পলাশ ফুলের সৌন্দর্য
হাই বন্ধুরা! কেমন আছেন সবাই? আশা করি, আপনারা সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ, আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগের সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি নতুন পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি পলাশ ফুলের কয়েকটা ফটোগ্রাফি নিয়ে। আশাকরি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
ফুল মানেই সুন্দর সেটা যেই ফুলই হোক না কেন। যে কোন ফুলের মধ্যেই যেন আলাদা রকম সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকেন। আমার কাছে তো সব ফুলই খুবই ভালো লাগে। ঠিক তেমনি করে পলাশ ফুল ও আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পলাশ ফুল খুব কম দেখেছি আমি। আমাদের বাসা থেকে ২০ মাইল যেতে জাহাঙ্গীরনগর এরিয়ার মধ্যে বেশ কয়েকটি গাছ আছে। গত বছর দেখেছি পলাশ ফুল তবে ফটোগ্রাফি করা হয় নাই। আমার বাংলা ব্লগে আসার পর থেকে ফটোগ্রাফি যেন একটা নেশার মতো হয়ে গেছে। যে কোন ফুল বা অন্য যেকোনো জিনিসের ফটোগ্রাফি করা এগুলা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। হয়তো এ বছরও ফটোগ্রাফি করা হতো না যদি আমার বাংলা ব্লগের একজন মেম্বার না হতাম। তাই আবার বাংলা ব্লগে আসার পর নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। ফটোগ্রাফি করতে আমার আগে থেকেই ভালো লাগতো তবে এখানে আসার পর ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে গেছে।
গাছের নিচে অনেক ফুল পড়ে ছিল। আর আমি বেশ কিছু ফুল কুড়িয়ে নিলাম। ফুল কুড়াতে কুড়াতে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় আমাদের বাসার পাশে শিউলি ফুলের গাছ ছিল সেখান ফুল কুড়াতে যেতাম। শিউলি ফুল তো শীতের সময় হতো সে সময় ভোরের বেলা আম্মু বাহিরে যেতে দিত না তারপরও চুরি করে বাহিরে যেয়ে ফুল কুড়িয়ে নিয়ে আসতাম।তো পলাশ গাছের নিচে থেকে আমি বেশ কিছু ফুল কুড়িয়ে নিলাম। ফুল কুড়ানো শেষ হলে হাতে নিয়ে বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে। ফুল হাতে নিয়ে আমার ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালো লাগে। মাঝে মাঝে দেখা যায় কোন একটা ফুল দেখলেই হাতে নিয়ে ফটোগ্রাফি করি। কেন জানিনা ফুল একটু আমার বেশি ভালো লাগে। ফুল পছন্দ করি বলে মাঝে মাঝে আমার হাজব্যান্ড ও অফিস থেকে ফেরার পথে আমার জন্য ফুল নিয়ে আশে।ছোট ছোট উপহারগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে ফুল জিনিসটা পেলে আমার আরো বেশি ভালো লাগে।
পলাশ ফুলের গাছটা অনেক বেশি বড় ছিল। গাছের পাশে বড় একটি ফিল্ড ছিল। বিকেলটা হয়েছিল সেজন্য ফিল্ডে অনেক ছেলেরা ফুটবল খেলছিল। যার কারণে গাছের সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করতে পারে নাই। এখন তো বসন্তের সময় আর সব গাছের পাতা ঝরে যায় সেগুলো দেখতেও ভালো লাগে। পলাশ ফুল গাছের ও সব পাতা ঝরে গিয়েছে কিন্তু ফুল আছে গাছে। দেখতে খুবই চমৎকার লাগছিল। ফুলের সৌন্দর্য কথা বললে আসলে শেষ হবে না। ফুল এমন একটি জিনিস যার মায়া ভালোবাসার সবকিছু লুকিয়ে আছে। ফুলের মধ্যে থেকেই ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। কেননা কেউ যদি একটি ফুল দেয় তার প্রতি আলাদা রকম ভালোবাসা কাজ করে। বসন্তের সময় এসে গেছি কিন্তু তেমন বাহিরে যাওয়া হতো না। তাই আমি আমার হাজব্যান্ড কে বলে একটু বাহিরে বের হলাম দুজন একসাথে বিকেল বেলা। বাহিরের পরিবেশটা এত বেশি সুন্দর ছিল। গাছের পাতা ছিলনা তার ওপর হালকা বাতাস হচ্ছিল বিকেলটা বেশ সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পেরেছিলাম।
Camera: Realme note50-13mp
What3words location
বিশেষ বিশেষ তথ্য
ফটোগ্রাফি | রেনডম |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ক্যামেরা | realme note50-13mp |
আমার লোকেশন | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @sumiya23 |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
আমার ব্লগটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
আমি মোছাঃ সুমাইয়া, আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা সাভার, বিশ-মাইল। আমি বিবাহিত,একজন কলেজ ছাত্রী। আমার হাজব্যান্ড একজন বেসরকারি চাকুরীজীবী।আমি বর্তমান ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে অধ্যয়নরত রয়েছি। আমার কলেজের নাম বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা সাভার। আমরা দুই ভাই বোন। আমার @sumiya23 স্টিমিট আইডির নাম।
আজকের টাস্ক
আপনার মত আমিও ফটোগ্রাফি করতে ভালবাসতাম তবে খুব একটা ফটোগ্রাফি করা হতো না। আমার বাংলা ব্লগে আসার পর ফটোগ্রাফি করা একটা নেশা হয়ে গেছে। এখন যে কোনো সুন্দর কিছু দেখলেই ফটোগ্রাফি করে রাখতে ইচ্ছে করে। আপনাদের বাড়ি থেকে জাহাঙ্গীরনগর যাওয়ার পথে খুব সুন্দর পলাশ ফুলের গাছ রয়েছে দেখছি।বসন্তের অন্যতম সৌন্দর্য হলো পলাশ ফুল। ফটোগ্রাফিতে চমৎকার কিছু পলাশ ফুল দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
ফটোগ্রাফি করতে কার না ভালো লাগে। আমি অনেক পছন্দ করে থাকি বিভিন্ন ফুলের ফটোগ্রাফি করতে। অনেক অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে।
খুব সুন্দর একটি জায়গাতে গিয়ে পলাশ ফুলের অনুভূতি শেয়ার করলেন। গাছটা বেশ বড়ই দেখলাম। পলাশ ফুল এমনিতেও অনেক সুন্দর। গ্রামের স্কুলে পড়ার সময় পলাশ ফুল করিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতাম। খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন।