভালো লাগার স্থান কোথাও নেই। পাড়া গায়ে যত মানুষের সাথেই হিংসা বিদ্বেষ থাকুক না কেন, রাগারাগি থাকুক না কেন তার পরেও যেন অন্যরকম একটা টান থাকে। তাইতো বারবার ছুটে যায় ফসলের মাঠের দিকে। আর এমন ঘন সবুজে ঢাকা ফসলের মাঠে অন্যরকম প্রশান্তি খুঁজে পায়। এটা ধানের মাঠের সুন্দর এক চিত্র। ঘন সবুজ এই ধানের গাছ জেনো মা মাটির কথা বলে।
আজকে বামুন্দিবাজারে কেনাকাটার মুহূর্তে দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টির কবলে পড়ে, একটি দোকানের মধ্যে বসে থাকা। সেই মুহূর্তে লক্ষ্য করে দেখছিলাম আমার মত অনেক মানুষ যারা উপস্থিত হয়েছিল এই বাজারে এবং কেনাকাটার সময় দোকানের মধ্যে থেমে রয়েছে। তবে দোকানের কিছু জিনিস যেগুলো বাইরে কাস্টমারদের দেখানো হয় সে সমস্ত জিনিসগুলো কিন্তু বাইরে গেছে। চিত্রে ঠিক এমনই কিছু প্লাস্টিক নেট লক্ষ্য করেছেন। বৃষ্টি হওয়ার মুহূর্তে ধারণ করা ফটোর দৃশ্যপট গুলো বেশ ভালো লাগছিল।
এই মুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তেল পাম্পের চিত্র। যেখান থেকে মোটরসাইকেলের তেল নেওয়ার হয়েছিল। তা বৃষ্টির কারণে কিছুটা সময় আমরা পাম্পে অবস্থান করেছিলাম। আমাদের মত অনেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান করেছিল সেখানে। অনেকের মোটরসাইকেলে তেল লোড করার জন্য এসেছিল আবার অনেকেই বৃষ্টির পানি থেকে সেভে থাকার জন্য সেখানে এসে দাঁড়িয়েছিল। আর সেই বৃষ্টির মেঘ এখনো যেন শব্দ করে চলেছে। দিনে মেঘের গর্জন কম ছিল কিন্তু এখন রাত ১১ঃ০০ টার মুহূর্তে যেন সারা দিনের মেঘের শব্দ এখন কানে আসছে।
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরিচয় | বিশেষ তথ্য |
---|---|
বিষয় | রেনডম ফটোগ্রাফি |
নাম | @sumon09 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ভেড়া চড়ানোর দৃশ্য টা বেশ চমৎকার লাগছে। আমি কখনো এগুলো করিনি সেজন্য বেশ কঠিন কাজ মনে হয় আমার কাছে এই ভেড়াগুলো নিয়ন্ত্রণ করা। আপনার পোস্টের অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর করেছেন ভাই। সবমিলিয়ে চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
মন্তব্য দেখে মন ছুয়ে গেল।
আজকে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ একের পর এক ফটোগ্রাফি গুলো যখন দেখছিলাম তখন অনেক ভালো লাগছিল৷ এখানে আপনি ফটোগ্রাফির মধ্যে অনেকগুলো সুন্দর কিছু বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন। একের পর এক ফটোগ্রাফি গুলো যখন দেখছিলাম তখন অনেক ভালো লাগছিল ৷ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
ভাল লাগাতে পেরেছি জেনে খুশি হলাম
রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট মানেই বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ। আজকে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।বিশেষ করে ধান ক্ষেতের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখন কার ধান ক্ষেত গুলো বেশ ভালো লাগে।
আজকে তো দেখছি সবাই খুব দারুণ দারুণ ফটোগ্রাফি নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে। আসলে এখানের প্রতিটা ছবি আমার খুব ভালো লেগেছে। যদিও ছবিগুলো একটু সাধারণ প্রকৃতির হলেও এর মর্মার্থ কিন্তু অনেক গভীর। কেননা এই গ্রাম বাংলার ছবি সত্যিই আমার মনকে টেনে নিয়ে বেড়ায়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ছবিগুলোর বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
চেষ্টা করি দাদা বিভিন্ন পর্যায়ের সুন্দর ফটো ধারণ করতে
বাহ ভাইয়া অনেক সুন্দর করে সব গুলো ফটোগ্রাফি করেছে আপনি দেখছি।আপনার তোলা রেনডম ফটোগ্রাফি আমার থেকে সব চেয়ে ভালো লেগেছে বৃষ্টিতে ভিজা রঈন ফুল টা।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই কাঁকড়ার ছবি টি অনেক সুন্দর হয়েছে। এছাড়া অন্য ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
বাহ্ আপনি আজকে দারুণ দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আসলে এমন ভিন্ন ভিন্ন রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে সবুজ ফসলের ফটোগ্রাফি টি দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ভালো লাগলো ভাই মন্তব্য দেখে
ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আজকে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ধান গাছ। সেই সাথে কাঁকড়ার ফটোগ্রাফি দেখতে কি ভালো লাগলো। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
অবুঝ মাঠের ফটোগ্রাফিটি চমৎকার হয়েছে। আর অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলোও দুর্দান্ত হয়েছে। চমৎকারভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাই।
বেশি দারুন মন্তব্য করেছেন