আটটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করব। উপস্থাপনা গুলো অবশ্যই পড়বেন। এতে অনেক কিছু জানতে পারবেন, ভাল লাগবে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টমেটো আমার ফেভারিট সবজি। শীতের সময় আসলে গ্রামেগঞ্জে হাটে বাজারে শহরের সব জায়গায় এসব দেখতে পাওয়া যায়। আমি ছোট থেকে এই সবজি অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি এবং এর সালাদ খেতে ভালবাসি। টমেটো বাজারে দুই রকমে এসে থাকে। ফরমালিন দিয়ে পাকানোর আবার ফসলের মাঠ থেকে টাটকা উঠিয়ে বাজারে পাঠিয়ে দেওয়া। আমি বাজার থেকে যখন টমেটো কি নিয়ে থাকি তখন অনেক যাচাই বাছাই করে দেখি। ফরমালিন দিয়ে পাকানো টমেটো গুলো সব সময় নরম হয়ে থাকে। আর ফসলের মাঠ থেকে উঠিয়ে আনা টমেটোগুলো সব সময় শক্ত মোটাসোটা দেখে বোঝা যায় সুস্থ সব। এখানে ক্যারেটে যেই টমেটোগুলো লক্ষ্য করছি সবগুলোই ফরমালিন মুক্ত মনে হচ্ছিল। বিক্রেতার কাছে জানতে চেয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম নিজের ফসলের জমি থেকে সংরক্ষণ করেই বিক্রয় করতে এনেছেন। আরো বলেছিলেন এখন পেকে যাওয়ার সময়, গাছে প্রচুর ধরেছে। শুধু তুলতে হবে আর বিক্রয় করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বাজারে দাম নেই। আড়োতে মাত্র ৬ টাকা অথবা ৮ টাকা কেজি। সবজি বাজার আর আর আরো একই জায়গায় হওয়ায় বাজার ঘুরে জিনিস কিনতেই এই সুন্দর টমেটো গুলো চোখে বাধছিল।
আমাদের কাঁঠাল গাছে ব্যাপক পরিমাণ কাঁঠাল এসেছে। একদম গোড়া থেকে গাছের আগা পর্যন্ত এমনকি ডালে ডালে অনেক কাঁঠাল ধরেছে। এটা সৃষ্টিকর্তার দেয়া নেয়ামত। আমি প্রায়ই বিভিন্ন জায়গাতে দেখতাম কাঁঠাল গাছে এমন কাঁঠাল ধরতে। তখন মনে মনে ভাবতাম আমাদের গাছে যদি এমন কাঁঠাল হতো তাহলে কতই না ভালো লাগতো। সেটা আজকে সাকসেস হয়েছে।
ফটোগ্রাফিতে আপনারা আমাদের জাতীয় সংসদ ভবন দেখতে পাচ্ছেন। সংসদ ভবনের পাশ দিয়ে চলার মুহুর্তে ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সংসদ ভবনের এরিয়া অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো। সংসদ ভবন দেখতে যেমন ভাল লাগে ঠিক তেমনি ভালো লাগে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বড় বড় গাছের শারি গুলো তো আরো বেশি ভালো লাগে। আমি একদম ছোট গালে আব্বু আম্মু ভাইয়ার সাথে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। এরপর যখন ঢাকা শহরে নিজেদের বাসায় অবস্থান করতাম তখন তো সুযোগ পেলেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেছি। সে সমস্ত স্থানের মধ্যে এটাও কিন্তু অন্যতম একটি স্থান ছিল।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর মানুষদের ক্লাব সহ বিভিন্ন কার্যালয় এখানে। প্রত্যেকদিন এ পথ ধরে আমার চলাচল। এখন যেন ফটোগ্রাফি করে আপনাদের দেখানোর সুযোগ। সারা বছর ধরে পাশের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বাসায় ফিরতে রাত আটটা নয়টা বেজে যায়। চলতি পথে কখনো ভয় মনে করি নাই। কিন্তু এখন যেন দেশের পরিস্থিতির জন্য অনেকটা ভয় নিয়ে চলতে হয়।
আমাদের একটিমাত্র মুরগি রয়েছে। মুরগিটা সকল সাথী হারিয়ে ফেলেছে। আমরা বেশ অনেকদিন গাংনী মেহেরপুরে অবস্থান করেছিলাম। সেখানে আম্মু বেশি দিন অবস্থান করেছিলেন তাই এই মুরগিটা দেখাশোনার লোক ছিল না। কিন্তু সৌভাগ্য সে বাড়ির মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে খাওয়া দাওয়া করেছে, বেচে রয়েছে হারিয়ে যায় নাই। এমনকি এখানে ডিম পেড়ে, ডিম গুলাও যত্ন করে রেখেছে।
