সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আজকে বেশ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের দেখাবো। আশা করব, আমার ফটোগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রথমে আপনারা যে ফটোগ্রাফি দেখছেন, এগুলো সরিষা ফুল। বছরের শুরুতেই সরিষা ফুলের ক্ষেতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সবুজের বুক জুড়ে যেন হলুদ ফুলের সমারোহ। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ ফুল। ফুলের বুকে অনেক মৌমাছি প্রজাপতি সহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গের মেলা। যে যার মত ফুলের বুকে বসে মধু আহরণ করায় ব্যস্ত। আমিও সেই মুহূর্তে ফটোগ্রাফি ধারণ করার জন্য উপস্থিত। শুধু যে ফুলের ফটোগ্রাফি তা কিন্তু নয়। অন্যরকম মনের প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছিলাম এই সুন্দর ফুলের পাশে অবস্থান করে। তাই চেষ্টা করছিলাম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে মোবাইলের গ্যালারি টা সুন্দর করে রাঙিয়ে তুলতে। আজকে সুযোগ হলো সুন্দর এই ফুলটা আপনাদের মাঝে দেখাতে পারলাম।
এবার ফটোগ্রাফিতে আপনারা একটি মরিচ লক্ষ্য করছেন। মরিচ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আমি যতটা জানি, এই মরিচগুলোকে আকাশি মরিচ বা আকাশি ঝাল বলে থাকে। এগুলো প্রচন্ড পরিমাণ ঝাল হয়ে থাকে। এত সুন্দর ভাবে পেকে রয়েছে দেখে ভালো লাগছিল। তাই সুন্দরভাবে ফটোটা ধারণ করার চেষ্টা করেছিলাম আমি। আসলে শাকসবজি জিনিসগুলো এমনই হয়। কাঁচা অবস্থায় এক রঙ, পেকে গেলে আর এক রং ধারণ করে।
এখন আপনারা দেখছেন অনেক সুন্দর একটি বিল্ডিং নির্মাণ হচ্ছে। পথে যেতে বারবার এই বিল্ডিংটা চোখে পড়ে। তাই অনেক সুন্দরভাবে ফটো ধারণ করার চেষ্টা করেছিলাম। গাছের পাতার আড়াল থেকে বিল্ডিং টা দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল। এরই মধ্য দিয়ে কারও স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। আমরা সবাই কোন না কোন আশা নিয়ে বেঁচে থাকি। ভবিষ্যতে অনেক কিছু করবো এমন স্বপ্ন দেখি। যারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে তখন সুন্দর একটা শীতল অনুভূতি মনের মধ্যে দোলা দেয়।
আমাদের বাসাটা কবরস্থান রোড হয়ে। পান ধোয়া গ্রামের বেশ কয়েকটা রাস্তা রয়েছে। আমাদের বাসার এপাশে কবরস্থান থাকায় মানুষকে সহজে চিনিয়ে দেয়ার জন্য এই সাইনবোর্ড লাগিয়ে রাখা হয়েছে। এতে করে মানুষজন খুব সহজেই বুঝে নিতে পারে এই পাশে কবরস্থান রয়েছে পান্ধয়া গ্রামের। তাই শহর থেকে ফিরতেই যখন গাড়িতে ওঠা হয় তখন খুব সহজে গাড়িওয়ালাদের বলে দেওয়া হয় কবরস্থান রোড যাবো। উনারাও খুব সহজেই সঠিক গলি হয়ে নিয়ে চলে আসতে পারে। তাই আমি মনে করি এ সাইনবোর্ড টা অনেকের জন্য যথেষ্ট উপকারী হয়ে উঠেছে।
গাড়ির মধ্য থেকে সংসদ ভবনের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। যখন রাস্তার উপর দিয়ে গাড়ি রানিং ছিল তখন সামনেই একটি রাস্তা গতিরোধক বিট রয়েছে। সেখানে লক্ষ্য করে দেখেছিলাম বেশ কিছু গাড়ির কারণে আমাদের গাড়িটা হালকা কন্ট্রোল করা হয় আর রাস্তার বিট ক্রস করা হয়। সেই সুযোগে আমিও সংসদ ভবনের ফটো ধারণ করে নিয়েছিলাম। সেই ছোটবেলায় কত এসেছি ঘুরেছি, এখন যেন সেভাবে আর আশায় হয় না। শুধু রাস্তা দিয়ে চলাচল করার মুহূর্তেই তাকিয়ে যতটা দেখা হয়।
