নয়টি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের রেনডম ফটোগ্রাফি প্রকাশ করব। ফটোগ্রাফি গুলো বেশি আমাদের বাসা থেকে সংরক্ষণ করা। তাহলে চলুন ফটো গুলো দেখি।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি কাঁঠাল অনেক সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছে। কাঁঠাল আমার কাছে অনেক ভালোলাগার একটি ফল। আমাদের বাসায় দুইটা কাঁঠাল গাছে অনেক কাঁঠাল ধরেছে। এই কাঁঠালটা অনেক সাধের হয়ে থাকে। গাছগুলো ছোট হলেও ব্যাপক পরিমাণ ফল হয়। আমি মনে করি বছরের প্রত্যেকটা ফল কম বেশি আমাদের খাওয়া উচিত। আমাদের বাসার পাঁচিলের পাশ দিয়ে দুইটা কাঁঠাল গাছ বেড়ে উঠেছে। এই কাজটাতে কম ধরে। পাশে থাকা আর একটা গাছে ব্যাপক পরিমাণ হয়ে থাকে। এবার অনেক ধরেছে। আমি মনে করব প্রত্যেক গাছের ফল অনেক সাধের হবে। আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকের খাওয়াতে পারব।
এখানে দেখছেন একটি বিড়াল বসে রয়েছে। এই বিড়ালটা আমাদের বাসায় থাকে। আমরা গাংনীর বসাতে চলে গেলেও বিড়ালটা আমাদের বাড়ি পাহারা করে। আমাদের বাড়িতে অনেক বাঁশ গাছ রয়েছে। সেই গাছের পাতা আর আম গাছের পাতা একসাথে পড়ে অনেক স্তূপ হয়ে থাকে। বিড়ালটা শুয়ে থাকার সুবিধা হয় সে পাতার উপরে।
গ্রামের বাসায় ঘুরতে গিয়ে নানাদের গ্রাম থেকে সুন্দর এই ভুট্টা ক্ষেত ফটোগ্রাফি করেছিলাম। গাংনীর বাসাতে প্রায়ই যাওয়া আসা হয়ে থাকে। আর সেই সুযোগে আমি ও চেষ্টা করে থাকি নিজের গ্রামের বাড়িটা এবং নানাদের গ্রামটা একটু ঘুরাঘুরি করতে। আর সে থেকে ফসলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে খুব সহজে। কত সুন্দর ভাবে ভুট্টা গাছগুলো ঘন সবুজ বেড়ে উঠেছে। এমন পরিবেশ গুলো দেখে মনেই বলে না ঢাকায় ফিরে আসি। ফসলের মাঠের অন্যরকম ঘ্রাণ নাকে আসে। এদিকে শীতল বাতাস প্রাণ জুড়িয়ে দেয়।
এ ফটোগ্রাফি তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি তেলাপোকা। তেলাপোকাটা দেয়ালের গায়ে বসে রয়েছে। বাসার চিপাই চাপাই এ জাতীয় অনেক কীটপতঙ্গ দেখা যায়। কীটপতঙ্গের ফটোগ্রাফি করতেও মোটামুটি ভালো লাগে এখন।
নানীদের বাসায় যেতে তিন রাস্তার মোড়ে এমন সুন্দর একটি বটগাছ রয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে আগে আমার চলাচল ছিল অনেক বেশি। যখন চলাচলটা ছিল তখন রাস্তা ছিল কাঁচা। এখন চারিপাশে রাস্তা পাকা হয়ে গেছে। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে কত সুন্দর স্মৃতিময় ছিল এই জায়গাগুলো। নানার হাত ধরে বিদ্যুৎ ভাইয়াদের বাসায় যেতাম। বিদ্যুৎ ভাইয়াদের সাইকেলে চড়ে নানিবাড়ি, খালা বাড়ি, আবার আমাদের বাসায় চলতাম। সেই স্মৃতিময় স্থানের গাছটা এখনো দাঁড়িয়ে আছে আগের মত।
এখন আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন ঝিঁঝিঁ পোকা। শিত আসার আগে এ পোকা গুলো সন্ধ্যা সকালে ধূপের ঝাড়ে ডাকতে থাকে। একটা সময় আমরা বদলায় পানি ভর্তি করে এই ঝিঁঝিঁ পোকার বাসায় পানি ঢালতাম। গর্তের মধ্যে পানি পরিপূর্ণ হয়ে গেলে বার হয়ে লাফিয়ে চলে যেত। কত সুন্দর স্মৃতি ছিল। আগে খেলাধুলা ছিল এসব নিয়ে।