ছোটকাল থেকে আমি দুই রকমের প্যাঁচা পাখি চিনি। একটাকে বলা হয় হুতুম পেঁচা। আর একটাকে এমনিতেই স্বাভাবিক প্যাঁচা পাখি নামে চিনে থাকি। এটা সেই প্যাঁচা পাখির বাচ্চা। এ পাখিগুলো কিসির-মিসির করতে থাকে শালিকের মত। তাই ছোটবেলায় দুই ধরনের পাখি নিয়ে আমার কনফিউশন থাকতো। হুতুম পেঁচা আর এই পাখির মধ্যে পার্থক্য করতে আমি মনে রাখতাম একটার মুখমাথা গোল, আর একটা লম্বা। কিছুদিন আগে আমার ছোট ভাইটা পাখির ছানা কোথা থেকে এনে আমার সামনে দেখাচ্ছে। আমি ফটো উঠিয়ে বললাম এটা গাছের ডালে বসিয়ে রাখতে। এর মা এসে নিয়ে যাবে।
আমাদের বাড়ির একমাত্র বিড়াল। আমরা সবাই যখন গাংনী মেহেরপুরে চলে গেছিলাম। বিড়ালটা বাড়ি পাহারা করেছে। সবাই ফিরে আসার পরে দেখি সে এখনো তার মতোই রয়েছে। তবে এটা ভালো লেগেছে যে, মুরগির ডিমগুলো নষ্ট করেনি সে। বাড়িতে বেশ কিছু বাঁশের গাছ রয়েছে। বাসের পাতায় এভাবেই বসে থাকে।
এখন আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পারছেন কাঠ ফাড়ায় করার একটি মেশিনের জায়গা। এটা আমাদের বাসা থেকে সামান্য একটু দূরে। আমি আগে মনে করতাম সুন্দর সুন্দর সাইজের কাঠগুলো কিভাবে গাছ থেকে তৈরি করে। কিন্তু বুদ্ধি জ্ঞান হওয়ার পর থেকে চিন্তা ধারাটা যেন আরও তীব্র হয়ে উঠেছিল। এরপর যখন দেখতে পেরেছিলাম এভাবেই গাছ ফাড়াই করে কাঠ তৈরি করে। তখন বুঝতে পেরেছি আসলে এত বড় বড় গাছগুলো মেশিনের কাছে কিছুই না।
ফটোগ্রাফি | রেনডম |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। কাঁঠাল গাছে কত সুন্দর করে কাঁঠাল ধরেছে এটা দেখে বেশ ভালো লাগছে। আসলে আমাদের নিজেদেরও এরকম গাছ নেই কাঁঠাল ধরার মতো। তবে ছোট ছোট রয়েছে। অন্যের গাছে কাঁঠাল দেখলে খুব ভালোই লাগে। বাকি সব ফটোগ্রাফিগুলোও খুব সুন্দর হয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার আজকের টাস্ক
আটটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম সাজিয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই। আমার কাছে আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি অনেক বেশি ভালো লাগে। তাঁর কারণ আপনি অনেক সময় দিয়ে ধৈর্য ধরে ফটোগ্ৰাফি করেন আপনার ফটোগ্ৰাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে টমেটোর ফটোগ্রাফিটি।
খুব সুন্দর ভাবে মন্তব্য করেছেন ভাই।
এখানে প্রত্যেকেই সাধারণত প্রাকৃতিক দৃশ্য বা ফুলের ছবি শেয়ার করে থাকেন। তবে আপনি যে সমস্ত ছবি শেয়ার করলেন তার বেশিরভাগটাই জীবনের কথা বলছে। ছোট পাখি থেকে মুরগি কাঁঠাল গাছ প্রত্যেকটা ছবি যেমন সুন্দর হয়েছে তেমনি এর অনুভূতি ও আলাদা আলাদা। খুব ভালো লাগলো আজকে আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে।
আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আপনি দারুন দারুন এরকম ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলে পরে আরো ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারবেন। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল, আর দেখতেও খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। আশা করি আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় দেখতে পাবো।
মন্তব্য করেছেন দেখে খুশি হলাম
ভালো লাগার মত চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আজকে আপনি। আপনার রেনডম ফটোগ্রাফির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। তবে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। সুন্দর বর্ণনা দিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।