নদীতে চলমান ফেরির উপর থেকে ফটোগ্রাফিটা ধারণ করেছিলাম। এটা পদ্মা নদী। মানিকগঞ্জ থেকে রাজবাড়ীর দিকে অগ্রসর হতেই ফেরি পার হতে হয়। অনেকে দোলোদিয়ার ঘাট নামে চিনে থাকেন। নদীর বুকে যে কোন কিছুতে উঠে ভেসে বেড়াতে ভালো লাগে। প্রায় মেহেরপুর হতে ঢাকায় চলাচলের মুহূর্তে এই নদীতে ফেরি পার হতে হয়। বিকল্প দুইটা পথ রয়েছে। এক নম্বরের যমুনা সেতু, ২ নম্বরে পদ্মা সেতু। এই সেতুগুলো দিয়ে পার হওয়ায় বেশি দেরি হয়ে যায়। সবচেয়ে শর্ট রাস্তা এবং জ্যাম মুক্ত পথ হিসাবে ফেরি পারাপার টা আমাদের জন্য বেশি উপযুক্ত। যাই হোক ফেরি পার হওয়ার মুহূর্তে লক্ষ্য করে দেখেছিলাম নদীর মাঝখানে বালির চর পড়েছে। অনেক ভালো লাগছিল এমন দৃশ্য দেখে।
ফটোগ্রাফি | রেনডম |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
চমৎকার কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। সরিষা ফুলের এরকম ফটোগ্রাফি দেখে এক টুকরো শান্তি খুঁজে পেলাম। এতগুলো ফুলের মাঝে সময় কাটালে যেন এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। এখন গরম চলে এসেছে। সরিষা ফুলের এখন দেখা পাওয়া যায় না। তবে ফটোগ্রাফিতে এরকম সুন্দর সরিষা ফুল সত্যি অসাধারণ লাগছে। নদী সংসদ ভবন এই ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো বিস্তারিত বর্ণনা সহিত শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আশা করব আপনি এভাবে পাশে থাকবেন আপু।
আমার আজকের টাস্ক
সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম সাজিয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে মনে হচ্ছে আপনি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। আপনি ফটোগ্রাফির পাশাপাশি দারুন বর্ণনাও দিয়েছেন সব মিলিয়ে দারুন হয়েছে ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
আজকে আপনি খুব সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। বিশেষ করে বিল্ডিং এর ফটোগ্রাফি ও পদ্মা নদীর ফটোগ্রাফিটি। তবে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো বার বার দেখতে মন চায়।
বিল্ডিং এর ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছিল
আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো জেনে খুশি হলাম ভাই।
সাতটি ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে আপনি শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটা ফটোগ্রাফি অনেক বেশি দারুন ছিল। বিভিন্ন রকম এলোমেলো ফটোগ্রাফি করলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। এভাবে চেষ্টা করতে থাকলে আরো ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ
আসলে ভাইয়া রেনডম ফটোগ্রাফির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখা যায়। আজকে বিভিন্ন রকম কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। তবে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে সংসদ ভবনের সামনের ফটোগ্রাফিটি বেশি ভালো লাগলো আমার কাছে। চমৎকার ভিন্ন রকম কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
ওয়াও বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি দেখলাম আপনার আজকের শেয়ার করা পোস্টটিতে।ফটোগ্রাফি আমি অনেক ভালোবাসি। আজ কিন্তু আপনার দুর্দান্ত ফটোগ্রাফিগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক অসাধারন ছিল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।