ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ- বৃষ্টির দিনে এক কাপ গরম চা
আজ - সোমবার
![]() |
---|
বৃষ্টির দিনে কিন্তু চা খেতে বেশ মজা লাগে। আমি জানিনা আপনার এমন সময় এটি খেয়েছেন কিনা তবে আমার জীবনে অনেকবার সুযোগ হয়েছে টিপ ,টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে এবং আমি গরম গরম চা খাচ্ছি। আমাদের এলাকায় চা খাওয়ার জন্য বেশ বিখ্যাত। বিশেষ করে এখানে যদি আপনারা খেয়াল করেন তাহলে বিভিন্ন প্রকার চা আপনারা পেয়ে যাবেন যেমন ডাবল হিটের চা আবার শুধুমাত্র দুধের চা থেকে শুরু করে অনেক ধরনের চা এখানে দেখা মিলে। আমি ছোটখাটো এবং ভীতু স্বভাবের একজন মানুষ যার কারণে মানুষের মধ্যে বসে চা আমি খাই না। যখন চা খেতে খুব ইচ্ছা করে তখন দোকানদারকে গিয়ে বলি একটা চা দেন আমি বাইরে গিয়ে একা, একা বসে খাই। আর যদি সাথে বন্ধুবান্ধব থাকে সেই ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে দোকানে বসা হয়। আর যদি দোকানের মানুষের কথা বলি তাহলে হয়তোবা আজকের রাতটা একেবারে কভার হয়ে যাবে। এর মূল কারণ হচ্ছে তারা এক ,এক সময় এক , এক ধরনের আলাপ দিয়ে থাকে এবং যদি দোকানে বসা যায় তাহলে মনে হয় তারাই মহা বিজ্ঞানী তাদের কাছে সকল জ্ঞান রয়েছে।
![]() |
---|
তাদেরকে আমি আক্ষেপ নিয়ে কোন কথা বলছি না কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন, এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো শুনে নিজের কাছেও অনেক খারাপ লাগে। যেমন ধরুন আমি গত সপ্তাহে বাইক নিয়ে এক্সিডেন্ট করেছিলাম আমি মোটামুটি বাইক চালাতে বেশ ভালোই পারি এবং ড্রাইভারও খারাপ না কিন্তু সেদিন সন্ধ্যাবেলায় আপনাদের মাঝে এভাবে পোস্ট লিখছিলাম এবং আকাশটা মেঘে সে এসেছিল। হয়তো বৃষ্টি হবে এমন একটা আশঙ্কা নিয়ে দ্রুত মোবাইলটা রেখে বাইকটা রাস্তা থেকে বাড়ির ভিতরে আনার চেষ্টা করছিলাম ঠিক সেই সময় বাইকটা একটা জায়গাতে ঘোরাতে গিয়ে একটি কুত্তা খুব দ্রুত এসে আমার বাইকের সাথে এসে ধাক্কা দিল। হয়তোবা একটা কুত্তা অন্য কোন কুত্তাকে তাড়া দিচ্ছিল এর জন্য এমনটা ঘটেছে, তবে আমি যেহেতু তাড়াতাড়ি তে ছিলা যে বৃষ্টি শুরু হলে তো আর বিদ্যুৎ থাকবে না আর বিদ্যুৎ চলে গেলে আমি পোস্ট লিখতে পারবো না তাই দ্রুত বাইকটা ঘরে উঠিয়ে আবার পোস্ট করব।
![]() |
---|
তখন কুত্তাটা এসে যখন ধাক্কাটা দিল আমি বাইক নিয়ে হুড়মুড় করে পড়ে গেলাম। যেহেতু বাইকটা প্রচুর ভারি এবং একটু স্পিডে ছিল ওই কারণে বাইক ধাপ করে পড়ল আমি ব্রেক ধরার কারণে আমাকে বাইক থেকে ছিটকে ফেলে দিল এবং প্রথমে আমার হাতে লেগে ছিল তারপরে পিঠে। যার কারণে হাত এবং পিঠ দুটোই খুব খারাপ ভাবে ছুলে যায় এবং সাথে ,সাথে রক্ত বের হতে শুরু করে । তখন আম্মু তাড়াতাড়ি বের হয়ে এসে সেখানে ভায়োডিন মলম এবং ব্যান্ডেজ করে দেয়। তারপর ডাক্তারের কাছে যখন গেলাম ডাক্তার বলল যে আপনি আর এই সময় টি শার্ট অথবা শার্ট কোন টাই ব্যবহার করবেন না কারণ এই জায়গাটা যত বেশি খোলামেলা রাখবেন তত দ্রুত এটি শুকিয়ে যাবে। তবে একটা বিষয়ে আমার কানে আসলো আমাদের বাড়ির পাশে একটা দোকান রয়েছে ওখানে কিছু লোক বলাবলি করছিল যে আমি নাকি অনেক দ্রুত বাইক চালায় এজন্য আমি এক্সিডেন্ট করেছি। এখন একটা বিষয় দেখুন যে ব্যক্তিটা ওখানে উপস্থিত ছিল না সে আসল ঘটনা কি হয়েছে ওটা না জেনেই যখন এমন মতামত পোষণ করে ফেলল তখন নিজের কাছেও বেশ খারাপ লাগে।
