ভিন্ন ভিন্ন ছবিতে আজকের ব্লগ।রেনডম ফটোগ্রাফি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে বেশ আনন্দ নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সামনে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরব। আজকে আমি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছি এগুলো গুলশানে তোলা।ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি তাই সবসময়ই চেষ্টা করি কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে।আজকের এই ছবিগুলো কিন্তু অসাধারণ দেখতে হয়েছে, নিজের প্রশংসা নিজেই করলাম আরকি, হাহাহা। যাইহোক, সবগুলো ছবির ডিটেলস আমি নিচে লিখে দিলাম।
প্রথমত যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে একটা পাতাবিহীন গাছের ছবি।আসলে আমরা যখন টিবি টেস্ট দেয়ার পর বাইরে অপেক্ষা করছিলাম এবং হাঁটছিলাম তখন এই গাছটি লক্ষ্য করলাম। এই গাছটার মধ্যে কোন পাতা ছিল না, যেন মৃত গাছ দাঁড়িয়ে আছে। আসলে জীবিত নাকি মৃত সেটা একটুও জানা নেই। তবে খুব সুন্দর লেগেছিল বলে এই ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
গাছগুলোকে দেখে মনে হচ্ছিল কলাবতি গাছ তবে আমি শিওর নই এ ফুল গাছটি কলাবতী কাজ কিনা তবে পাতাগুলো একদম কলাগাছের পাতার মতই মনে হচ্ছে আবার কলাবতী গাছের পাতাও কিন্তু এমন হয় গুলশানে প্রতিটি বাড়ির সামনেই দারুন করে ফুল গাছ লাগানো রয়েছে আমাদের হসপিটালের পাশেই বিল্ডিংটা সামনে এই কাজটা ছিল কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম তাই ভাবলাম কিছু ছবি তুলে নেই।
এই যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এই ছবিটাতে দেখা যাচ্ছে গ্লাস হাউজ। বাড়িটার সামনেই একদম বড় করে লেখা আছে। আসলে আমি প্রথমতই দেখে একটু অবাক হয়েছিলাম। কারণ এটি একদম থাই গ্লাসে ভরপুর একটা বিল্ডিং ছিল। সম্পূর্ণটাই গ্লাস দিয়ে তৈরি করা। এজন্য হয়তোবা এর নামকরণ করা হয়েছে গ্লাস হাউস। সরাসরি দেখতে আরো বেশি ভালো লেগেছিল।
এই অংশটাতে একদম খোলামেলা একটা জায়গা। সামনের দিকে ঘাস কেটে সুন্দর করে ডিজাইন করে রাখা।আবার মাটিতে ২টি সাউন্ডবক্সের মত মনে হচ্ছে।পাশেই আবার বড় বড় ৫টি পাথর দিয়ে সাজানো।হাটার উপরেই তুলেছিলাম ছবিগুলো। সকালের দিকে একদম নিস্তব্ধ ছিল চারপাশ।
এখানে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন সাইহাম গ্রুপ লিখা।হয়তো কোনো কোম্পানি হবে,তবে এতোকিছু খেয়াল নেই আমার।আমি তো ফোকাস করেছি তার বিপরীতে থাকা ছোট ছোট গাছগুলোর দিকে।একসারি করে বক্সের মধ্যে গাছগুলো লাগানো।সকাল সকাল যেন গাছগুলো ঘুমাচ্ছে,হাহাহা।
ছবিটি মূলত তুলেছি এই সুন্দর গাছটি দেখে।গাছটা অনেক বড়, আর পাতায় ভরপুর। সবুজ পাতায় ভরে উঠেছে, দেখতেও সুন্দর লাগছিলো।এখানে একটি গাছই ছিল, তবে ডালগুলো ধাপে ধাপে বেড়েছে।চারিদিকে সমান তালে শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে গাছটি উপরের দিকে উঠেছে।
আহ,সেই ক্যাপাসিনো কফি। যাকে খেতে গিয়ে বরারবরের মত ধাক্কা খেলাম,হাহাহা।গুলশানে যদি আমি প্রতিনিয়ত বাইরে খাওয়া দাওয়া করি তাহলে আমি ফকির হয়ে যাব একদম।আমরা ২জন জাস্ট কফিটা খেয়েছিলাম,বিল ছিল ৮৮০ টাকা,মনে হয়।বাকি কিছু খেলে কি অবস্থা হতো কে জানে।তবে কফির কাপটা কিন্তু অনেক বড়, রীতিমত সকাল সকাল আমি ছোট খাটো একটা পুকুর সেচ দিয়েছিলাম মনে হচ্ছিল,হিহি।
