কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৫ শে ফেব্রুয়ারি,মঙ্গলবার, ২০২৫খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আজ আমি একগুচ্ছ ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছে। আমি মূলত বেশিরভাগ সময় প্রকৃতি এবং ফুলের ফটোগ্রাফি বেশি শেয়ার করে থাকি। আজ আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।এখন আমার ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালো লাগে। যেখানে যা দেখি তাই ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে পছন্দ করি। ফটোগ্রাফি করার মধ্যেও যে আলাদা রকম ভালোলাগা রয়েছে সেটা এখন বুঝতে পারি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সময় ক্যাপচার করা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে চলেছি। চলুন তাহলে আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসা যাক।
ফটোগ্রাফি নং-১
ডিভাইস: গুগোল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে পাতাবাহারের ফটোগ্রাফি। এই পাতাবাহারের কাজগুলো মূলত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য রোপন করা হয়। অফিস আদালত কিংবা যেকোনো সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এ পাতা বাহারের গাছগুলো বেশি দেখা যায়। অনেকে আবার শখ করে বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এই গাছ লাগান। এই পাতাবাহার গাছ গুলো দেখতে ভারী সুন্দর লাগে। এই পাতা বাহারের ফটোগ্রাফি আমি আমাদের ক্যাম্পাস থেকে ক্যাপচার করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি নং-২
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ:২৯ নভেম্বর ২০২৪খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি তে রয়েছে সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফিটি অনেকদিন আগে ক্যাপচার করেছিলাম। বোনকে নিয়ে রবীন্দ্র লালন উদ্যানে ঘুরতে গিয়ে এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। যখন ফটোগ্রাফি করেছিলাম তখন সূর্যাস্তের অনেক দেরি ছিলো।তবে সূর্য আস্তে আস্তে পাটে যাচ্ছিলো সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করেছি। আকাশে হালকা মেঘ ছিল। মেঘগুলো সব ভেসে বেড়াচ্ছে দেখতে ভারী চমৎকার লাগছে।
ফটোগ্রাফি নং-৩
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে আরো একটি সুন্দর গাছ। তবে এটি কিসের গাছ আমার জানা নেই। আমাদের ক্যাম্পাসে অনেক ধরনের গাছ রয়েছে। সে গাছগুলোর মধ্যে থেকেই এটি আমি ক্যাপচার করেছিলাম। টবে লাগানো এই সুন্দর গাছ গুলো গ্রিলের ফাঁকা দিয়ে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। শখের বশেই এই সুন্দর ফটোগ্রাফিটি আমি ক্যাপচার করেছিলাম। এটি কিসের গাছ বা পাতা কেউ জেনে থাকলে কমেন্টে জানাবেন।
ফটোগ্রাফি নং-৪
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো।
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে পূর্ণিমার চাঁদের ফটোগ্রাফি। জানুয়ারি মাসে আমরা সবাই মিলে গ্রামে পিকনিক করেছিলাম সেটা তো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। পিকনিকে দিন ছিল পূর্ণিমা। সবাই মিলে রান্না করার সময় এই পূর্ণিমার চাঁদ আমার চোখে পড়ে। কাঁঠালের পাতার পাশ দিয়ে পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে ভারী মিষ্টি লাগছিলো। তখনই আমি এই সুন্দর চাঁদের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। পূর্ণিমার চাঁদ এমনিতেই অনেক ভালো লাগে। পূর্ণিমা দিনে চাঁদ একেবারে পুরোপুরি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
ফটোগ্রাফি নং-৫
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে হাওয়াই মিঠাই এর ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফিটি আমি মেলা থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। মেলা কিংবা যেকোনো অনুষ্ঠান মুখর পরিবেশে এরকম হাওয়ায় মিঠাই বিক্রি করতে দেখা যায়। হাওয়াই মিঠাইয়ের ম্যাজিক্যাল স্বাদ আমার খুব ভালো লাগে। মুখে দিলেই নাই ব্যাপারটা দারুন। আমি ব্যক্তিগতভাবে হাওয়াই মিঠাই অনেক পছন্দ করি। এরকম লাঠি ভর্তি করে হাওয়ায় মিঠাই দেখতে বেশ ভালোই লাগে।
ফটোগ্রাফি নং-৬
ডিভাইস:গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে রাতের শহরে ফটোগ্রাফি। এবারে পিসিমণির বাসা থেকে যখন রাতের বেলা ফিরছিলাম তখন এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। কুষ্টিয়ার প্রধান সড়ক অর্থাৎ ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া সড়কের সুন্দর আলোকসজ্জা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে কুষ্টিয়া এন এস রোড আলোকসজ্জা দিক থেকে সেরা। রাতের বেলা এন এস রোড দিয়ে হাঁটতে অপূর্ব রকম ভালো লাগা কাজ করে। এ ফটোগ্রাফিটি আমি কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ প্রধান সরক থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। চলন্ত রিক্সায় এরকম দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগছিলো।