যাইহোক সে কথা বাদ দিয়ে এখন আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে গেছি, এখন আবার চা খাওয়ার গল্প ফিরে আসা যাক। চলুন চা খাওয়ার একটা মজার মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। সেদিন আমি প্রাইভেট পড়ে বাড়ির দিকে আসছিলাম এবং কিছুক্ষনের মধ্যেই যেন আকাশ মেঘলা হয়ে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। এবার আমি সাইকেলটা এক পাশে রেখে একটা দোকানে গিয়ে বললাম যে আঙ্কেল আমার জন্য একটা চা দিন, তখন আমি চা খাচ্ছিলাম এবং একটা মেয়েকে আমি পছন্দ করতাম ওই মেয়েটা ওখান দিয়ে যাচ্ছিল এবং আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিল আমি কেন চা খাচ্ছি, হাহাহা সেই সময়টা বেশ মজার ছিল। তবে একটা বিষয় আপনাদের মাঝে বলে রাখি তখন আমি ক্লাস ৬ এ পড়ি। হয়তোবা সেটা প্রেম ছিল না তবে দেখা যায় না যে অনেক সময় অনেকের পছন্দ হয়ে যায় ঠিক এমনটা বলা যায়। আমি যখন চা খাচ্ছিলাম কিছু বন্ধু আমাকে দেখে চা খাওয়ার জন্য এগিয়ে আসলে এবং বলল যে বন্ধু চা খাওয়াও তখন বন্ধু-বান্ধবদের সবাইকে চা ট্রিট দিলাম এবং সবাই আড্ডা দিয়ে শেষমেষ বাড়ি ফিরে আসলাম।
সেদিন তোর বৃষ্টির দিনটা আমি আজ পর্যন্ত ভুলি নাই কারণ ওই যে একটা বিশেষ মুহূর্ত ছিল ওই বৃষ্টির দিনে চা খাওয়ার। এইজন্য হয়তো এখন পর্যন্ত মনে রেখেছি ওই মেয়েটার এখন বিয়ে হয়ে গেছে এবং সেদিন দেখা হয়েছিল বলল যে ইমন কেমন আছো ? আমি বললাম হ্যাঁ ভালো আছি। দেখে মনে হল প্রেগন্যান্ট। যাই হোক সবাই সুখে থাক ভালো থাক এই কামনা করি আর আমি আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে শুধু কাজ করতে চাই।আমার জীবনে কোন নারী প্রয়োজনে এখন নেই এসব থেকে আমি নিজেকে দূরে রাখি আমি শুধু পরিশ্রমে এখন বিশ্বাস করি ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন পাশে থেকে আমার ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারও খুশিতে দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহাফেজ।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![]()
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বন্ধুদের কাছে দেখবেন এলাকার সব খবর থাকে। আর সবাই যখন আড্ডা দেয় তখন বিভিন্ন রকমের গল্পে মেতে ওঠে। ভাইয়া আপনি আড্ডা দিতে খুব একটা পছন্দ করেন না মনে হচ্ছে। তবে বৃষ্টি ভেজা দিনে চা খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছ। আসলে বৃষ্টির দিনে গরম চা খেতে সত্যি বেশ ভালো লাগে। আমিও যখন বাইরে ছিলাম মাঝেমধ্যে সন্ধ্যার পরে চা খেতাম বেশ ভালো লাগতো। ডাবল হিটের চা খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বৃষ্টির সময় চা খেতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। তবে বৃষ্টির সময় চা খেতে মনের মধ্যে অনেক ধরনের অনুভূতি আসে। এটি একদম ঠিক বলেছেন কিছু কিছু লোক আছে দোকানে বসে অনেক ধরনের কথা বলে। এবং তাদের কথাগুলো শুনলে মনে হয় এক একজন অনেক বড় জ্ঞানী। হয়তোবা কিছু কথাকে অনেক বড় করে ফেলে দোকানে বসে অনেক লোক। তবে আপনি চা খাওয়ার সময় পছন্দের মানুষটি একটু উঁকি মেরেছে আপনার দিকে। সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চা প্রাণ করতে সব কমবেশি সবাই পছন্দ করে। আর বৃষ্টি হলে তো ওই সময়ই চা প্রাণ করতে আর বেশি ভালো লাগে। তবে ভাই কিছুদিন আগে আপনি এক্সিডেন্ট হয়েছেন এখন ভালো হয়েছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। আর চা খাওয়ার সময় তবে আলাদা একটা অনুভূতি আসে মনে। যদি এখনকার সময় বিভিন্ন ধরনের চা পাওয়া যায়। আর বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জায়গাতে ভালো মানের চা দোকান দেখা যায়। চা প্রাণ করার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আরো ভালো হবে না, তাই এটি যাই করছে এমন সবার জন্য প্রিয় !
আপনাকে দোঁয়াড় আগ্রহী হওয়ার জন্য, আমি এটা বলতে চাইন।
ভ্রমণে নিয়োজিত থাকা অনেক সুখের কারণ, এটি আমার জন্য বিশেষভাবে প্রিয়।
ভ্রমণ ছাড়া, ফটোগ্রাফির কাজও আমার সন্দেহ থাকে না।
এই দুয়েই ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফির প্রতি আমার সহিল্য, অন্যেরা কী ?