এটা আমাদের বাসার আম গাছ এবং বাঁশবাগান। নানা নিজে হাতে আমাদের ঢাকার এই বাসাতে আম গাছটা লাগিয়েছিলেন। পাশের স্থানে বাঁশ লাগিয়েছিলেন। নানার স্মৃতি ধরে রাখতেই আম্মা বাঁশগুলো এখনো রেখেছে। প্রত্যেক বছর গাছের আশপাশ দিয়ে অনেক বাঁশ বের হয়। রান্নাবান্নার জ্বালানি হিসাবে এই বাঁশ কেটে ব্যবহার করা হয় অনেক সময়।
দীর্ঘ এক মাস ঢাকা সাভারের বাসা ছেড়ে গাংনীর বাসায় উপস্থিত ছিলেন আম্মু। এদিকে আমার প্রত্যেকদিন চলাচল অফিসের দিকে। তাই বাড়িতে থাকা মুরগি হাসের দেখাশোনার লোক ছিল না। কিন্তু মুরগিটা এতটা বুদ্ধিমান। গাছের পাতা বাস্তাব বন্দি করে রাখা হয়েছে। সে পাতার উপর অনেকগুলো ডিম পেড়েছে। এরপর সে পেটের নিচে রেখে বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় বাড়ির বিড়ালটা একটা ডিম নষ্ট করে নাই।
ছোট ভাইটা এতদিন গাংনীর বাসাতে ছিল। আজকে তাকে ঢাকা সাভারের বাসায় ফিরে আনলাম। ভাইটা আম গাছের এই দোলনায় বসে দোল খায়। অনেকদিন ভাইটা গাংনীতে থাকায় বাড়িটা শূন্য ছিল। এখন বাসাতে গেস্ট রয়েছে আমরাও অনেকজন রয়েছি তাই বাড়িটা পরিপূর্ণ ভাবে আগের মত হয়ে উঠেছে। বাড়ির আশেপাশটা পরিষ্কার করা চলছে। তার মাঝখানে ঝুলে রয়েছে দোলনাটা।
ফটোগ্রাফি | রেনডম |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 50 pro |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আমার আজকের টাস্ক
ভালো লাগলো ভাইয়া তোমাদের বাসার সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেরে। পাশাপাশি নানা বাড়িতে যাওয়ার মুহূর্তে ওই বটগাছটার সামনে বাধতো, অনেকদিন পর দেখতে পারলাম বট গাছ। সব মিলিয়ে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আসলে আপনি আজ আমাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আসলে অনেকদিন এই ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শুনতে পাইনা। বিশেষ করে গ্রামের দিকে এই পোকার ডাক বেশি শোনা যায়। এছাড়াও বাকি ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
খুবই খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আর বর্ণনা করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি আর বর্ণনা পড়ে দারুন লেগেছে শেয়ার করা ছাড়া ধন্যবাদ।
আজকে আপনি খুব সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। সত্যি বলতে আপনার এক একটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। এবং ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। তাই অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সব গুলো ফটোগ্রাফি দারুণ। কাঁঠালের মুচি এটি দারুণ দেখে বোঝা যাচ্ছে দ্রত বাড়ো হবে।বিড়ালটি থেকে আমাদের বাড়ির মিনির কথা মনে পড়লো মিনি সেম এরকম বিড়াল ছিলো আমাদের। ভুট্টা চাষ আমাদের এখানেও অনেক হয়েছে এবার।রাস্তার ধারে এরকম বটগাছ সত্যি অসাধারণ। দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি পথিকের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।তেলাপোকা বিরক্তকর পোকা।ঝিঝি পোকা এসময় এতো পরিনাম আওয়াজ ছরায় যে কান ঝালাপালা করে দেয়।আপনার ভাইয়ের দোলনাটি দেখে দোল খেতে মন চাচ্ছে। আপনার নানা নিজ হাতে এই আম গাছ লাগিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।