চটজলদি মজাদার এক বোল স্পাইসি রামেন...
হ্যাল্লো আমার বাংলা ব্লগবাসী। আশা করছি সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভালো আছি। আজ ৩০ শে আগস্ট, ২০২৩। রোজ: বুধবার।
গতকাল সকালে একটু দেরি করে বাসা থেকে বের হয়েছি অফিস এর উদ্দেশ্যে। আগের রাতে খুব ভালো ঘুম হয় নি, তাই মাথা ব্যাথা ছিলো। অফিসেও কাজের প্রেশার ছিলো না খুব একটা। তাই সকালেই অফিসে ইনফর্ম করে দেই যে আমার অফিসে জয়েন করতে একটু লেট হবে। আমার সাধারণত সকালের নাস্তাটাও অফিসে গিয়েই করা হয়। যেহেতু দেরি করে যাবো, তাই ভাবছিলাম কী খেয়ে বের হবো। মনে পড়লো বাসায় রামেন এর প্যাকেট আনা আছে। মনে যখন পড়েছে, রামেনের লোভ তো সামলানো মুশকিল।একদম শর্টকাটে ফাকিবাজি স্টাইলে চটপট রান্না করে ফেললাম মজাদার রামেন। আমি অবশ্য এমনিতেও রান্নাবান্নায় খুব ঝামেলা পছন্দ করি না। শর্টকাট এই সেরে ফেলি। আজ আপনাদের সাথে সেই শর্টকাট ফাকিবাজি রামেনের রেসিপিই শেয়ার করতে হাজির হলাম।
উপকরণ :
- রামেন ১ প্যাকেট
- ডিম ১ টি
- পরিমাণ মতো জল
রন্ধনপ্রণালী
রান্নাটা এতই সহজ যে ধাপে ধাপেও বর্ণনা করতে হবে বলে মনে হয় না। সিম্পলি, প্রথমে কড়াইয়ে পরিমাণমতো (৬০০ গ্রাম) পানি নিয়ে ফুটতে দিবো। পানি ফুটতে শুরু করলে প্যাকেটের রামেনগুলো দিবো। রামেন ভেদে প্যাকেটের গায়েই লেখা থাকে কতক্ষণ ফুটাতে হবে। এইটা ৬ মিনিট লাগে ভালোমতো সেদ্ধ হতে। ৩ মিনিট পর আমি ফুটন্ত পানিতেই একটি ডিম তার উপর হালকা একটু লবণ দিয়ে ভেংগে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেই। আমি একটু স্যুপি টাইপ পছন্দ করি, তাই একটু জল থাকা অবস্থাতেই ৩ মিনিট পরে বাটিতে ঢেলে নেই।
এবারে গরম গরম সেই বাটির মধ্যে প্যাকেটের ভেতরে থাকা সস এবং সিজলিংগুলো মিশিয়ে নিবো। ব্যাস, এক বাটি গরম গরম রামেন খাওয়ার জন্য তৈরি।
পরিবেশন
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
মজাদার রামেন রান্না দেখে তো লোভনীয় লাগতেছে। এধরনের লোভনীয় খাবার গুলো দেখলে খেতে ইচ্ছে করে। ঝটপট মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
রামেন নুডুলস এর অনেক রেসিপি দেখেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি এবং পরিবেশন খেতে ইচ্ছে করছে। একদিন বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপু নুডুলসের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করে ফেললেন মজাদার রামেন।যা দেখেই তো কেটে ইচ্ছা করছে।রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ধাপেধ ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণভাবে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আসলে আপনি একদম ইউনিক পদ্ধতিতে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা এই রেসিপিটির নাম আগে কখনো শুনিনি। তবে রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। আপনার এই সুন্দর রেসিপিটা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আসলে এ জাতীয় রেসিপি গুলো দেখলে লোভ সামলানো বড়ই কঠিন। আর এমনিতেই আমি বেশি পছন্দ করে থাকি এই জাতীয় নুডুলস রান্না তাই যেন লোক সামলানো বড় দায়।
আমি আর অর্থি মিলে এটা খাওয়ার৷ একটা চ্যালেঞ্জ ভিডিও বানিয়েছিলাম। বাপরে ২দিন পর্যন্ত পেটের ভেতর পর্যন্ত জ্বলেছে।তবে আপনার রামেন দেখে আবার খেতে ইচ্ছা জাগছে।অনেক ইয়াম্মি হয়েছে বোঝা যাচ্ছে৷ ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
দেখেছি সেই ভিডিও, গিফটের কিটক্যাট চকলেটটা আবার চোখের সামনে উঁকি দিলো!! আর অর্থীর সে কী পানি খাওয়ার অবস্থা!🤭🤭