ফটোগ্রাফি নং-৭
ডিভাইস:গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে কয়েকটি বেলুনের ফটোগ্রাফি। বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা প্রত্যেকেই প্রায় বেলুন খুব পছন্দ করে। এখন তো আবার সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে ঝিলমিল বেলুন। এগুলা ঝিলমিল বেলুন ছিল না এমনি নরমাল বেলুন ছিলো।মেলায় গেলে দেখা যায় এরকম কাঠি করে অনেকে বেলুন বিক্রি করে। এই ফটোগ্রাফিটি আমি মেলা থেকেই ক্যাপচার করে ছিলাম। লাল রঙের এই লাল বেলুনগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো।
ফটোগ্রাফি নং-৮
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ:০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার সর্বশেষ ফটোগ্রাফি তে রয়েছে সাদা রংয়ের হাঁসের ফটোগ্রাফি। হাঁসতো অনেকগুলো রঙেরই হয়ে থাকে তবে আমার কাছে সাদা রঙের হাঁস বেশি ভালো লাগে। পুকুরে জলের মধ্যে অনেকগুলো হাঁস একসাথে ঘুরছিল।দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিলো।আমি এখানে একটি হাঁসের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। অনেকগুলো হাঁসের একসাথে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে আছে। পরবর্তীতে সেগুলো শেয়ার করবো।এই ফটোগ্রাফিটি আমি কুষ্টিয়া রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলো অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজ এই পর্যন্তই।
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা দেখে আমি রীতিমতো অবাক। আপনি খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি করতে পারেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। বিশেষ করে সূর্যাস্ত এবং পাতাবাহার গাছের ফটোগ্রাফি আলাদা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। এত চমৎকার ও আকর্ষণীয় ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুবই চমৎকার হয়েছে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি একেকটা একেক রকম সুন্দর। ফটোগ্রাফি করা আসলেই সহজ নয় অনেক কিছু ঠিকঠাক করে ছবিকে সুন্দর এবং ছবিকে ভালোভাবে উপস্থাপন করা যায়।আপনার দক্ষতা আছে বলতে হবে। আপনার প্রতিভা ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমার সব থেকে ভালো লেগেছে দুই নম্বর ফটোগ্রাফিটি।
ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
দারুন দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি গুলো আপনি উপস্থাপন করেছেন। দেখে ভালো লাগলো আপু।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমি সব সময় দেখে থাকি। আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে। আজকেও দারুণ দেখতে ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। যেগুলো দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছে। আমার কাছে তো প্রথম দুইটা ফটোগ্রাফি একটু বেশি ভালো লেগেছে দেখতে।
বরাবরই দারুণ সব ফটোগ্রাফি করেন আপনি। এবারেও চমৎকার ফটোগ্রাফি পোস্ট উপহার দিলেন সব্বাইকে৷ প্রতিটা ছবিই মুগ্ধ হয়ে দেখলাম। কী অসাধারণ সব ছবি। আসলে মুহুর্তগুলোই এমন চমৎকার।
রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে সব সময় ভীষণ ভালো লাগে। একই পোস্টে নানা রকমের ফটোগ্রাফি দেখা যায়। এজন্য রেনডম ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লাগে। আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আজ শেয়ার করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা পূর্ণিমার চাঁদের ফটোগ্রাফী টি একটু বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়া ও বাকি সব ফটোগ্রাফী বেশ দারুন হয়েছে আপু।
পূর্ণিমা রাত ফটোগ্রাফি থেকে উপভোগ করতে বেশি ভালো লাগে। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার ফটোগ্রাফি বরাবরই দারুণ হয়। অনেকদিন পর হাওয়াই মিঠাই দেখলাম। কতদিন হলো খাওয়া হয় না। তাছাড়া পূর্ণিমার চাদঁ, পাতার ফটোগ্রাফিটাও দারুণ লেগেছে আমার কাছে।
অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু। সত্যি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় প্রশংসনীয়। এত সুন্দর ভাবে দক্ষতা দিয়ে ক্যাপচার করেন আপনি যেটা শেয়ার করেন না কেন আমার কাছে খুব ভালো লাগে দেখতে। আজকের শেয়ার করা সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি তাছাড়া ও সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।