রামাদানের প্রথম রোজা করার অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ ১২/০৩/২০২৪) রোজ: মঙ্গলবার
💞 রামাদান মোবারক 🌸
আপনারা সকলে জানেন যে আজকে রামাদানের প্রথম রোজা। আলহামদুলিল্লাহ রমজানের প্রথম রোজা করে মনে অনেক প্রশান্তি লাগছে। ইনশাআল্লাহ ৩০ টি রোজা করবো। আল্লাহতালা যেন এই রমজানে ৩০টি রোজা রাখার তৌফিক দান করেন সকলে বলি আমিন। আজকে আছরের নামাজ শেষ করে হাতে এক ঘন্টা ছিল। আসলে রোজার একটা সময় হচ্ছে এই আসরের পরে সময়টা মনে হয় যেন কোনমতেই পার হচ্ছে না। তবে আজকে তেমনটি হয়নি কারণ আজকে দিনটি খুব সুন্দর ভাবে মানুষ রোজা রাখতে পেরেছে। আলহামদুলিল্লাহ আজকে রোজায় কোন রকম তৃষ্ণাও লাগে নাই। সবই আল্লাহ পাকের রহমত। তবে আছরের নামাজ শেষ করে ওই সময়টুকু পার করার জন্য আমি সাথে একটা ছোট কাকু দুজনে মিলে মাদ্রাসার দিকে একটু গেলাম সময়টা পার করার জন্য। উপরে আপনারা ছবিটিকে দেখতে পাচ্ছেন এটাই হচ্ছে আমাদের গ্রামের মাদ্রাসা এটি সবেমাত্র তৈরি হয়েছে এখনো এর কাজ পরিপূর্ণ হয়নি ধীরে ধীরে হবে এবং এক সবাই বিয়ের সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে আশা করি। আসলে গ্রামে একটি মাদ্রাসা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই আজকের বিকেলে ওই সময়টুকু অর্থাৎ ইফতার করার আগ মুহূর্তটুকু মাদ্রাসায় একটু কাটালাম।
আজকের ইফতারের সময় ছিল ৬: ১৭ মিনিট। তাই ১৫ মিনিট হাতে থাকতেই দুটি দাঁতন ভেঙ্গে দিলাম। রোজায় থেকে এই দাঁতন দিয়ে দাঁত মাজন করা খুবই ভালো এতে নবীজির সুন্নত পালন করা হয়ে থাকে। তাই দুটি দাঁতন ভেঙ্গে দিলাম এবং অপরাধী কাকু মিলে দাতন করার সময় আমি একটি সেলফি ছবি তুলি। যেটা আপনারা উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন। এভাবে দাঁতন করতে করতে বাসায় এসে ওযু শেষ করে পাঞ্জাবি পরে মসজিদের দিকে রওনা দিলাম। কারণ প্রতিবছরই আমাদের মহল্লার মসজিদে ইফতারি দেওয়া হয়ে থাকে। তাই আমাদের আর বাসায় ইফতার করতে হয় না আমরা সবাই একসাথে মিলে ইফতার করি।
গিয়ে দেখতে পেলাম মসজিদে ইফতারের প্যাকেটগুলো তৈরি করা হচ্ছে। মাশাআল্লাহ দৃশ্যটা খুবই ভালো লাগলো তাই আমি আমার ফোনে ধারণ করলাম। এবং আপনার ওপরে ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন মসজিদের কমিটি অর্থাৎ ছোট ছোট বাচ্চারাও রোজাদারদের কাছে এই ইফতারি পৌঁছে দিচ্ছে মাশাআল্লাহ খুবই ভালো লাগলো এমন দেখতে পেয়ে। এইতো আগামী ৫ম রমজান শনিবার আমরা ইফতার দিবো মসজিদের ইনশাআল্লাহ। ইফতার দেওয়া কিন্তু খুবই ফজিলত। কারণ যদি কেউ রোজায় থাকে সে সারাটা দিন রোজা রেখে যে সোওয়াব অর্জন করবে অন্যদিকে ওই ব্যক্তিকে যে ইফতারি করাবে সে ওই পরিমাণ সোওয়াব পাবে সুবহানাল্লাহ। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমরা ইফতারি দিবো ইনশাআল্লাহ । সত্যি খুবই ভালো লাগে যখন সবাই মিলে একসাথে ইফতার করি ।
আজকের ইফতার দিয়েছেন আমাদের নতুনপাড়া জামে মসজিদের একজন চাচাতো ভাই। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ইফতারির খাবার। আলহামদুলিল্লাহ আজকের ইফতারির আইটেমটি খুবই ভালো ছিল খেয়ে বেশ ভালই লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
মসজিদে প্রথম রমজানের ইফতারি করেছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে সকলের সাথে এভাবে ইফতারি করতে পারলে খুবই ভালো লাগে। আমরা ও আজকে মসজিদে সকলের সাথে এভাবে ইফতারি করেছি।
ও আচ্ছা তাহলে তো খুবই ভালো ধন্যবাদ।
এবারের রোজাগুলো কিভাবে যেন চলে যাচ্ছে টের পাওয়াই যায় না। প্রথম রোজায় কোন ধরনের তৃষ্ণা বা খিদা লাগেনি। আল্লাহর রহমতের মাস খুব ভালোভাবেই রহমত দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক বলেছেন আসরের পরের সময়টা যেন যেতেই চায়না। তবে এবার তা মনে হয়নি। আপনারা সময় কাটানোর জন্য একটু বাহিরে হাটাহাটি করতে বের হয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আমাদের এদিকেও মসজিদে সব সময় ইফতারি দেওয়া হয়। তার জন্য ছেলেরা সবাই মসজিদে গিয়ে ইফতার করতে পছন্দ করে। সবাই মিলে মসজিদে বসে একসাথে ইফতার করার মজাই আলাদা। আপনার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
সবিই আল্লাহ পাকের রহমত। আপু।