এই ছিল সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রেনডম ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপু আপনি আজকে দারুন কয়েকটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম। আপনার তোলা ফটোগ্রাফির মধ্যে বিশেষ করে কলাবতি এবং পাতাবিহীন গাছ আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সবগুলো ফটোগ্রাফি খুব চমৎকার ছিল। আর হাতে যেহেতু সময় ছিল তাই গুলশানের রাস্তায় ফটোগ্রাফি করা হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। ভালো থেকো সবসময় এই কামনা করি।
পরপর ৩বার একদিনে যাওয়া হলো,বনশ্রী থেকে গুলশান।কি যে একটা অবস্থা গেল সেই ২দিন।
গুলশানের রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে শুকনো পাতাওয়ালা গাছ এবং কাঁচের বিল্ডিং এর ফটোগ্রাফি টা খুব সুন্দর হয়েছে। কফি খেয়েছেন তাও আবার গুলশানের মত এলাকার বিল তো ৮৮০ টাকা আসবেই। ভাগ্য ভালো যে আরও বড় কোন রেস্টুরেন্টে যান নি । তাহলে বিল দেখে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে হতো। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে।
আপু,সকাল বেলা খালি পেট নিয়ে ঘুরছিলাম,তাই এটা খোলা পেয়ে চলে গেলাম।রীতিমতো ডাকাতি করে বসলো,হাহাহা।
গুলশানের রাস্তায় কখনো হাঁটা হয়নি তবে সেখানের রাস্তাগুলো খুব সুন্দর তা জানি। আপনার ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। সবগুলো ফটোগ্রাফির খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
নিরিবিলি পরিবেশ থাকে সকাল বেলায়। ভালোই লেগেছিলো।
আপু আপনি আজকে বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ ভালো লেগেছে। প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর করে আপনি ক্যাপচার করেছেন। তবে একটা বিষয় বেশ মজা পেলাম দুই কাপ চায়ের দাম ৮৮০ টাকা। আর কিছু যদি খেতেন তাহলেও আরেকটু বেশি মজা পেতেন 😃😃। যাক পুরা ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে গুলশানে কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের বাইরের কিছু ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। হ্যাঁ আপু এখন রেস্টুরেন্ট গুলোতে একটা জমজমাট ব্যবসা শুরু হয়ে গেছে। আপনার যেখানেই যাবেন প্রত্যেকটা জিনিসের দাম মনে হচ্ছে আকাশ ছোঁয়ার মতো হয়ে গেছে। ভালো থাকবেন আপু শুভকামনা রইল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গুলশানে সবকিছুরই রেট বেশি। এছাড়া একটু ভালো রেস্টুরেন্টগুলো তে খাবারের রেট এমনিতেই বেশি। পুকুর সেচ ভালোই দিয়েছেন তাহলে....😆
প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করেছেন। পাতাবিহীন গাছের ফটোগ্রাফিটা দারুন ছিল।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ছিল বেশ পরিষ্কার এবং বহুতল ভবনের। ক্যাপাচিনো কফির ফটোগ্রাফি টা বেশি ইউনিক ছিল। এবং দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে। এছাড়া পাতাবিহীন গাছ এবং কলাবতি গাছ এর ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।